বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ ৩০ মে। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ঘুমন্ত অবস্থায় একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের গুলিতে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে নিহত হন জিয়াউর রহমান ।
আজ শুক্রবার ৩০ মে, দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে আট দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।এর মধ্যে রয়েছে শহীদ জিয়ার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, বিশেষ দোয়া-মাহফিল এবং দুস্থদের মধ্যে চাল-ডাল ও বস্ত্র বিতরণ।
বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে এ দিবস পালন করলেও চলতি বছর রাজনৈতিক বাস্তবতা পাল্টে যাওয়ায় অনেকটা নির্বিঘ্নে আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবারের আয়োজনে দলটি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুলে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে সাহসিকতার স্বাক্ষর রাখেন।
জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একটি সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন। ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তার স্বাধীনতার ঘোষণা পুরো জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল। বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বীরউত্তম খেতাব অর্জন করেন।
১৯৭৫ সালে এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন এবং ছয় বছর দেশ পরিচালনার মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেন। জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন।
গতকাল দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমান জাতির চরম দুঃসময়গুলোতে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। মহান স্বাধীনতার বীরোচিত ঘোষণা, একাত্তরের মরণপণ লড়াই এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণে তার অনন্য অবদান আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
কর্মসূচি: জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার ভোরে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় ও গুলশানের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশে বিএনপি কার্যালয়গুলোয় দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা এবং দুস্থদের মধ্যে চাল-ডাল ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়।