Dhaka ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের রৌমারী মাদকের নিরাপদ রোডে নানাবিধ কৌশলে পাচার হচ্ছে অসংখ্য মাদক আটক ২

মাদকের নিরাপদ রুট ও দুই নম্বর জোন হিসেবে মাদক দ্রব্য অধিদপ্তর থেকে ঘোষনা করা হয়েছে। সারাদেশে জরিপ অনুযায়ী গত ২৪ নভেম্বর ২০২৪ সালে টেকনাফের পর কুড়িগ্রামের রাজিবপুর এবং রৌমারীকে মাদক প্রবণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে।

রৌমারী উপজেলাটি ভারতের সীমান্ত ঘেষা অঞ্চল হওয়ায় চোরাকারবারিদের জন্য মাদকের নিরাপদ রুট অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। রৌমারী সীমান্ত পথটি সাহেবের আলগার ১০৪৭ হতে ১০৭২ পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার সীমান্ত পথ।

সীমান্ত রাস্তাটি দুর্গম হওয়ায় মাদক কারবারিরা অতিসহজে ভারত থেকে মাদক পাচার করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে থাকে।এখানে অসংখ্য মাদক সম্রাট কোন প্রকার ভয়ভীতি ছাড়া আতাতের মধ্যদিয়ে রমরমা মাদক বানিজ্য করেই যাচ্ছে । মাদকের নিরাপদ জোন ,রৌমারী উপজেলার দাতভাঙ্গা ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর, খেতারচর, ছাটকড়াইবাড়ি,চরবোয়ালমারী, চরেরগ্রাম, দুই নং শৌলমারীর গয়টাপাড়া, কলমেরচর, বেহুলারচর, মোল্লারচর, চার নং রৌমারী সদর খাটিয়ামারী, চান্দারচর, রতনপুর,চরফুলবাড়ি, ভুন্দুরচর, বড়াইবাড়ী,

পাচ নং যাদুরচর বারবান্দা, খেওয়ারচর, আলগারচর, লাঠিয়ালডাঙ্গা। রাজিবপুর উপজেলার, বালিয়ামারী, বালিয়ামারী ব্যাপারী পাড়া, মিয়া পাড়াসহ বিভিন্ন রুটে গাজাঁ, ইয়াবা, অফিসার চয়েসসহ নানা নামীয় মাদকদ্রব্য পাচার হয়ে থাকে।

তবে রৌমারী উপজেলাটি নিরাপদ রুট হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেরস্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও লালমনির হাট থেকে ওই অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীরা রৌমারী রুটে নিরাপদে ব্যবসা করে যাচ্ছে । গত কয়েক মাসে দফায় দফায় প্রায় ৩, ৪ মন গাজাঁ ও ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি সিএনজি যোগে ঢাকায় মাদক পাচারকালে সিএনজি ড্রাইভার ও উপস্থিত জনতার হাতে আটক হয়। পরে সিএনজি চালকরা ও স্থানীয় মানুষ মালামালসহ রৌমারী থানা পুলিশকে সোপর্দ করে। এমন বিরতি হীনভাবে মাদক পাচার বিভিন্নকৌশল অবলম্বন করে চালিয়ে যাচ্ছে।

এভাবে মাদকদ্রব্য আসতে থাকলে ২৫ মে রবিবার ২০২৫ ইং দুপুর ১২ ঘটিকার সময় রৌমারী সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে ২জন গাজাঁ ব্যবসায়ীকে ১৩ কেজি গাজাঁসহ ,সিএজি চালক ও সাধারণ পাবলিক আটক করে রৌমারী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হলেন, রবিউল ইসলাম রবিন(২৬) পিতা সায়েদ আলী, নীলুর খামার, থানা নাগেশ্বরী। ২, আনিসুর রহমান ,(৩৬) পিতা মৃত্যু মকবুল হোসেন,গ্রাম নীলুর খামার , নাগেশ্বরী। এব্যাপারে রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন , তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে এবং আসামীদের কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মেট্রোপলিটন শ্যূটিং ক্লাব,খুলনার বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রৌমারী মাদকের নিরাপদ রোডে নানাবিধ কৌশলে পাচার হচ্ছে অসংখ্য মাদক আটক ২

Update Time : ০৭:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

মাদকের নিরাপদ রুট ও দুই নম্বর জোন হিসেবে মাদক দ্রব্য অধিদপ্তর থেকে ঘোষনা করা হয়েছে। সারাদেশে জরিপ অনুযায়ী গত ২৪ নভেম্বর ২০২৪ সালে টেকনাফের পর কুড়িগ্রামের রাজিবপুর এবং রৌমারীকে মাদক প্রবণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে।

রৌমারী উপজেলাটি ভারতের সীমান্ত ঘেষা অঞ্চল হওয়ায় চোরাকারবারিদের জন্য মাদকের নিরাপদ রুট অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। রৌমারী সীমান্ত পথটি সাহেবের আলগার ১০৪৭ হতে ১০৭২ পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার সীমান্ত পথ।

সীমান্ত রাস্তাটি দুর্গম হওয়ায় মাদক কারবারিরা অতিসহজে ভারত থেকে মাদক পাচার করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে থাকে।এখানে অসংখ্য মাদক সম্রাট কোন প্রকার ভয়ভীতি ছাড়া আতাতের মধ্যদিয়ে রমরমা মাদক বানিজ্য করেই যাচ্ছে । মাদকের নিরাপদ জোন ,রৌমারী উপজেলার দাতভাঙ্গা ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর, খেতারচর, ছাটকড়াইবাড়ি,চরবোয়ালমারী, চরেরগ্রাম, দুই নং শৌলমারীর গয়টাপাড়া, কলমেরচর, বেহুলারচর, মোল্লারচর, চার নং রৌমারী সদর খাটিয়ামারী, চান্দারচর, রতনপুর,চরফুলবাড়ি, ভুন্দুরচর, বড়াইবাড়ী,

পাচ নং যাদুরচর বারবান্দা, খেওয়ারচর, আলগারচর, লাঠিয়ালডাঙ্গা। রাজিবপুর উপজেলার, বালিয়ামারী, বালিয়ামারী ব্যাপারী পাড়া, মিয়া পাড়াসহ বিভিন্ন রুটে গাজাঁ, ইয়াবা, অফিসার চয়েসসহ নানা নামীয় মাদকদ্রব্য পাচার হয়ে থাকে।

তবে রৌমারী উপজেলাটি নিরাপদ রুট হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেরস্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও লালমনির হাট থেকে ওই অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীরা রৌমারী রুটে নিরাপদে ব্যবসা করে যাচ্ছে । গত কয়েক মাসে দফায় দফায় প্রায় ৩, ৪ মন গাজাঁ ও ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি সিএনজি যোগে ঢাকায় মাদক পাচারকালে সিএনজি ড্রাইভার ও উপস্থিত জনতার হাতে আটক হয়। পরে সিএনজি চালকরা ও স্থানীয় মানুষ মালামালসহ রৌমারী থানা পুলিশকে সোপর্দ করে। এমন বিরতি হীনভাবে মাদক পাচার বিভিন্নকৌশল অবলম্বন করে চালিয়ে যাচ্ছে।

এভাবে মাদকদ্রব্য আসতে থাকলে ২৫ মে রবিবার ২০২৫ ইং দুপুর ১২ ঘটিকার সময় রৌমারী সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে ২জন গাজাঁ ব্যবসায়ীকে ১৩ কেজি গাজাঁসহ ,সিএজি চালক ও সাধারণ পাবলিক আটক করে রৌমারী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হলেন, রবিউল ইসলাম রবিন(২৬) পিতা সায়েদ আলী, নীলুর খামার, থানা নাগেশ্বরী। ২, আনিসুর রহমান ,(৩৬) পিতা মৃত্যু মকবুল হোসেন,গ্রাম নীলুর খামার , নাগেশ্বরী। এব্যাপারে রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন , তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে এবং আসামীদের কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।