আগামীকাল সারাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে চারদিকে চলছে কোরবানির প্রস্তুতির শেষ সময়ের ব্যস্ততা। ইতোমধ্যে অধিকাংশ মানুষ কোরবানির পশু কিনে ফেলেছেন। দা, বটি, ছুরি, চাপাতি ধার করানো ও মেরামতের কাজও প্রায় শেষ।
কোরবানির শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বগুড়ার নন্দীগ্রামের বাজারগুলোতে বেড়েছে মাংস কাটার খাটিয়ার চাহিদা। দা-বটি ও ছুরি সঙ্গে এই খাটিয়াও এখন ঈদের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হয়ে উঠেছে। খাটিয়াগুলো সাধারণত মাঝারি আকারের গাছ কেটে গোলাকৃতিতে রূপ দেওয়া হয়। ঈদুল আযহার সময় মাংস কাটার কাজে এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।
নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খাটিয়া বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কোথাও খোলা আকাশের নিচে, কোথাও ছোট দোকান ঘেষেঁ সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন আকারের খাটিয়া। আকার ও কাঠের মান অনুযায়ি খাটিয়ার দাম দ’শ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ’শ টাকার মধ্যে রয়েছে।
বিক্রেতা বাদশা মিয়া জানান, এই খাটিয়াগুলো তৈরিতে তেতুঁল ও নিম কাঠ ব্যবহার করা হয়। কারণ এই কাঠগুলো শক্ত ও টেকসই। মূলত কোরবানির সময়েই এ খাটিয়ার চাহিদা বেড়ে যায়। কাঠ ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, প্রতিবছর ঈদের আগেই আমরা ছ’মিল থেকে ছোট ছোট গাছের গুড়ি সংগ্রহ করি এবং সেগুলো নির্দিষ্ট মাপে কেটে খাটিয়া তৈরি করি। এরপর বাজারে বিক্রি করি।
ঈদকে ঘিরে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বাজারে অস্থায়ী দোকান বসিয়েছে। মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তারা বিভিন্ন মাপের খাটিয়া নিয়ে হাজির হয়েছেন। ফলে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন বাজারে এখন খাটিয়া বিক্রির ধুম পড়েছে।
ক্রেতা জোবায়ের রানা বলেন, প্রতি বছর ঈদুল আযহায় নতুন একটি খাটিয়া কিনি। এটি শুধু একটি উপকরণ নয়, বরং ঈদের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এটি কিনতেই আনন্দ লাগে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা বণিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাহাবুবুর রহমান বলেন, এই খাটিয়ার বাজার কেবল প্রয়োজন মেটায় না, এটি ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এক অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের আংশ। মৌসুমি বিক্রেতা ও কাঠ ব্যবসায়ীরা এতে লাভবান হয়।