যশোরের শার্শায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে এক যুবককে কুপিয়ে
হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার শিকার যুবকের নাম লিটন হোসেন ওরফে কানা লিটন (৩৫)। এনিয়ে ৬ দিনের ব্যবধানে শার্শায় ৩ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
গত (৭জুন) শনিবার ঈদের দিন রাতে উপজেলার ডুবপাড়া গ্রামে আব্দুল হাই নামে এক বিএনপি নেতা খুন হন ৷ এর আগে গত (৫জুন) বৃহস্পতিবার রাতে শার্শার নাভরনের দক্ষিন বুরুজ বাগান গ্রামের মাঠে খুন হন সবুজ হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মী৷
স্থানীয়রা জানান, সোমবার (১০ জুন) রাত সাড়ে দশটায় স্থানীয় এক মুদি দোকানের সামনে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত লিটন হোসেন ওই গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লিটনের সঙ্গে একই এলাকার কয়েকজনের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ চলছিল। এর আগে একাধিকবার তাকে হুমকি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ ঈদের আগের দিন সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সঙ্গে তার তর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় রাতে লিটন একা অবস্থান করছিলেন শার্শার লক্ষনপুর ইউপি’র দূর্গাপুর গ্রামের এক মুদি দোকানের সামনে। ঠিক সে সময় পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালানো হয়। স্থানীয়রা আরো জানান, অভিযুক্তরা ছিলেন আব্দুল মমিন (৫৫), তার ছেলে সেলিম হোসেন (৩৫) ও রমজান আলী (৩৫)। এ সময় তাদের সঙ্গে
আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ছিলেন। তারা লিটনের ওপর ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে এবং মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
একটি সুত্র জানান, কানা লিটন একাধিক মামলার আসামি ৷ সে গত ২০দিন পূর্বে দীর্ঘদিন হাজতবাস করে জামিনে এলাকায় ফিরে আসেন ৷
লিটনের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত লিটনকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে নিহতের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।
শার্শা থানার ওসি রবিউল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আটকের চেষ্টা চলছে।