কুড়িগ্রামের উলিপুরে ঈদের বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেলেও বেঁচাকেনা একেবারেই মন্দা। অন্যান্য বারের তুলনায় বিক্রি কম হওয়ায় কাপর ব্যবসায়ীরা দারুণভাবে হতাশায় ভূগছে। পবিত্র ঈদুল আযহা আসতে আর মাত্র ৩ দিন বাকি আছে। ঈদ উপলক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন শপিং মলসহ বিপণি বিতানগুলোতে রকমারি পোশাকের পসরা সাজিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী
বেচাকেনা একেবারেই কম। বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও তেমন জমে উঠেনি এবারের ঈদের বেঁচাকেনা। দত্ত্ব সুপার মার্কেট শেখ জব্বার সুপার মার্কেট, নাঈম সুপার মার্কেট, আব্দুল হাকিম সুপার মার্কেট, হাজি সুপার মার্কেট, জালাল উদ্দিন সুপার মার্কেট ও কেরামত উল্যাহ সুপার মার্কেটে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে উলিপুর পৌর বাজারের বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে দেখা যায়, বাহারি কারুকাজ, হাতের নকশা, ব্লক, নানা রঙের কাপড়ে রঙের ছাপসহ বিভিন্ন রঙিন নতুন পোশাকে সেজেছে বিপণি বিতানগুলো। এসেছে নতুন নতুন কালেকশনও। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইনে আনা হয়েছে নতুনত্ত্ব। বিভিন্ন ফ্যাশনের দোকানগুলোতে জমকালো সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। এছাড়া এসব এলাকার ফুটপাতগুলোতেও বসেছে বাহারি রঙের পোশাকের পসরা। বিপণি বিতানগুলোতে ছেলে-মেয়ে, শিশু সবার জন্যই রয়েছে সব ধরনের পোশাক ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। প্রতিদিন দুপুর থেকে বিপণিবিতান গুলোতে
ক্রেতাদের ভিড় লেগেই আছে।
দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। তবে বিক্রেতাদের দাবি ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে ঠিকই তবে এখনও বিক্রি সেভাবে বাড়েনি। বেশিরভাগ ক্রেতাই দাম জিজ্ঞেস করে চলে যাচ্ছেন বলে দাবি দোকানিদের। তবে শিশুদের জন্য পোশাকের দোকানগুলোত কিছুটা বেচাকেনা চলছে বলে জানা গেছে। কেরামত উল্লাহ সুপার মার্কেটের শিশু সমাহার এর সত্ত্বাধিকারি মিজানুর রহমান জানান, এবারের ঈদে অন্যবারের চেয়ে বেচাকেনা অনেক কম। কাস্টমার এসে ঘুরে ঘুরে দেখে চলে যায়। অন্যবারের চেয়ে বিক্রি প্রায় অর্ধেকেরও কম। তবে মার্কেটের বাইরের অর্থাৎ ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেচাকেনা একটু বেশী।
নিউ গন্ধেম্বরি বস্ত্রালয় এর স্বত্ত্বাধিকারী নব কুমার সাহা বলেন, এবারে ঈদের বেচাকেনা গত ঈদুল আযহার চেয়ে অনেক কম। আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বেচাকেনা এখনও শুরু হয়নি। সময় শেষ আর কখন শুরু হবে তাও জানা নেই। তারপরও দিনে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে তার দোকানে। ঈদের দিন যত
কাছাকাছি আসবে ততই বেচাকেনা বাড়তে থাকবে। ঈদের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত দিনে লক্ষাধিক টাকা বেচাকেনার আশা করছেন তিনি। এসডি ড্রেস ফ্যাশনের স্বত্বাধিকার সাজু মিয়া বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় রেখে ঈদে বাহারি ও নান্দনিক ডিজাইনের পোশাক এনেছি। বিশেষ করে ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ইজি কেয়ার শার্ট, জিন্স প্যান্ট এবং
মেয়েদের থ্রি পিস, টু-পিস, কাজ করা জর্জেট কামিজ কালেকশন রয়েছে তার দোকানে।
উলিপুর বাজার বস্ত্র মালিক সমিতির সভাপতি ও সজিব ক্লোথ স্টোরের মালিক রিয়াজুল হক বলেন, ঈদ আসতে আর মাত্র ৩দিন বাকি তেমন ক্রেতা দেখা যাচ্ছে না। বাকি দিনগুলোতে ক্রেতার ভীড় আস্তে আস্তে বাড়বে বলেও