Dhaka ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদযাত্রার ১২ দিনে সড়কে ঝরল ৩১২ প্রাণ

সারা দেশে ৩৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৩১২ জন। গুরুতর আহত হয়েছেন এক হাজার ৫৭ জন। এবারের ঈদুল আজহার আগে ও পরে ১২ দিনে (৩-১৪ জুন)

আজ বুধবার (১৮ জুন) সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত ৩ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত হিসাব করে এই ১২ দিন ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ে ১২১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৭ জন। যা মোট নিহতের শতাংশে সবচেয়ে বেশি। এই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ৮ আহত হয়েছেন। ৩২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১৬টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত। একক জেলা হিসেবে ফরিদপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি ২৭টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। এখানে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ৩৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ৫৩ জন আহত হয়েছেন।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্রে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১০৭ জন (৩৪.২৯ শতাংশ), বাস যাত্রী ৩৩ জন (১০.৫৭ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ আরোহী ১৮ জন (৫.৭৬ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১১ জন (৩.৫২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৭৩ জন (২৩.৩৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-বিভাটেক) ২০ জন (৬.৪১ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল আরোহী ৬ জন (১.৯২ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩৬টি (৩৯.১৯ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১২১টি (৩৪.৮৭ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৩৪টি (৯.৭৯ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৫৬টি (১৬.১৩ শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনাগুলোর ৮১টি (২৩.৩৪ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬৩টি (৪৬.৯৭ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৪৬টি (১৩.২৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৫১টি (১৪.৬৯ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৬টি (১.৭২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫৮৯টি। এরমধ্যে বাস ১১৪টি, ট্রাক ৬৬টি, কাভার্ডভ্যান ১১টি, পিকআপ ১২টি, ট্রাক্টর ৪টি, ট্রলি ৬টি, ড্রাম ট্রাক ৭টি, মাইক্রোবাস ১৭টি, প্রাইভেটকার ২৯টি, অ্যাম্বুলেন্স ৩টি, মোটরসাইকেল ১২৮টি, থ্রি-হুইলার ১২৬টি (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৪১টি (নসিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-বিভাটেক), বাইসাইকেল-রিকশা ১৩টি এবং অজ্ঞাত যানবাহন ১২টি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কে সিসির উদ্যোগে মৃত মুসলিম মানুষের গোসলের জন্য স্থয়ীভাবে আধুনিক স্থান নির্ধারণ

ঈদযাত্রার ১২ দিনে সড়কে ঝরল ৩১২ প্রাণ

Update Time : ০৫:২৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

সারা দেশে ৩৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৩১২ জন। গুরুতর আহত হয়েছেন এক হাজার ৫৭ জন। এবারের ঈদুল আজহার আগে ও পরে ১২ দিনে (৩-১৪ জুন)

আজ বুধবার (১৮ জুন) সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত ৩ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত হিসাব করে এই ১২ দিন ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ে ১২১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৭ জন। যা মোট নিহতের শতাংশে সবচেয়ে বেশি। এই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ৮ আহত হয়েছেন। ৩২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১৬টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত। একক জেলা হিসেবে ফরিদপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি ২৭টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। এখানে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ৩৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ৫৩ জন আহত হয়েছেন।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্রে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১০৭ জন (৩৪.২৯ শতাংশ), বাস যাত্রী ৩৩ জন (১০.৫৭ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ আরোহী ১৮ জন (৫.৭৬ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১১ জন (৩.৫২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৭৩ জন (২৩.৩৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-বিভাটেক) ২০ জন (৬.৪১ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল আরোহী ৬ জন (১.৯২ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩৬টি (৩৯.১৯ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১২১টি (৩৪.৮৭ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৩৪টি (৯.৭৯ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৫৬টি (১৬.১৩ শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনাগুলোর ৮১টি (২৩.৩৪ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬৩টি (৪৬.৯৭ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৪৬টি (১৩.২৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৫১টি (১৪.৬৯ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৬টি (১.৭২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫৮৯টি। এরমধ্যে বাস ১১৪টি, ট্রাক ৬৬টি, কাভার্ডভ্যান ১১টি, পিকআপ ১২টি, ট্রাক্টর ৪টি, ট্রলি ৬টি, ড্রাম ট্রাক ৭টি, মাইক্রোবাস ১৭টি, প্রাইভেটকার ২৯টি, অ্যাম্বুলেন্স ৩টি, মোটরসাইকেল ১২৮টি, থ্রি-হুইলার ১২৬টি (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৪১টি (নসিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-বিভাটেক), বাইসাইকেল-রিকশা ১৩টি এবং অজ্ঞাত যানবাহন ১২টি।