নীলফামারীর ডোমারে নববধু বৃষ্টি আক্তারের হাতের মেহেদীর রং না শুকাতেই লাশ হতে হলো। সেই নববধুকে হত্যার অভিযোগে স্বামী নুরননবীকে গ্রেফতার করেছে ডোমার খানা পুলিশ।
অপরদিকে নববধু বৃষ্টি আক্তারের শয়ন কক্ষ হতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বসুনিয়ার হাট এলাকায়। অভিযোগ সুত্রে জানাযায় নীলফামারী সদর ইউনিয়নের চওড়া বড়গাছা আঞ্জুমান পাড়ার ভ্যানচালক আলাউদ্দিনের কন্যা বৃষ্টি আক্তার (১৮) সাথে ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বসুনিয়ার হাট এলাকায় ইউসুফ আলীর ছেলে নুরননবী (২০) এর গত-০৪/০৫/২০২৫ তারিখে বিয়ে হয়।
বৃষ্টির পিতার অভিযোগ বিয়ের ১ মাসের মাথায় কারণে অকারণে স্বামীসহ তার বাড়ীর লোকজন প্রায় মারধর করতো। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের পরদিন ০৮/০৬/২০২৫ ইং তারিখে সকাল ১১টায় বৃষ্টির শশুর বাড়ী থেকে ফোনে জানায় বৃষ্টি গলায় রশি দিয়ে আতœহত্যা করেছে। তাৎক্ষনিক বৃষ্টির বড়ভাই মজিদুল তাদের বাড়ীতে গিয়ে দেখে বোনের লাশ বিছানায় পড়ে আছে। থানায় সংবাদ দিলে এসআই আঙ্গুর মিয়া, কাজল কুমার রায়সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশের সুরতাহাল শেষে থানায় নিয়ে আসে। অপরদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহ ভাজন হিসাবে বৃষ্টির স্বামী নুরনবীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। পরদিন সকালে লাশ জেলার মর্গে পাঠানো হয়।
ডোমার থানার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শৈলেন চন্দ্র দেব জানান পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় নুরনবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে সেই প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বৃষ্টির বাবা আলাউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে মারধর করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে তারা। সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবী জানান তিনি।