Dhaka ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগাছা ভর্তি ঝুঁকি পুর্ণ রেল ভবনে বসবাস

oplus_2

সৈয়দপুর রেল বিভাগের আওতাধীন রেলের প্রায় হাজার খানিক আবাসিক কোয়ার্টার ও দ্বিতল ভবন দীর্ঘ দিন ধরে বেদখল হয়ে আছে। রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হাজার কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি দিন দিন হাতছাড়া হলেও অদৃশ্য কারণে নিরব রয়েছে রেলওয়ে প্রশাসন। অনেক ভবনের ছাঁদ ও দেয়ালে ফাটল থাকলেও আগাছা ভরতি ঝুঁকিপূর্ণ ওইসব ভবন ও কোয়ার্টারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন অনেকে।

মাঝে মধ্যে সন্ধ্যার পর ভবনের পাশের রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে গা শিউরে ওঠে। দেখে মনে হয় ভুতুড়ে বাড়ি। এসব ভুতুড়ে পরিত্যক্ত ও বিধ্বস্ত কোয়ার্টারগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন কিছু অসহায় পরিবার। আবার কিছু ভবন নেশাখোরদের দখলে। সন্ধা হলেই কিছু পরিত্যাক্ত ভবনের পাশে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের আড্ডা। শুধু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রেলওয়ের অধিকাংশ আবাসিক ভবন ও কোয়ার্টারের এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের।

রেলওয়ের শহর হিসেবে পরিচিত সৈয়দপুর। রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাসের জন্য রেলবিভাগের ৭৯৮ দশমিক ৯ একর ভুসম্পত্তির ২০০ একরে দ্বিতল ভবন ও কোয়ার্টারগুলো তৈরি করা হয়।এছাড়া ৩১ টি বাংলোও ১৩৯ টি সাব- বাংলো নির্মাণ করা হয়। দুই কক্ষ বিশিষ্ট বাসা ৭১১ টি ও এক কক্ষ বিশিষ্ট বাসা নির্মাণ করা হয় ১ হাজার ৬০৭ টি। এর মধ্যে সিংহ ভাগ ভবন ও কোয়ার্টার রেলের বেদখলে। পুরনো ও জীর্ণ অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তা ঘোষণা করা হয়নি পরিত্যক্ত হিসেবে। এমনকি রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় সংস্কার ও করা হয়নি যুগের পর যুগ।

রেলওয়ে সুত্র জানায়, আবাসিক দ্বিতল ভবন গুলোতে কর্মকর্তা, ও আবাসিক কোয়ার্টারগুলোতে স্টেশন মাস্টারসহ কর্মচারীর বসবাসের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগ সেগুলো তৈরি করেন। কিন্তু সৈয়দপুর রেল বিভাগের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও তদারকির অভাবে কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেল বিভাগ আর সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।যার ফলে অধিকাংশ কোয়ার্টার রয়েছে বহিরাগতদের দখলে।

১৮৭০ সালে আসাম বেংগল রেলওয়ের তৈরি করা লাল রঙের ভবনগুলোর অধিকাংশ জরাজীর্ণ এবং বসবাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনগুলোতে রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা না থাকায় সাধারণ মানুষ দখল করে নিয়েছে। ভবনগুলো ধসে পড়ার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে বসবাস করছেন বহিরাগতরা। সেই সঙ্গে চুরি হয়ে যাচ্ছে ভবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। ওইসব বহিরাগতদের অনেকেই মাদক বিক্রির সাথে জড়িত। আবার কেউ কেউ অশ্লীল কর্মকাণ্ড ও চালাচ্ছে তাদের দখলকৃত ভবনে।

শহরের সাহেব পাড়ার কয়েকটি ভবন গিয়ে দেখা যায়, এলাকার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বেশির ভাগ ভবন দখল করে রেখেছেন। আবার কেউ কেউ ভাড়ায় দিয়ে রেখেছেন। আওয়ালীগের দাপট দেখিয়ে ভবন সংলগ্ন জমি লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। যার ফলে ভবন ও কোয়ার্টার থেকে ভাড়া পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা মুল্যের জমি অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে।

সাহেবপাড়া এলাকায় গিয়ে কথা হয় ওই এলাকার বাসিন্দা সাবেক কাউন্সিল গুড্ডুর সাথে। তিনি বলেন, বৃটিশ আমলে সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ে কারখানা স্হাপিত হওয়ার কারনেই রেলের শহর হিসেবে পরিচিত হয় এ শহর। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত এ শহর রেলওয়ের খ্যাতি ও সুনাম থাকলেও বর্তমানে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বেদখল হয়ে গেছে রেলওয়ের একাধিক বহুতল ভবন ও কোয়াটার। কেউ কেউ এসব সরকারি ভবন ও কোয়াটার দখল করে ভাড়াও দিয়েছেন। এছাড়া রেলওয়ে কারখানার উর্ধতন কর্মকর্তা ও রেলওয়ে আরএনবি কর্মকর্তাদের মদদ থাকায় লোহা চোর জাবেদ, এরশাদ,আফতাব ও মকবুল কারখানার লোহা চুরি করে সেগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে সোহেল নামের এক চোরাই লোহা বিক্রেতার কাছে। রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ থাকায় সোহেল নামের ওই যুবক শহরের মদভাটি এলাকায় প্রায় ৩ কোটি টাকার ভুসম্পত্তি দখল করে রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, আবাসিক ভবন ও কোয়ার্টারগুলোই শুধু অবৈধ দখলে নয়, তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। বেশিরভাগ কোয়ার্টারে নেই বিদ্যুতের মিটার। পৌর শহরের আনাচে-কানাচে বেশিরভাগ রেল কোয়ার্টারে মিটারবিহীন বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী মাসোহারা হিসেবে বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আবাসিক কোয়ার্টারগুলো অবৈধ দখলদারের হাত থেকে রক্ষা করে কোয়ার্টারগুলো মেরামত করে রেল কর্মচারীদের বরাদ্দ দিলে বাংলাদেশ রেলওয়ের আর্নিক খাত বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারও পাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

রেলওয়ে কোয়ার্টার গুলোর রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা সৈয়দপুর রেল বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। এছাড়া রেলওয়ে মন্ত্রনালয় বা রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ না দিলে কিছুই করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন আগে শহরের ১ নং রেল ঘুমটি এলাকায় রেলওয়ের জমিতে মার্কেট নির্মান কারিকে বাঁধা দিতে গিয়ে প্রান নাশের হুমকি মিলেছে। একারনে ইচ্ছে থাকা সত্বেও কিছু করা সম্ভব হয় না।

সৈয়দপুর রেলবিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোরছালিন বলেন, আমরা রেলওয়ের জমি ভবন ও কোয়ার্টার দখল কারীদের বিরুদ্ধে নোটিশ করতে পারি। উচ্ছেদ বা দখলমুক্ত করার এখতিয়ার আমাদের নেই। যারা দখলমুক্ত করতে পারবেন, তারা যদি না করে তাহলে কি আর করার থাকতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কুড়িগ্রামের রৌমারী দুর্ধর্ষ ডাকাতি, পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

আগাছা ভর্তি ঝুঁকি পুর্ণ রেল ভবনে বসবাস

Update Time : ১১:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

সৈয়দপুর রেল বিভাগের আওতাধীন রেলের প্রায় হাজার খানিক আবাসিক কোয়ার্টার ও দ্বিতল ভবন দীর্ঘ দিন ধরে বেদখল হয়ে আছে। রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হাজার কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি দিন দিন হাতছাড়া হলেও অদৃশ্য কারণে নিরব রয়েছে রেলওয়ে প্রশাসন। অনেক ভবনের ছাঁদ ও দেয়ালে ফাটল থাকলেও আগাছা ভরতি ঝুঁকিপূর্ণ ওইসব ভবন ও কোয়ার্টারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন অনেকে।

মাঝে মধ্যে সন্ধ্যার পর ভবনের পাশের রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে গা শিউরে ওঠে। দেখে মনে হয় ভুতুড়ে বাড়ি। এসব ভুতুড়ে পরিত্যক্ত ও বিধ্বস্ত কোয়ার্টারগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন কিছু অসহায় পরিবার। আবার কিছু ভবন নেশাখোরদের দখলে। সন্ধা হলেই কিছু পরিত্যাক্ত ভবনের পাশে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের আড্ডা। শুধু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রেলওয়ের অধিকাংশ আবাসিক ভবন ও কোয়ার্টারের এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের।

রেলওয়ের শহর হিসেবে পরিচিত সৈয়দপুর। রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাসের জন্য রেলবিভাগের ৭৯৮ দশমিক ৯ একর ভুসম্পত্তির ২০০ একরে দ্বিতল ভবন ও কোয়ার্টারগুলো তৈরি করা হয়।এছাড়া ৩১ টি বাংলোও ১৩৯ টি সাব- বাংলো নির্মাণ করা হয়। দুই কক্ষ বিশিষ্ট বাসা ৭১১ টি ও এক কক্ষ বিশিষ্ট বাসা নির্মাণ করা হয় ১ হাজার ৬০৭ টি। এর মধ্যে সিংহ ভাগ ভবন ও কোয়ার্টার রেলের বেদখলে। পুরনো ও জীর্ণ অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তা ঘোষণা করা হয়নি পরিত্যক্ত হিসেবে। এমনকি রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় সংস্কার ও করা হয়নি যুগের পর যুগ।

রেলওয়ে সুত্র জানায়, আবাসিক দ্বিতল ভবন গুলোতে কর্মকর্তা, ও আবাসিক কোয়ার্টারগুলোতে স্টেশন মাস্টারসহ কর্মচারীর বসবাসের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগ সেগুলো তৈরি করেন। কিন্তু সৈয়দপুর রেল বিভাগের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও তদারকির অভাবে কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেল বিভাগ আর সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।যার ফলে অধিকাংশ কোয়ার্টার রয়েছে বহিরাগতদের দখলে।

১৮৭০ সালে আসাম বেংগল রেলওয়ের তৈরি করা লাল রঙের ভবনগুলোর অধিকাংশ জরাজীর্ণ এবং বসবাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনগুলোতে রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা না থাকায় সাধারণ মানুষ দখল করে নিয়েছে। ভবনগুলো ধসে পড়ার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে বসবাস করছেন বহিরাগতরা। সেই সঙ্গে চুরি হয়ে যাচ্ছে ভবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। ওইসব বহিরাগতদের অনেকেই মাদক বিক্রির সাথে জড়িত। আবার কেউ কেউ অশ্লীল কর্মকাণ্ড ও চালাচ্ছে তাদের দখলকৃত ভবনে।

শহরের সাহেব পাড়ার কয়েকটি ভবন গিয়ে দেখা যায়, এলাকার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বেশির ভাগ ভবন দখল করে রেখেছেন। আবার কেউ কেউ ভাড়ায় দিয়ে রেখেছেন। আওয়ালীগের দাপট দেখিয়ে ভবন সংলগ্ন জমি লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। যার ফলে ভবন ও কোয়ার্টার থেকে ভাড়া পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা মুল্যের জমি অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে।

সাহেবপাড়া এলাকায় গিয়ে কথা হয় ওই এলাকার বাসিন্দা সাবেক কাউন্সিল গুড্ডুর সাথে। তিনি বলেন, বৃটিশ আমলে সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ে কারখানা স্হাপিত হওয়ার কারনেই রেলের শহর হিসেবে পরিচিত হয় এ শহর। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত এ শহর রেলওয়ের খ্যাতি ও সুনাম থাকলেও বর্তমানে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বেদখল হয়ে গেছে রেলওয়ের একাধিক বহুতল ভবন ও কোয়াটার। কেউ কেউ এসব সরকারি ভবন ও কোয়াটার দখল করে ভাড়াও দিয়েছেন। এছাড়া রেলওয়ে কারখানার উর্ধতন কর্মকর্তা ও রেলওয়ে আরএনবি কর্মকর্তাদের মদদ থাকায় লোহা চোর জাবেদ, এরশাদ,আফতাব ও মকবুল কারখানার লোহা চুরি করে সেগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে সোহেল নামের এক চোরাই লোহা বিক্রেতার কাছে। রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ থাকায় সোহেল নামের ওই যুবক শহরের মদভাটি এলাকায় প্রায় ৩ কোটি টাকার ভুসম্পত্তি দখল করে রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, আবাসিক ভবন ও কোয়ার্টারগুলোই শুধু অবৈধ দখলে নয়, তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। বেশিরভাগ কোয়ার্টারে নেই বিদ্যুতের মিটার। পৌর শহরের আনাচে-কানাচে বেশিরভাগ রেল কোয়ার্টারে মিটারবিহীন বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী মাসোহারা হিসেবে বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আবাসিক কোয়ার্টারগুলো অবৈধ দখলদারের হাত থেকে রক্ষা করে কোয়ার্টারগুলো মেরামত করে রেল কর্মচারীদের বরাদ্দ দিলে বাংলাদেশ রেলওয়ের আর্নিক খাত বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারও পাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

রেলওয়ে কোয়ার্টার গুলোর রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা সৈয়দপুর রেল বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। এছাড়া রেলওয়ে মন্ত্রনালয় বা রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ না দিলে কিছুই করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন আগে শহরের ১ নং রেল ঘুমটি এলাকায় রেলওয়ের জমিতে মার্কেট নির্মান কারিকে বাঁধা দিতে গিয়ে প্রান নাশের হুমকি মিলেছে। একারনে ইচ্ছে থাকা সত্বেও কিছু করা সম্ভব হয় না।

সৈয়দপুর রেলবিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোরছালিন বলেন, আমরা রেলওয়ের জমি ভবন ও কোয়ার্টার দখল কারীদের বিরুদ্ধে নোটিশ করতে পারি। উচ্ছেদ বা দখলমুক্ত করার এখতিয়ার আমাদের নেই। যারা দখলমুক্ত করতে পারবেন, তারা যদি না করে তাহলে কি আর করার থাকতে পারে।