অবশেষে দুই সপ্তাহ পর নওগাঁর মান্দার বড়বেলালদহ মাদ্রাসার তালা খুলল শিক্ষা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১১ টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো. আবদুল লতিফ প্রামানিকের উপস্থিতিতে কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অফিস কক্ষ উন্মুক্ত করা হয়।
জানা যায়, নওগাঁর মান্দার বড়বেলালদহ ইসলামিয়া ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অফিস কক্ষের দরজায় গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) জোরপূর্বক তালা লাগানো হয়। এই ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তালা খোলার জন্য প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। এপর গত ১২ মে সোমবার সকালে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে তালা খোলার দাবী জানান। এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ আলম শেখ তদন্ত করতে মাদ্রাসায় উপস্থিত হন এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে আসার অনুরোধ করেন। তদন্ত শেষে প্রতিষ্ঠানের তালা খুলে দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। অবশেষে দীর্ঘ দুই সপ্তাহ পর ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল কাইউম এর কক্ষের তালা ভেঙ্গে তার অফিস কক্ষ উন্মুক্ত করা হয়। এ সময় প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অফিস কক্ষে তালা লাগানো দুষ্কৃতকারী ও উষ্কানীদাতারা লাপাত্তা হয়ে যান এবং অনেককে নিষ্ক্রিয় দর্শকের ভূমিকায় দেখা যায়।
অফিস কক্ষের তালা খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো. আবদুল লতিফ প্রামাণিক, বিগত সময়ের গভর্ণিং বডির বিদ্যুৎসায়ী সদস্য আবদুল আলিম, সদস্য শান্ত মোল্য, এস আইসহ মান্দা থানা পুলিশ ৬জন সদস্য।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল কাইউম বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে স্থানীয় এক গ্রুপের নেতারা আমার অফিস কক্ষে তালা লাগিয়েছিল। তখন থেকে এ পর্যন্ত মাদ্রাসার অফিসিয়াল কাজ প্রায় বন্ধ ছিল।আজ প্রশাসনের সহায়তায় তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। এতেকরে স্বস্তি ফিরে এসেছে শিক্ষক-অভিভাবক,এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।