জয় দিয়ে রাঙানো হলো না ব্রাজিলের অধ্যায়টা। ইতালিয়ান কোচের অভিষেকটা হলো ড্রয়ে। শুক্রবার (৬ জুন) এস্তাদিও মনুমেন্টালে স্বাগতিক ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে এই ড্রয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইকুয়েডর।
গত কয়েকদিন আনচেলত্তির প্রথম একাদশ নিয়ে বেশ আলোচনা চলেছে। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমগুলো প্রথমদিনের অনুশীলনের পরই একাদশ ফাঁস করে দিয়েছিল। আজ সেই একাদশই নামান তিনি। তবে ইতালিয়ান কোচের কৌশলের সঙ্গে দল যে এখনও মানিয়ে নিতে পারেনি তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।
প্রতিপক্ষের চেয়ে সব দিকেই পিছিয়ে ছিল সেলেসাওরা। ইকুয়েডরের ৫২ শতাংশ বল পজিশনের বিপরীতে ৪৮ ভাগ ছিল ব্রাজিলের দখলে। বল দখলের মতোই শটেও পিছিয়ে ছিল ব্রাজিল।
পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৩ শটের বিপরীতে ৭ শট নেয় ইকুয়েডর। ম্যাচের শুরু থেকে গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দল। শুধু বল পজিশন ধরেই খেলার চেষ্টা করেছে উভয় দল। যার কারণে প্রথমার্ধও গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হয়।
ম্যাচের ২২ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। কিন্তু ভিনিসিয়ুসের নেওয়া শট গোলবার থেকে বের হয়ে এসে সেভ করেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক গনঞ্জালো ভেলে। অন্যদিকে, ৩৭ মিনিটে ইকুয়েডরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। ডিফেন্ডার ইস্টুপিনার ক্রসে হেড নেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন ইয়েবাও। কিন্তু ফ্রি হেডের সুযোগ পেয়ে গোলবারে রাখতে পারেননি ইকুয়েডরের ফরোয়ার্ড। পরে আর তেমন কোনো আক্রমণ না হলে দুই দল গোলশূন্য ড্রয়েই বিরতিতে যায়।
বিরতি শেষেও দুই দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা কোনো দলের গোলরক্ষককেই কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারেনি। শুধু নিজেদের মধ্যেই বল দেওয়া-নেওয়ায় সময় কাটিয়েছেন। ম্যাচের শেষ দিকে দুই দলই একটু গোল পেতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সেই লক্ষ্যেই ৭৫ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন কাসেমিরো। তবে ডি বক্সের ভেতর থেকে যে শটটি নিয়েছিলেন তা রুখে দেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক।
অন্যদিকে, ম্যাচের যোগ করা সময়ে দূরপাল্লার এক বুলেট গতির শট নিয়েছিলেন ইস্টুপিনা। কিন্তু ইকুয়েডরের ডিফেন্ডারের শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। পরে গোল শূন্য ড্রয়েই মাঠ ছাড়েন দুই দল।