Dhaka ০৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা

ইসরায়েল গাজায় বর্বর হামলা চালিয়েছে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও। এই হামলায় একই পরিবারের ১৬ সদস্যসহ অন্তত ৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ১৬ জন একই পরিবারের সদস্য এবং এই ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন শিশুও রয়েছে। এই পরিবারটি বসবাস করত গাজার প্রধান ও মধ্যাঞ্চলীয় শহর গাজা সিটির সাবরা এলাকায়।

ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল আল জাজিরাকে বলেন, ‘বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।’

তিনি জানান, শনিবারের হামলায় অন্তত ৮৫ জন ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।

এটা ছিল পুরোপুরি ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা। শনিবার যারা নিহত হয়েছেন, তাদের সবাই বেসামরিক এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু আছেন বলেও জানান তিনি।

গাজা সিটির বাসিন্দা হামেদ কেহিল আলজাজিরাকে বলেন,অন্যান্য বছর এ সময় আমরা সকাল সকাল উঠে নিজেদের এবং বাচ্চাদের নতুন পোশাকে সাজিয়ে বন্ধু-আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। আর এবার আমরা আমাদের শিশু ও স্বজনদের লাশ বহন করছি। গতকাল ভোর রাতে আমাদের ঘুম ভেঙেছে হামলা, ধ্বংস আর আর্তনাদের শব্দে।

গাজা সিটির অপর বাসিন্দা হাসান আলখোর আল জাজিরাকে বলেন,গত প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যা যা করেছে, সেজন্য যেন নেতানিয়াহুকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা

Update Time : ০১:০৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

ইসরায়েল গাজায় বর্বর হামলা চালিয়েছে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও। এই হামলায় একই পরিবারের ১৬ সদস্যসহ অন্তত ৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ১৬ জন একই পরিবারের সদস্য এবং এই ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন শিশুও রয়েছে। এই পরিবারটি বসবাস করত গাজার প্রধান ও মধ্যাঞ্চলীয় শহর গাজা সিটির সাবরা এলাকায়।

ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল আল জাজিরাকে বলেন, ‘বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।’

তিনি জানান, শনিবারের হামলায় অন্তত ৮৫ জন ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।

এটা ছিল পুরোপুরি ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা। শনিবার যারা নিহত হয়েছেন, তাদের সবাই বেসামরিক এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু আছেন বলেও জানান তিনি।

গাজা সিটির বাসিন্দা হামেদ কেহিল আলজাজিরাকে বলেন,অন্যান্য বছর এ সময় আমরা সকাল সকাল উঠে নিজেদের এবং বাচ্চাদের নতুন পোশাকে সাজিয়ে বন্ধু-আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। আর এবার আমরা আমাদের শিশু ও স্বজনদের লাশ বহন করছি। গতকাল ভোর রাতে আমাদের ঘুম ভেঙেছে হামলা, ধ্বংস আর আর্তনাদের শব্দে।

গাজা সিটির অপর বাসিন্দা হাসান আলখোর আল জাজিরাকে বলেন,গত প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যা যা করেছে, সেজন্য যেন নেতানিয়াহুকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়।