সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ, এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে। ফলে যে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা নিয়ে সমর্থকরা জাতীয় স্টেডিয়ামে এসেছিলেন, তা রূপ নিয়েছে বিষাদ মুহূর্তে। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে আরেক গোল হজম করে। এরপর রাকিব একটি শোধ করলেও শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফেরা হয়নি।
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। আবার দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও একটা গোল হজম করে স্বাগতিকরা। গ্যালারি তখন একেবারে নিশ্চুপ। সেই নিরবতা ভাঙলো ম্যাচের ৬৭ মিনিটে। দর্শকদের সে কি চিৎকার, একেবারে গলা ফাটানো। কারণটা হলো, হামজার বাড়ানো বল থেকে সিঙ্গাপুরের গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে গোল করেন রাকিব হোসেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে সিঙ্গাপুর। বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগও তৈরি করেছে, তবে তা কাজে আসেনি। সময়ে সময়ে আবার বাংলাদেশও নাড়া দিয়েছে সিঙ্গাপুরের ঘরে। মাঝেমধ্যে ফাহামেদুল-সমিতরাও ভীতি ধরিয়েছেন প্রতিপক্ষের মনে।
ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণে ঢুকে পড়ে সিঙ্গাপুর। গোলকিপার মিতুল বল ফিস্ট করতে গিয়ে পারেননি। বক্সের মধ্য থেকে হেড দিয়ে সিঙ্গাপুরের একজন বল দেন ডান দিকে। সেখান থেকে তিনি বল দেন বাঁ পাশে। শট নেন সিঙ্গাপুরের সং উই ইয়াং। হামজা চৌধুরী অনেক দূর থেকে দৌড়ে এসে গোল বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি।
প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের ডেরায় বেশ কয়েকবার হানা দিয়েছিলো সমিত-ফাহামেদুলরা। তবে বাংলাদেশের আক্রমণের উৎস যেনো সমিত সোম। প্রথমার্ধে কমপক্ষে পাঁচটি আক্রমণের উৎস ছিলেন সমিত। কিন্তু তার দারুণভাবে বাড়ানো পাসগুলো কাজে লাগাতে পারেননি রাকিব-ফাহামেদুলরা।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বাংলাদেশ। সতীর্থের ক্রস থেকে দারুণ এক হেড করেছিলেন ইখসান ফান্দি। তবে পোস্ট ঘেঁষে সেটি বেরিয়ে যায়।
খেলার প্রথম ২০ মিনিটে আক্রমণে এগিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। ফাহামেদুল ইসলাম ও শাকিল আহাদ একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু রাকিব হোসেন কাজে লাগাতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে সিঙ্গাপুরও দুটি সুযোগ তৈরি করেছিলো। তারাও সুযোগ হাতছাড়া করেছে।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় সিঙ্গাপুর। দ্বিতীয় গোলটি করেছেন ইকসান ফান্দি। বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া সিঙ্গাপুরের এক ফরোয়ার্ডের শট বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল ঠেকালেও ভালোভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বক্সের মধ্যেই বল পেয়ে যান ফান্দি। দূরের পোস্টে তার নেওয়া শট ঠেকাতে পারেননি মিতুল মারমা।
৬৭ মিনিটে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরীর বাড়ানো বল পেয়ে সিঙ্গাপুরের গোলকিপারকে বোকা বানান রাকিব হোসেন। শেষ ১০ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডেরায় একের পর এক আক্রমণ করেছে স্বাগতিকরা। হামজা-সমিতদের আক্রমণ ঠেকাতে রীতিমতো ঘাম ঝরেছে সফরকারীদের। তবে চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত সমতা ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় হামজাদের।