খুলনা নগরীর বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস হলে আজ বুধবার ১৮ জুন সকল ০৯ টা ৩০ মিনিটে কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।
সভার শুরুতে বিগত কল্যাণ সভায় উপস্থাপিত প্রস্তাবসমূহের সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। অত:পর সভায় উপস্থিত বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের উত্থাপিত সমষ্টিগত দাবী-দাওয়ার বিষয়গুলো পুলিশ কমিশনার মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেন এবং সেগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
অতপঃর খুলনা বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা: সৈয়দ একেএমএন করিম ডেঙ্গু এবং করোনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর সর্বস্তরে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সুপারভাইজিং পদের কর্মকর্তাগণ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে সকল পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার ও ফোর্সকে অবশ্যই ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে।
পুলিশ সদস্যের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, জনগণের সাথে আচরণ, কর্মস্থলে ডিসিপ্লিন রক্ষা ও আইনগত বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্ষার মৌসুমে ঠান্ডা, জ্বর ও সর্দি-কাশি এড়াতে ডিউটির সময় ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহারে নির্দেশনা প্রদান করেন।
পুলিশ লাইন্স ব্যারাক. থানা. ফাঁড়ি কম্পাউন্ড পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন। খুলনা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে সবাইকে আন্তরিকভাবে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
কল্যাণ সভায় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স, অতিঃ দায়িত্বে ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) জনাব আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) জনাব মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান-সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।