হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিঞা বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে যানজট নিরসনে মহাসড়কে চার হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এর পাশাপাশি কাজ করছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও। কিন্তু বৃষ্টিতে মহাসড়কের ৬৭টি স্থানে খানাখন্দ ও ২৮৫টি দুর্ঘটনা প্রবল এলাকার কারণে যান চলাচল কিছুটা বিঘ্ন ঘটবে।
তারপরও সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় স্বস্তিদায়ক হবে এবারের ঈদযাত্রা।তিনি বুধবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন ও প্রেস ব্রিফিং করে এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি অপারেশন শফিকুল ইসলাম, ডিআইজি অপারেশন হাবিবুর রহমান খান, ডিআইজি রুখসানা সুলতানা, গাজীপুর পুলিশ সুপার ডক্টর যাবের সাদেক, গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার আ ক ম আক্তারুজ্জামান বসুনিয়াসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, শিল্পকারখানা ছুটি হলে মহাসড়কে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ বাড়বে। তবে দুর্ঘটনা প্রবন এলাকায় সতর্কতার সাথে যাত্রী ও চালকদের চলাচল করতে আহ্বান জানান তিনি।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল হেলো এইচপি একটি এ্যাপস উদ্বোধন করা হবে। এই এ্যাপসের মধ্যে ভাড়ার একটি চাট দেওয়া আছে। কেউ বাড়তি ভাড়া চাইলে যাত্রীরা সহজে এ্যাপসের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের যে কোন রোডের ভাড়া সমন্ধে জানতে পারবে। এছাড়াও বাস মালিক সমিতির সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নিবেন না। এরপরও বেশি ভাড়া নেওয়া হলে সাথে সাথে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, মহাসড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার অটোরিকশাসহ থ্রি হুইলার। এসব যানবাহন যেন মহাসড়কে না উঠতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।