পবিত্র ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে গরু ছাগল উঠতে শুরু করলেও এখনো জমেনি সৈয়দপুর ঢেলাপীর হাট। ক্রেতা সাধারনের ভীর না থাকলেও পশু উঠছে প্রচুর। তবে গতবারের তুলনায় এবারে দাম অনেকটা কম। এরপরেও ক্রেতা তেমন একটা নেই।
গত শুক্রবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নীলফামারি সদর, রানীরবন্দর,তারাগন্জ, পাকেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার খামারিরা কোরবানির পশু নিয়ে আসছেন ঢেলাপীর হাটে। এই হাটে দুম্বা,গরু ছাগল ও ভেড়া উঠলেও ক্রেতাদের ভীড় তেমন একটা চোখে পড়েনি। হাটে দেশি প্রজাতির গরু উঠছে পর্যাপ্ত। তবে এবারে ভারতীয় গরু নেই বললেই চলে।
সৈয়দপুর শহরের দারুলউলুম মাদ্রার বাংগালীপুর নীজ পাড়া থেকে গরু কিনতে আসা আলহাজ্ব মতিউর রহমান কাল্লু বলেন, হাটে এসেছি গরু কেনার জন্য। এই হাটে পছন্দের গরুর অভাব নেই। তবে গত বছরের তুলনায় দাম অনেকটা কম। কুরবানী ঈদ পর্যন্ত এইভাবে দাম থাকলে এবারে প্রায়ই মানুষ কুরবানী দিতে পারবেন। উপজেলার লক্ষনপুর এলাকা থেকে ঢেলাপীর হাটে গরু বিক্রি করতে আসা মিষ্টার বলেন, এখনো স্থানীয় ক্রেতারা আসতে শুরু করেননি। আগামী ৫/৬ দিনের মধ্যে ক্রেতা সাধারণের ভীড় বাড়তে পারে। বর্তমানে যেসব পশু বিক্রি হচ্ছে, তার বেশির ভাগ ক্রেতাই সৈয়দপুরের বাইরে থেকে আসা।
খানসামা এলাকার রাজু আহমেদ বলেন, এবারে পশুর দাম অনেকটা কম। পশুর খাবারের দাম বেশি হওয়ায় আগে ভাগেই পশু বিক্রি করতে এসেছি । তবে আগামী সপ্তাহ থেকে দাম বাড়তে পারে বলে আশা করছেন তিনি।
ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দাম কিছুটা কম। হাটে বড় আকারের গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত। মাঝারি আকারের গরুর দাম উঠেছে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর ছোট আকারের গরুর দাম উঠেছে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ছাগলের দামও গতবারের তুলনায় কিছুটা কম। মাঝারি থেকে একটু বড় আকারের খাসি বিক্রি হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে খাজনা রসিদের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন হাটের ইজারাদাররা। প্রতিটি গরুর রসিদ কাটা হচ্ছে ৪০০ টাকা, কিন্তু গত বছর ছিল ২৫০ টাকা। প্রতিটি ছাগলের রসিদ কাটা হচ্ছে ২০০ টাকা। হঠাৎ রসিদের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা বলেন হাট ইজারাদারের কর্মী মিথুন রেজা।
কোরবানির পশু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ী, পাইকার ও ক্রেতাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে হাটের চারদিকে পুলিশের অস্থায়ী আইনি সেবা কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢেলাপীর হাট ইজারাদা কর্তৃপক্ষ সোহেল চৌধুরী বলেন, জাল টাকা চিহ্নিত করার যন্ত্রসহ হাটে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্হা করা হয়েছে। হাট অথবা হাটের আশপাশ এলাকায় ক্রেতা বিক্রেতাদের বিরক্ত করা বা চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করা হলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।