Dhaka ১০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশুর হাটে হাসিল কে দেবে-ক্রেতা, না বিক্রেতা? আইন যা বলছে

কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসতেই দেশের বিভিন্ন জেলায় বসতে শুরু করেছে অস্থায়ী পশুর হাট। তবে পশু কেনাবেচার পাশাপাশি যে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবারই বিতর্ক তৈরি হয়, তা হলো—হাসিল কে দেবে? ক্রেতা না বিক্রেতা?

সরকারি বিধান অনুযায়ী, হাটে বিক্রি হওয়া প্রতিটি পশুর ওপর নির্ধারিত হারে যে হাসিল আদায় করা হয়, সেটির দায় বহন করবেন বিক্রেতা। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। অনেক হাটেই দেখা যায়, হাট পরিচালনাকারীরা ক্রেতার কাছ থেকে জোরপূর্বক হাসিল আদায় করছেন, আবার কোথাও কোথাও ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকেই কম বেশি করে হাসিল আদায় করা হয়। যা একপ্রকার বেআইনি চর্চা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন নির্দেশনায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, হাসিল আদায় হবে বিক্রেতার কাছ থেকে। এমনকি ২০২১ সালে হাইকোর্টও একটি রায়ে এই বিধান পুনর্ব্যক্ত করে।

এলাকাবাসীরা বলছেন, বাজারে পশুর দাম এমনিতেই চড়া। তার ওপর হাসিলের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হলে সাধারণ ক্রেতারা চাপে পড়েন।

আইনজীবীরা বলছেন, “ক্রেতার কাছ থেকে হাসিল আদায় করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটি প্রতারণার শামিল। ক্রেতা যেন সচেতন থাকেন এবং অভিযোগ জানান।”

এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, যদি কেউ বেআইনিভাবে হাসিল আদায় করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুতরাং, পশুর হাটে হাসিল সংক্রান্ত প্রশ্নে আইনের দৃষ্টিতে দায়িত্ব একটাই—হাসিল দেবেন বিক্রেতা, ক্রেতা নন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

পশুর হাটে হাসিল কে দেবে-ক্রেতা, না বিক্রেতা? আইন যা বলছে

Update Time : ০৯:৪৯:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসতেই দেশের বিভিন্ন জেলায় বসতে শুরু করেছে অস্থায়ী পশুর হাট। তবে পশু কেনাবেচার পাশাপাশি যে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবারই বিতর্ক তৈরি হয়, তা হলো—হাসিল কে দেবে? ক্রেতা না বিক্রেতা?

সরকারি বিধান অনুযায়ী, হাটে বিক্রি হওয়া প্রতিটি পশুর ওপর নির্ধারিত হারে যে হাসিল আদায় করা হয়, সেটির দায় বহন করবেন বিক্রেতা। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। অনেক হাটেই দেখা যায়, হাট পরিচালনাকারীরা ক্রেতার কাছ থেকে জোরপূর্বক হাসিল আদায় করছেন, আবার কোথাও কোথাও ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকেই কম বেশি করে হাসিল আদায় করা হয়। যা একপ্রকার বেআইনি চর্চা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন নির্দেশনায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, হাসিল আদায় হবে বিক্রেতার কাছ থেকে। এমনকি ২০২১ সালে হাইকোর্টও একটি রায়ে এই বিধান পুনর্ব্যক্ত করে।

এলাকাবাসীরা বলছেন, বাজারে পশুর দাম এমনিতেই চড়া। তার ওপর হাসিলের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হলে সাধারণ ক্রেতারা চাপে পড়েন।

আইনজীবীরা বলছেন, “ক্রেতার কাছ থেকে হাসিল আদায় করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটি প্রতারণার শামিল। ক্রেতা যেন সচেতন থাকেন এবং অভিযোগ জানান।”

এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, যদি কেউ বেআইনিভাবে হাসিল আদায় করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুতরাং, পশুর হাটে হাসিল সংক্রান্ত প্রশ্নে আইনের দৃষ্টিতে দায়িত্ব একটাই—হাসিল দেবেন বিক্রেতা, ক্রেতা নন।