Dhaka ০৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিচারপতি মানিক মারা গেছেন

রোববার (২৫ মে) রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকায় ইব্রাহীম মেমোরিয়াল কার্ডিয়াক হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক (৮২) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ সোমবার (২৬ মে) গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে জোহরের নামাজের পর তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আছরের নামাজের পর রাবেয়া খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।

জানাজা শেষে মরদেহ টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা গ্রামে তার পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বজন ও সন্তানদের শেষ বিদায়ের পর পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।

বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় এই ব্যক্তিত্ব ১৯৮০-এর দশকে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পরও তিনি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

খুলনায় জলবায়ু ঝুঁকিকে মাথায় রেখে নগর ব্যবস্থাপনা সাজানো হবে:পরিকল্পনায় বুয়েট

বিচারপতি মানিক মারা গেছেন

Update Time : ০৯:৫০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

রোববার (২৫ মে) রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকায় ইব্রাহীম মেমোরিয়াল কার্ডিয়াক হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক (৮২) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ সোমবার (২৬ মে) গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে জোহরের নামাজের পর তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আছরের নামাজের পর রাবেয়া খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।

জানাজা শেষে মরদেহ টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা গ্রামে তার পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বজন ও সন্তানদের শেষ বিদায়ের পর পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।

বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় এই ব্যক্তিত্ব ১৯৮০-এর দশকে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পরও তিনি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।