Dhaka ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারামুক্ত হয়ে যে বার্তা দিলেন এটিএম আজহার

জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়ে বলেছেন, এতদিন ন্যায়বিচার ছিল না, এখন ন্যায় বিচারের মধ্যদিয়ে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৮ মে) সকালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই শাহবাগ মোড়ে জনসভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আজহারুল ইসলাম বলেন, মুক্ত হয়ে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করছি। ধন্যবাদ জানাই আদালতকে। ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানোর জন্য। সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ, তারা ফ্যাসিস্টবাদের না হয়ে জনগণের পক্ষ নিয়েছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানে।

ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমেছিলেন বলেই দেশ নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জামায়াত নেতাদের ওপর জুডিশিয়াল কিলিং চালানো হয়েছে- এ কথা জানিয়ে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা মামলা, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র জামায়াত ইসলাম করার কারণেই আমাকে এই মানবতাবিরোধী মামলার মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়।

সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরত অবস্থায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আজহারুল ইসলামের মুক্তির আগে তাকে খালাস দিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছায়। সেখানে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কারা কর্তৃপক্ষ আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কোস্টগার্ড অস্ত্র ও গোলাবারুদ ও সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর এক সহযোগীকে আটক

কারামুক্ত হয়ে যে বার্তা দিলেন এটিএম আজহার

Update Time : ১১:৪০:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়ে বলেছেন, এতদিন ন্যায়বিচার ছিল না, এখন ন্যায় বিচারের মধ্যদিয়ে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৮ মে) সকালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই শাহবাগ মোড়ে জনসভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আজহারুল ইসলাম বলেন, মুক্ত হয়ে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করছি। ধন্যবাদ জানাই আদালতকে। ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানোর জন্য। সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ, তারা ফ্যাসিস্টবাদের না হয়ে জনগণের পক্ষ নিয়েছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানে।

ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমেছিলেন বলেই দেশ নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জামায়াত নেতাদের ওপর জুডিশিয়াল কিলিং চালানো হয়েছে- এ কথা জানিয়ে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা মামলা, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র জামায়াত ইসলাম করার কারণেই আমাকে এই মানবতাবিরোধী মামলার মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়।

সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরত অবস্থায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আজহারুল ইসলামের মুক্তির আগে তাকে খালাস দিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছায়। সেখানে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কারা কর্তৃপক্ষ আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।