পার্বতীপুরের মধ্যপাড়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীর দ্বারা স্বামী স্ত্রী মারপিটের শিকার হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা যায়,পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া বাজারের জনৈক মমিনুল ইসলাম ওরফে মমিনের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন লালমনিরহাট জেলার মিজানুর রহমান। তিনি বিগত ২০২৩ সালে ব্রাক ব্যাংকে চাকরীরত অবস্থায়, মধ্যপাড়া বাজারের বিসমিল্লাহ ফার্মেসি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে তার সক্ষতা তার গড়ে ওঠে। এই সুযোগে জাহাঙ্গীর আলম তার ঔষধ ব্যবসা বর্ধিত করণের উদ্দেশ্যে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেন।
জাহাঙ্গীর আলম ব্যাংকের ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পের মাধ্যমে মিজানুর রহমানের নিকট হতে কয়েক ধাপে এই অর্থ লেনদেন সম্পূর্ণ করার পর টাকা ফেরত দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন । এদিকে গত ৩০ মে ২০২৫ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকার সময় মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার জাহাঙ্গীরের ফার্মেসির সামনে তাদের পাওনা টাকা চাইতে গেলে জাহাঙ্গীর আলম টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো স্বামী-স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময়ে বাজারের স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত পার্বতীপুর হলদিবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী হাসিনা আক্তার সাংবাদিককে বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের পাওনা টাকা জাহাঙ্গীরের নিকট চাইতে গেলে তিনি পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদেরকে মারপিট করেন ।
আমি ন্যয় বিচারের আশাা পার্বতীপুর মডেল থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি আরো বলেন, আমাকে মারধর করার পর জাহাঙ্গীর আলমের লেলিয়ে দেওয়া লোকজন মোবাইল ফোনে আমাদেরকে নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে । তারা বলেছে আমরা যদি থানায় মামলা করি তাহলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে, তাই তাদের অব্যহত হুমকির মুখে বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তায় ভুগছি। প্রত্যক্ষদর্শী ফার্নিচার ব্যবসায়ী সাইমুল ইসলাম বলেন, ওষুধ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের নিকট পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি স্বামী স্ত্রীকে বেদম মারপিট করেেেছন, যা মোটেও উচিত হয়নি। এ ব্যপারে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উজ্জ্বল সাংবাদিকদের বলেন, মারধরের ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।