আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের উলিপুরেও পরম যত্নে তিলে তিলে বড় করে তোলা প্রিয় পশুটিকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছে গরুর খামারিরা। এমনই একজন খামারি শাহিদুল হক।
উলিপুর উপজেলা সদরের দাড়ারপার গ্রামে এ খামারির বাড়ি । প্রায় তিন বছর ধরে হলেস্টান ফ্রিজিয়ান বিজের একটি ষাঁড় লালন-পালন করেন তিনি। ভালেবেসে পশুটির নাম দিয়েছেন কালাচাঁন।
খামারি শাহিদুল হক বলেন, দেশীয় প্রজাতির ঘাস ও ফল-ফলাদি খাওয়ানো হয় কালাচাঁনকে। পরম আদরে প্রায় তিন বছর ধরে লালন-পালন করছি। দিনরাত পরিচর্যা করে নিজ সন্তানের মতোই দেখাশোনা করেছে আমার মা শাহেমা বেগম (৫৯)। কালাচাঁনকে বিক্রির জন্য ইতিমধ্যে ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে ছবি দিয়ে বিক্রির ডাক তোলা হয়েছে। দাম হাঁকা হয়েছে ১১ লক্ষ টাকা। শাহিদুল আরও জানায়, আগামী তিন/চার দিনের মধ্যে অনলাইনে বিক্রি না হলে, এ কালাচাঁনকে তিনি ঢাকায় কোরবানীর হাটে নিয়ে বিক্রি করবেন। ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি তার নেয়া আছে বলেও জানান শাহিদুল।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানায়, এবারে উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৩৯ হাজার ৭৮ টি হলেও কোরবানির জন্য এ উপজেলায় পশু প্রস্তুত রয়েছে ৫৪ হাজার ২৭৫ টি। এরমধ্যে ষাঁড় ১১ হাজার ৯৭২, বলদ ১ হাজার ৬৪৯, গাভী ৩ হাজার ২৮৩ মিলে মোট গরুর সংখ্যা ১৬ হাজার ৯০৪টি। এছাড়াও কোরবানির জন্য মহিষ ২০০টি, ছাগল ৩৩ হাজার ১৫৪টি, ভেড়া ৪ হাজার ১৭টি প্রস্তুত রয়েছে। চাহিদার তুলনায় ১৫ হাজার ৯৭টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেবা বেগম বলেন, এ উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় কালাচাঁন। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছে খামারি। আশা করছি, কোরবানির পশুর হাটে কালাচাঁন ভালো দামে বিক্রি হবে।