গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শুক্রবার রাতে বৃদ্ধ বাবার হাত-পা বেঁধে ও মাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পুলিশের এক অতিরিক্ত ডিআইজির বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। লুট করা হয়েছে ওই বাসার বিভিন্ন কক্ষের আসবাবপত্র ভেঙ্গে লন্ডভন্ড করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল। এদিকে বিভিন্ন সময় ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও এবার পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির বাসায় ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী।
এলাকাবাসী, ডাকাত কবলিত পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,
কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ঠেঙ্গারবান্দ এলাকায় নাজমুল আলমের মেয়ে আবিদা সুলতানা। তিনি পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে কর্মরত আছেন। শুক্রবার রাতে ওই ঠেঙ্গারবান্দ এলাকায় তাদের বাসার এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে তার বৃদ্ধ বাবা নাজমুল আলম ও মা বেগম কাওসার আক্তার ঘুমিয়ে
পড়েন। ওইদিন গভীর রাতে তারের বেড়া ও জানালার গ্রীল কেটে প্রথমে ২য় তলায় পরে ৩য় তলায় ঢুকে একদল ডাকাত। এরপর রাত ৩টার দিকে তারা নিচতলায় দরজা ভেঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাবা-মায়ের কক্ষে ঢুকে।
এসময় দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার বৃদ্ধ বাবার হাত-পা বেঁধে ও মায়ের সঙ্গেও অসদাচরণ করে ডাকাত সদস্যরা। পরে বিভিন্ন কক্ষে আসবাবপত্র ভেঙ্গে লন্ডভন্ড করে প্রায় ২ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল লুটের পর ডাকাতদল চলে যায়। পরে ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার বাবা-মাকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ওইদিন রাত ও পরের দিন সকালেও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত মানুষ। তবে সর্বস্ব হারাচ্ছেন ডাকাত কবলিত লোকজন। ডাকাতির পর মাঝে মধ্যে এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে ডাকাত সদস্যদের ধরে পুলিশে দিলেও বেশিরভাগ ডাকাতির ঘটনায় তারা থাকছে অধরা। ফলে থামছে না ডাকাতির ঘটনা।
এবার পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির বাসায় ডাকাতির ঘটনায় আরো বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী। ওই অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানা জানান, আমাদের বাসায় ডাকাতির ঘটনায় থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে। তবে তার বাবা নাজমুল আলম জানান, একদল ডাকাত জানালার গ্রীল কেটে তাদের
বাড়িতে প্রবেশ করে। ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমাদের জিম্মি করে। আমার হাত-পা বেঁধে রাখে ঘরের আশবাবপত্র ভেঙ্গে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে চলে যায় ডাকাত দল।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।