নিশ্চিতভাবেই এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি বড় হুমকি। সেতুতে টোল ফেলা ও সহিংসতা চালানো শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের চলাচল ও দৈনন্দিন জীবনকে বিঘ্নিত করে না.এটি দেশের শান্তি ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে।
বিএনপির সমর্থিত যে কোনো কর্মীরা যদি এ রকম অপ্রীতিকর ও অবৈধ কাজ করে থাকেন, তা কঠোরভাবে দমন করা উচিত।
সন্ত্রাস ও সহিংসতা কোনো রাজনৈতিক দলের নীতি হতে পারে না। জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত এবং শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়া, রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের উচিত শান্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক পথেই তাদের মত প্রকাশ করা এবং দেশের উন্নয়ন ও ঐক্যের জন্য কাজ করা। জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
আমরা প্রত্যাশা করব যে.সকল পক্ষ শান্তি রক্ষা করবে এবং দেশের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার পথে এগিয়ে যাবে।খুলনার ঐতিহ্যবাহী খানজাহান আলী সেতুর টোল প্লাজায় গতকাল বিএনপি-সমর্থিত কর্মীদের যে ধরনের সন্ত্রাসী ও বিশৃঙ্খল আচরণ পরিলক্ষিত হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়, অগ্রহণযোগ্য ও দেশের আইন-শৃঙ্খলার জন্য চরম হুমকি স্বরূপ।
টোল প্লাজা একটি রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক কেন্দ্র, যেখানে জনগণের কর ও টোলের মাধ্যমে রাষ্ট্র উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা করে। সেখানে হামলা.ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রতিবাদের মাধ্যম হতে পারে না। বরং এটি একটি পরিকল্পিত নাশকতা.যা জনজীবন.রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সুশাসনের ওপর সরাসরি আঘাত।
এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে দলীয় রাজনীতিকে সহিংসতার পথে পরিচালিত করার চেষ্টা অত্যন্ত বিপজ্জনক। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মত প্রকাশের অধিকার থাকলেও, তা কখনোই সহিংসতা.ভাঙচুর বা নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে করা যেতে পারে না।
প্রশাসনের উচিত এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এবং জনগণকে আশ্বস্ত করা যে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না। একইসাথে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হবে তাদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং শান্তিপূর্ণ, আইনি পথে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা।
দেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে — এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে যারা সহিংসতার পথ বেছে নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নেওয়া জরুরি।