রৌমারীতে একটি সড়কের অভাবে ৯ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন দেখার কেউ নেই।দেশ স্বাধীনের ৫৪ বছর অতিবাহিত হলেও সীমান্তের ১৫ টি গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন হয়নি। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলাধীন বকবান্দা, বকবান্দা নামা পাড়া, চুলিয়ারচর, খেওয়ারচর, আলগারচর, পাটাধোওয়া পাড়া, লাঠিয়াল ডাঙ্গা, চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা, বাগান বাড়ি, বেক্রিবিল, বংশিরভিটাসহ ১৫টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ একটি মাত্র সড়কের অভাবে পাকিস্তান শাসনামলের ২৪ বছর ও বাংলাদেশ স্বাধীনের পর ৫৪ বছর সব মিলে দুদেশের শাসনামলে ৭৮ বছর ধরে যাদের ৫টি মৌলিক অধিকারের ১টি যাহা জন্ম লগ্ন থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।
এযেন নিজ ভুমে পরবাসি। ১৫টি গ্রামের মানুষ যুগের পর যুগ সরকারি সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই ১৫ টি গ্রাম ভারতের আসাম রাজ্যের পাদদেশে সীমান্ত ঘেষা অঞ্চল। এখানকার মানুষ যোগাযোগ সড়কের অভাবে ঝড় বৃষ্টির মৌসুমে গৃহ বন্দি জীবন যাপন করে। একদিকে নিচু জায়গা অপরদিকে আসামের পাদদেশ ঘেষা, বৃষ্টি হলেই যেন ভারতীয় পাহাড়ি ঢল কালো ও দর্নি নদী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় পাড় উপছে ১৫টি গ্রাম অতিসহজেই প্লাবিত হয়। যার ফলে এখানকার মানুষের জীবনমান বড়ই কষ্টের।
এই অঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক নেই বললেই চলে। নামে মাত্র গ্রামীণ পথে চলাচলের পা পথ থাকলেও সড়ক গুলোতে মাটি ভরাট করে যানবাহন চলাচলের জন্য সরকারি কোন প্রকল্প গ্রহন করতে কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি। তাই বর্ষামৌসুমে ওই অঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি শেয়ালের মতো বা রহিঙ্গা জীবন যাপন করে। এই এলাকার মানুষের শহরে আসার একমাত্র সড়ক সায়দাবাদ রাবারড্যাম সড়ক। সড়কটি দিয়ে রাতদিন ২৪ ঘন্টা হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়কটি কাঁচা হওয়ায় বৃষ্টির সময় যানবাহনের প্রচন্ডে চাপে সায়দাবাদ হতে রাবারড্যাম পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা এক হাটু গভির কাদায় পরিপুর্ণ হয়।
এব্যাপারে আলগারচর গ্রামের ,আলহাজ্জ হাসান আলী, আলহাজ্জ সৈয়জামাল, লাঠিয়ল ডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তার, বেক্রিবিল গ্রামের আলহাজ্জ জয়নাল আবেদীন, আলহাজ্জ আব্দুল বারি, খেওয়ারচরের আলহাজ্জ ফরিজল ও আব্দুল আওয়াল বলেন, যুগযুগ ধরে এখানকার মানুষের প্রাণের দাবী সায়দাবাদ রাবারড্যাম সড়কটি পাকা করনের কাজ না করায় এখানকার মানুষ সড়ক পথে যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই তাদের প্রাণের দাবী সড়কটি পাকা করণের কাজ সম্পুর্ণ করে ১৫ হাজার মানুষের শতবছরের দুর্ভোগ লাঘব করা হউক।