Dhaka ০৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিতাসে দুই মেয়েকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় বাবার বিরুদ্ধে বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়ে শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে।

আজ সোমবার সকালে তিতাস উপজেলার তুলাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুদের নাম মনিরা (১০) ও ফাতিহা (৬)।

জানা গেছে, অভিযুক্ত বাবা মনু মিয়া নিজেও বাকপ্রতিবন্ধী। কীটনাশক খাইয়ে দুই মেয়েকে হত্যা করেছেন মনু মিয়ে। তবে তিনি বেঁচে আছেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘটনার সময় শিশুদের মা হাসিনা বেগম রান্নাঘরে নাশতা তৈরি করছিলেন।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, ‘বাবা ও দুই মেয়ে তিনজনই বাকপ্রতিবন্ধী। দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছি। তাদের লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়দের দাবি, পরিবারের অসচ্ছলতা ও অভাব-অনটনের কারণেই বাবা দুই মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বাকপ্রতিবন্ধী মনু মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো কাজকর্ম করতে পারছেন না। বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়ে, শারীরিক অবস্থা, দারিদ্রতার এহেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তার মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। এসব কারণেই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সরফরাজ হোসেন খান বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে মনু মিয়া এবং তার দুই মেয়েকে আমাদের এখানে আনা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মনিরা ও ফাতিহার মৃত্যু হয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কোস্টগার্ড অস্ত্র ও গোলাবারুদ ও সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর এক সহযোগীকে আটক

তিতাসে দুই মেয়েকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা

Update Time : ০৭:৫২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় বাবার বিরুদ্ধে বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়ে শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে।

আজ সোমবার সকালে তিতাস উপজেলার তুলাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুদের নাম মনিরা (১০) ও ফাতিহা (৬)।

জানা গেছে, অভিযুক্ত বাবা মনু মিয়া নিজেও বাকপ্রতিবন্ধী। কীটনাশক খাইয়ে দুই মেয়েকে হত্যা করেছেন মনু মিয়ে। তবে তিনি বেঁচে আছেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘটনার সময় শিশুদের মা হাসিনা বেগম রান্নাঘরে নাশতা তৈরি করছিলেন।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, ‘বাবা ও দুই মেয়ে তিনজনই বাকপ্রতিবন্ধী। দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছি। তাদের লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়দের দাবি, পরিবারের অসচ্ছলতা ও অভাব-অনটনের কারণেই বাবা দুই মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বাকপ্রতিবন্ধী মনু মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো কাজকর্ম করতে পারছেন না। বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়ে, শারীরিক অবস্থা, দারিদ্রতার এহেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তার মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। এসব কারণেই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সরফরাজ হোসেন খান বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে মনু মিয়া এবং তার দুই মেয়েকে আমাদের এখানে আনা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মনিরা ও ফাতিহার মৃত্যু হয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।’