রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার ঐতিহ্য বাহী তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি করা হয়েছে আ”লীগ নেতাকে বলে নিশ্চিত করেন প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন। স্কুল কমিটির সভাপতির নাম কলিম উদ্দিন কবিরাজ। সে উপজেলা আ”লীগের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা। সভাপতি ওই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। তার বাড়ি গোকুল গ্রামে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপিসহ সাধারণের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। উঠেছে প্রধান শিক্ষক আলতাবের শাস্তির দাবি। কারন যেখানে আ”লীগসহ সহযোগী সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর সেখানে প্রধান শিক্ষক কিসের বিনিময়ে আ”লীগ নেতার নাম পাঠায়? আবার অনেকে বলছেন স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতারা স্বৈরাচার কে পুনর্বাসনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে সভাপতির পদ থেকে বাতিল ও প্রধান শিক্ষক ফ্যাসিস্ট দোসরের শাস্তির দাবিও তুলেছেন।
শিরোনাম :
তানোরে আ”লীগ নেতাকে স্কুল কমিটির সভাপতি ক্ষোভ
-
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:
- Update Time : ০৬:১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- ৪২ Time View
তবে প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন জানান, বিএনপির নেতার সুপারিশে কলিম উদ্দিনকে এডহক কমিটির সভাপতি হয়েছে। অতীতে আ”লীগের সুপারিশ ছাড়া কোন কিছুই হত না, এখন বিএনপির সুপারিশ ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। তাহলে গণঅভ্যুত্থানে এতো শহীদ এতো আহত দের মূল্য কি থাকল। আপনার নিকট আত্মীয় হয় একারনে নাকি সভাপতি করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান এসব মিথ্যা কথা। আমি হুকুমের গোলাম। আপনি নাকি দুই পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য টাকা ও তাকে সভাপতি করার জন্য তদবির করেছেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন এসব আমার করার কোন ক্ষমতা নেই।
স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিক বিবেচনায় যোগ্যতা না থাকার পর শুধু মাত্র সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর আশীর্বাদে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান আলতাব। তার বাড়ি বেলপুকুরিয়া গ্রামে। প্রধান শিক্ষক হয়েই এক শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। যা এলাকায় ব্যাপক ভাবে প্রচার রয়েছে। গণঅভ্যুত্থান স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ সহ নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় আন্দোলন গড়ে তোলেন। কিন্তু চোতর আলতাব টাকার বিনিময়ে সব কিছু ম্যানেজ করে ফেলেন। গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে এডহক কমিটির বিষয়টি প্রকাশ পায়।
স্থানীয় বেশকিছু নেতারা জানান, আ”লীগ সহ তাদের সহযোগী সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছেন বর্তমান সরকার। অথচ প্রধান শিক্ষক কিভাবে একজন আ”লীগ নেতাকে কমিটির সভাপতি করেন। তিনি যদি স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত বা যোগ্য দের নাম পাঠাতেন তাহলে তো আ”লীগ নেতা সভাপতি হতে পারত না। অল্প সময়ের মধ্যেই এবিষয়ে মানববন্ধনসহ স্মারক লিপি দেয়া হবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট। আর ডিসি মহোদয় বা শিক্ষা বোর্ড কোন কিছু যাচাই বাছাই ছাড়া কিভাবে আ”লীগ নেতার নাম দেয়।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক শামীম হাসানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি চলতি মাসে এসেছি। ফাইল পত্র দেখার পর বলতে পারব। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পুনরায় মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় এসেছি, চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর আ,ন,ম, মোফাখখারুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি জানান, কে আ”লীগ কে বিএনপি এটা তো আমি বলতে পারিনা। আ”লীগ নেতার নাম কেন পাঠাবে প্রধান শিক্ষক। কমিটির বিষয়ে ডিসি মহোদয় যে নির্দেশনা দেন সে মোতাবেক কাজ করা হয়। তারপরও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। তিনিও ডিসির সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
ডিসি আফিয়া আকতার বলেন, আমরা তিন জনের নাম পাঠায় বোর্ডে। বোর্ড অনুমোদন দেয়। তারপরও এমন হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তিনি হোয়াটস অ্যাপে স্কুলের নাম ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য দিতে বলেন এই প্রতিবেদককে। সবকিছু হোয়াটস অ্যাপে দেয়া হয়। কিন্তু এখনো কোন কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায় নি।
Tag :
আলোচিত