চাঁদা না দেয়ায় বিএনপির নেতা পরিচয় দিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালের সংষ্কার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বেলা ৩ টায় রেলওয়ে হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ফলে নির্মাণ শ্রমিকরা কর্মস্থল ত্যাগ করে চলে গেছেন। এতে চলমান কাজ মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছেন ঠিকাদার।
জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত রেলওয়ে হাসপাতালটি । দীর্ঘদিন সংস্কার বঞ্চিত দেড়শ বছরের পুরাতন এই হাসপাতালটির অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়। প্রায় ৬৮ লাখ টাকায় এই উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গতদিনে এই হাসপাতালটিতে শুধুমাত্র রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হতো। বর্তমানে এটিকে জেনারেল হাসপাতালে রুপান্তর করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ২০ দিন হয় এই হাসপাতালের সংষ্কার কাজ শুরু করা হয় । প্রতিদিন ২০ জন শ্রমিক প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবারও সকাল থেকে কাজ করছিল। বেলা ৩ টার দিকে অজ্ঞাত ৪ যুবক মোটর সাইকেলের গিয়ে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করতে বলে।
শ্রমিকদের সর্দার রাজমিস্ত্রী রবিউল ইসলাম বলেন, ওই ৪ যুবক নিজেদের বিএনপির নেতা পরিচয় দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে বলেন, ঠিকাদারের কাছে আমাদের মোবাইল নম্বর দেয়া আছে। তাকে আমাদের সাথে কথা বলার পর কাজ করতে হবে। নয়তো কাজ বন্ধ থাকবে।
ঠিকাদার সাজু আহমেদ বলেন, মূলতঃ দুইজন যুবক বিএনপিকে বদনাম করতেই আমাকে ফোন করে টাকা চেয়েছে। টাকা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এতে আমার কয়েক লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।। ওই হুমকিতে শ্রমিকরা আতংকে রয়েছে । তাদের হুমকির মুখে আমিও কাজ থামিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। যদি চাঁদা দিতে হয় তাহলে আমার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব হবেনা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (আইওডাব্লু) শরিফুল ইসলাম বলেন, স্হানীয়দের মাধ্যমে আমি খবর পেয়েছি। কিন্তু ঠিকাদার এখনও কিছু জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবস্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।