বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সরকার বিগত সময়ের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। বিগত ‘১২ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। আগামী বছর আরও দাম বাড়বে। সরকার চামড়ার পুরনো ঐতিহ্য ফিরে দেয়ার চেষ্টা করছে। চামড়া সংরক্ষণ না করে পচিয়ে ফেললে সে দায়িত্ব সরকারের না।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকালে জয়পুরহাট শহরের আরাফাত নগর এলাকায় চামড়ার আড়ৎ ও চামড়ার সংরক্ষণাগার পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বর্তমান সরকার চামড়া শিল্পকে রক্ষায় যতগুলো পদক্ষেপ গ্রহন করেছে, অতীতের কোন সরকার তা গ্রহন করেনি। আমরা চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সচেতনতা সৃষ্টিতে পোষ্টার, লিফলেট বিতরণ করেছি। এ শিল্পের সাথে জড়িত ৮৬ হাজার কসাইকে প্রশিক্ষন প্রদান করেছি। সরকার লবণযুক্ত চামড়ার মুল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। লবণযুক্ত চামড়া বেশীদিন রাখলে ভাল মূল্য পাওয়া যাবে। যারা সরকারি নিয়ম মেনে চামড়া লবণ দিয়ে রেখেছে তারা চামড়ার ভাল মূল্য পাবে। বিভিন্ন মাদ্রসায় যেসব চামড়া রাখা হয়েছে তাও ভাল মূল্যে বিক্রি হবে। মাদ্রাসা, এতিমখানাগুলো প্রয়োজনে তিনমাস চামড়া সংরক্ষণ করতে পারবেন।
বানিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বর্তমানে বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে কড়া প্রহড়ায় বয়েছে। সে কারনে বাংলাদেশ থেকে চামড়া পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের কোন আশংকা নেই। তিনি আরাফাতনগর চামড়া আড়ত পরিদর্শন শেষে জামালপুর এলাকায় আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মারকাজুল উলুম মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।
এসময় উপদেষ্টার সাথে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্তার চৌধুরী, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক শামিম উপস্থিত ছিলেন।