রৌমারীতে ভারতীয় বিএসএফ কতৃক বড়াই বাড়ি সীমান্তে ৫জন মহিলা ও ৯ জন পুরুষসহ মোট ১৪ জন ভারতীয় নাগরিক পুশইন করার জোড় অপচেষ্টা চালায়। গত কাল মঙ্গলবার ২৭ মে ভোর রাতে ভারতীয় সীমান্ত গেট খুলে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে পুশইন করার সময় বাংলাদেশ বড়াই বাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত জোয়ানরা বাঁধা প্রদান করে।
এমত অবস্থায় ভারতীয় নাগরিকরা নোম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করে। এব্যাপারে দুদেশের সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখানে নোম্যান্স ল্যান্ডে থাকা ভারতীয় নাগরিক (এলপি শিক্ষক,) প্রাইমারী শিক্ষক মোঃ খাইরুল ইসলাম , আসামের মিকির ভিটা থানার ঠান্ডাপুর গ্রামের বাসিন্দা, তিনি বলেন , গত ২৩ মে ২০২৫ সাল রাতে তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মিকির ভিটা আইপি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রচন্ড মারপিট করে।
পরে তার সাথে আরো ৩১জন মুসলীম নারী পুরুষ একত্র করে তাদের পিকাপ ভ্যানে উঠিয়ে মানকারচর ঠাকুরান বাড়ি ১০৬৭ সীমান্ত গেট খুলে ভোররাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে পুশইন করার চেষ্টা করে। বড়াই বাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত জোয়ানরা ভারতীয় বিএসএফের এমন অবৈধ পুশইন টের পেয়ে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিলে ভারতীয় বিএসএফ ৬টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেলের শব্দে স্থানীয় মানুষের মাঝে চরম আতংক দেখা দেয়। এব্যাপারে জামালপুর ৩৫ ব্যাটায়িন এর সিও হাসানুর রহমান ও ভারতীয় ডিসি পর্যায়ে আলোচনা চলছে