সৈয়দপুরের যানজট নিরসন, অপরাধ দমন সহ সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহর জুড়ে টহল জোড়দার করা হয়েছে। গত ৩ দিন থেকে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফার নেতৃত্বে শহর জুড়ে টহল জোড়দার করা হয়।সেনাবাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা এবং জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। সকাল সারে ১০ টার পর থেকে সন্ধ্যা ও রাতের সময় টহল আরও জোরদার করেছেন। যাতে করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়। টহলকালে সেনাসদস্যরা শুধু নজরদারি নয়, বরং জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে বিভিন্ন সমস্যা ও অভিযোগ শুনছেন এবং তাৎণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সেনাসদস্যদের নিয়মিত উপস্থিতি তাদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক নিরাপত্তা তৈরি করেছে। এখন তারা অনেকটাই নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারছেন। করতে পারছেন ব্যবসা বানিজ্য।
ব্যবসায়ী বলেন,”সেনাবাহিনী যেভাবে টহল দিচ্ছেন,তাতে করে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও নিরাপদ হচ্ছে। আমরা চাই, এ টহল কার্যক্রম চলমান থাকুক।
ক্যাম্প কমান্ডার মোস্তফা বলেন, সেনাবাহিনী শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিতে নয়, বরং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার মধ্য দিয়েও একটি সহনশীল ও স্থিতিশীল সামাজিক পরিবেশ গড়ে তুলতে কাজ করছে। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে জনগণ যেন সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তা পায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
সেনা ক্যাম্পের আর এর প্রধান ওয়ারেন্ট অফিসার আরিফ জানান, উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে জনগনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জনগণের পারস্পারিক আস্থা ও সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলার এ প্রচেষ্টা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম ও সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম জানান, সেনাবাহিনী আমাদের সকল কাজে সহযোগিতা করায় সাহসের সাথে কাজ করতে পারছি। আসন্ন ঈদুল আজহা পর্যন্ত তারা আমাদের সাথে থাকলে শহর যানজট মুক্ত করা সহজ হতো।