Dhaka ১০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোর শহরে পালিত মাদকাসক্ত ছেলের হাতে মা খুন

যশোর শহরে পালিত মাদকাসক্ত ছেলের হাতে খুন হয়েছেন সুলতানা
খালেদা সিদ্দিকা রুমি (৬০) নামের এক নারী। নিহত খালেদা শহরের মনিহার
ফলপট্টি এলাকার মৃত শেখ শাহজাহানের স্ত্রী।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদকাসক্ত পালিত পুত্র শেখ শামস বিন শাহজাহান
(১৯) তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটে আজ শুক্রবার
(২৪মে) রাত ২টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে।

নিহতের ভাড়াটিরা জানান, রাত আনুমানিক ২টার দিকে রুম থেকে চিৎকার ও
বাকবিতণ্ডার শব্দ পান। এরপর দুইজনেই নিশ্চুপ হয়ে যান। সন্দেহ হলে শনিবার
দুপুর ৩টার দিকে তিনি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে যশোর কোতোয়ালি
থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

এসআই জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ভিকটিমের ঘরের দরজা খোলার
অনুরোধ করলে আসামি শামস দরজা খুলে দেন। তার দেখানো মতে পুলিশ ঘরে ঢুকে
নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের
মর্গে পাঠায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই শেখ শামসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

জানা গেছে, খালেদা-শাহজাহান দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। ১৯ বছর আগে কুমিল্লা
থেকে তিন মাস বয়সী শামসকে দত্তক নেন তারা। তবে গত চার-পাঁচ বছর ধরে শামস
মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং প্রায়ই মায়ের কাছে টাকা চাইত। টাকা না দিলে অকথ্য
ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত বলেও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, নেশার টাকার জন্যই বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে খালেদা
সিদ্দিকাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিত ছেলে শামস।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

যশোর শহরে পালিত মাদকাসক্ত ছেলের হাতে মা খুন

Update Time : ০৮:২১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

যশোর শহরে পালিত মাদকাসক্ত ছেলের হাতে খুন হয়েছেন সুলতানা
খালেদা সিদ্দিকা রুমি (৬০) নামের এক নারী। নিহত খালেদা শহরের মনিহার
ফলপট্টি এলাকার মৃত শেখ শাহজাহানের স্ত্রী।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদকাসক্ত পালিত পুত্র শেখ শামস বিন শাহজাহান
(১৯) তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটে আজ শুক্রবার
(২৪মে) রাত ২টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে।

নিহতের ভাড়াটিরা জানান, রাত আনুমানিক ২টার দিকে রুম থেকে চিৎকার ও
বাকবিতণ্ডার শব্দ পান। এরপর দুইজনেই নিশ্চুপ হয়ে যান। সন্দেহ হলে শনিবার
দুপুর ৩টার দিকে তিনি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে যশোর কোতোয়ালি
থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

এসআই জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ভিকটিমের ঘরের দরজা খোলার
অনুরোধ করলে আসামি শামস দরজা খুলে দেন। তার দেখানো মতে পুলিশ ঘরে ঢুকে
নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের
মর্গে পাঠায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই শেখ শামসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

জানা গেছে, খালেদা-শাহজাহান দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। ১৯ বছর আগে কুমিল্লা
থেকে তিন মাস বয়সী শামসকে দত্তক নেন তারা। তবে গত চার-পাঁচ বছর ধরে শামস
মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং প্রায়ই মায়ের কাছে টাকা চাইত। টাকা না দিলে অকথ্য
ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত বলেও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, নেশার টাকার জন্যই বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে খালেদা
সিদ্দিকাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিত ছেলে শামস।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।