Dhaka ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকারে জলাবদ্ধতায় জর্জরিত কেসিসি’র দক্ষিণ লবণচরা বাসী

খুলনা মহানগরীর ৩১নং ওয়ার্ড লবনচরা মোক্তার হোসেন রোডের বাইশ বিঘা ও অষ্টম গলির এলাকায় আজ বুধবার ১৮ জুন সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বসবাসরত বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই খুলনার দক্ষিণ লবণচরার মুক্তার হোসেন রোডের বাইশ বিঘা ও অষ্টম গলির পশ্চিম মাথার দিকে সৃষ্টি হয় চরম জলাবদ্ধতা।
এলাকাবাসী জানান. গলির পূর্ব পাশে সিটি কর্পোরেশনের মাস্টার ড্রেন থাকলেও সঠিকভাবে ওয়াটার লেভেল নির্ধারণ না করায় পশ্চিম পাশের ঘরবাড়িগুলো প্রতি বছর বর্ষাকালে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।
নির্মাণে অব্যবস্থাপনা, স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৭ইং সড়ক নির্মাণের সময় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিসুর রহমান বিশ্বাস দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে মোক্তার হোসেন রোডে বাই লেন সমূহের  ১ থেকে ৬ নম্বর গলির রাস্তা নির্মাণ শেষ করলেও.৭ ও ৮ নম্বর গলির কাজ বন্ধ করে দেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় সাংবাদিক মোসলেহউদ্দিন তুহিনের উদ্যোগে সিটি কর্পোরেশনের কাছে বারবার তদবির করে এই গলির রাস্তাও নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়। সেই সময় ১২ ফুট প্রশস্ত রাস্তার উভয় পাশে ১ ফুট করে ড্রেনের জন্য জায়গা ছেড়ে ১০ ফুট রাস্তা নির্মাণ করা হয়। সিটি কর্পোরেশন প্রতিশ্রুতি দেয়, পরবর্তী বাজেটে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। কিন্তু আজ অবধি তা বাস্তবায়িত হয়নি।
রাজনৈতিক অবহেলাঃ   এলাকাবাসী দাবি করেছেন, মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক দক্ষিণ লবণচড়া থেকে কম ভোট পাওয়ার কারণে এই এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ দেননি। বারবার তার কার্যালয়ে গিয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ফলে জনগণের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বেড়েই চলেছে।
পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিঃ বাইশ বিঘা-অষ্টম গলির দূরত্ব ময়ূর নদ থেকে মাত্র ৪০০ মিটার হলেও অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমির উপর অবৈধ দখলের কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জলাবদ্ধ পানি দীর্ঘদিন জমে থাকায় দুর্গন্ধ, চর্মরোগ. ডেঙ্গু. হাঁপানি. চুলকানি.এ মনকি ছোট শিশুদের পানিতে ডুবে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে।
মিডিয়ায় বারবার প্রতিবেদন. তবুও নিরব প্রশাসনঃ এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রতিবছর প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিপাত নেই বললেই চলে। এলাকার নাগরিকদের একমাত্র দাবি – দ্রুত ড্রেন নির্মাণ ও পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।
এলাকাবাসীদের দাবীঃ
১. দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ
২. সঠিক ওয়াটার লেভেল মেপে রাস্তাঘাট পুনঃনির্মাণ
৩. ময়ূর নদ পর্যন্ত পানিনিষ্কাশনের পথ উন্মুক্তকরণ
৪. রাজনৈতিক হিংসা বা অবহেলা দূর করে সমানভাবে নগর উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কে সিসির উদ্যোগে মৃত মুসলিম মানুষের গোসলের জন্য স্থয়ীভাবে আধুনিক স্থান নির্ধারণ

খুলনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকারে জলাবদ্ধতায় জর্জরিত কেসিসি’র দক্ষিণ লবণচরা বাসী

Update Time : ০৫:২০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
খুলনা মহানগরীর ৩১নং ওয়ার্ড লবনচরা মোক্তার হোসেন রোডের বাইশ বিঘা ও অষ্টম গলির এলাকায় আজ বুধবার ১৮ জুন সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বসবাসরত বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই খুলনার দক্ষিণ লবণচরার মুক্তার হোসেন রোডের বাইশ বিঘা ও অষ্টম গলির পশ্চিম মাথার দিকে সৃষ্টি হয় চরম জলাবদ্ধতা।
এলাকাবাসী জানান. গলির পূর্ব পাশে সিটি কর্পোরেশনের মাস্টার ড্রেন থাকলেও সঠিকভাবে ওয়াটার লেভেল নির্ধারণ না করায় পশ্চিম পাশের ঘরবাড়িগুলো প্রতি বছর বর্ষাকালে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।
নির্মাণে অব্যবস্থাপনা, স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৭ইং সড়ক নির্মাণের সময় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিসুর রহমান বিশ্বাস দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে মোক্তার হোসেন রোডে বাই লেন সমূহের  ১ থেকে ৬ নম্বর গলির রাস্তা নির্মাণ শেষ করলেও.৭ ও ৮ নম্বর গলির কাজ বন্ধ করে দেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় সাংবাদিক মোসলেহউদ্দিন তুহিনের উদ্যোগে সিটি কর্পোরেশনের কাছে বারবার তদবির করে এই গলির রাস্তাও নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়। সেই সময় ১২ ফুট প্রশস্ত রাস্তার উভয় পাশে ১ ফুট করে ড্রেনের জন্য জায়গা ছেড়ে ১০ ফুট রাস্তা নির্মাণ করা হয়। সিটি কর্পোরেশন প্রতিশ্রুতি দেয়, পরবর্তী বাজেটে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। কিন্তু আজ অবধি তা বাস্তবায়িত হয়নি।
রাজনৈতিক অবহেলাঃ   এলাকাবাসী দাবি করেছেন, মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক দক্ষিণ লবণচড়া থেকে কম ভোট পাওয়ার কারণে এই এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ দেননি। বারবার তার কার্যালয়ে গিয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ফলে জনগণের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বেড়েই চলেছে।
পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিঃ বাইশ বিঘা-অষ্টম গলির দূরত্ব ময়ূর নদ থেকে মাত্র ৪০০ মিটার হলেও অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমির উপর অবৈধ দখলের কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জলাবদ্ধ পানি দীর্ঘদিন জমে থাকায় দুর্গন্ধ, চর্মরোগ. ডেঙ্গু. হাঁপানি. চুলকানি.এ মনকি ছোট শিশুদের পানিতে ডুবে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে।
মিডিয়ায় বারবার প্রতিবেদন. তবুও নিরব প্রশাসনঃ এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রতিবছর প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিপাত নেই বললেই চলে। এলাকার নাগরিকদের একমাত্র দাবি – দ্রুত ড্রেন নির্মাণ ও পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।
এলাকাবাসীদের দাবীঃ
১. দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ
২. সঠিক ওয়াটার লেভেল মেপে রাস্তাঘাট পুনঃনির্মাণ
৩. ময়ূর নদ পর্যন্ত পানিনিষ্কাশনের পথ উন্মুক্তকরণ
৪. রাজনৈতিক হিংসা বা অবহেলা দূর করে সমানভাবে নগর উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ।