Dhaka ০২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জমজমাট আয়োজনে শেষ হলো দুই দিনের ‘ড্রয়েডকন বাংলাদেশ’

  • ডেক্স নিউজ:
  • Update Time : ১২:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • ৮৭ Time View

সবার মনোযোগ মঞ্চের দিকে। যেখানে আলোচনা হচ্ছে ‘মোবাইল টেস্টিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার’ নিয়ে আলোচনা। সারাবিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে। মোবাইল টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাচ্ছে এআইয়ের ব্যবহার। কী-নোট উপস্থানের মাধ্যমে সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরা হচ্ছে প্রযুক্তি বিষয়গুলো।

অংশগ্রহণকারীরাও তাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করে নিচ্ছে এমন বিভিন্ন সেশনের মাধ্যমে। এমনই দেখা গেছে রাজধানীর ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত অ্যান্ড্রয়েডের সবচেয়ে বড় কারিগরি সম্মেলন ‘ড্রয়েডকন বাংলাদেশ ২০২৫’ আয়োজনে। বাংলাদেশের অ্যাপ ডেভলপারদের দক্ষতা ও বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে ঢাকায় গত ২০ জুন শুরু হওয়া এ আয়োজনে ছিলো প্রযুক্তি প্রেমিদের পদচারণায় মূখর।

সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন ২১ জুন, শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় নির্ধারিত একাধিক আয়োজন। মোবাইল টেস্টিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ছাড়াও অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা, কটলিন মাল্টিপ্ল্যাটফর্ম ও ইঞ্জিনিয়ারিং নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।। দুই দিনের আয়োজনে জেটব্রেইনস, নেটিভওয়েবস, ওল্ট, ব্রেইন স্টেশন ২৩, চেক, পাঠাও ও জেলেফের মতো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষক, প্রযুক্তিবিদ, প্রোগ্রামাররা অংশ নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে সেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না রহমান। তিনি বলেন,‘অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে যারা কাজ করে বা কাজ করতে চায় তাদের জন্য এ সম্মেলনটি খুবই কার্যকরী। আয়োজনে অ্যান্ড্রয়েডের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যা আমাদের সমৃদ্ধ করেছে।’ বন্ধুদের নিয়ে এ সম্মেলনে অংশ নিতে এসেছেন শাহারিয়ার রহমান। কথা হয় তার সঙ্গেও। নিজেদের পরবর্তী অ্যান্ড্রয়েড ক্যারিয়ারে এ সম্মেলন যে বেশ উপকৃত করেছে সেটা জানালেন। বৈশ্বিক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ মার্কেটের আকার বছরের পর বছর বেশ বড় আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সেভাবে অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করা মানুষের সংখ্যা তেমন বৃদ্ধি পায়নি। যারা দেশে অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করতে চায় তাদের জন্য এ সম্মেলনটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে মনে করেন তিনি।

শেষ দিন একাধিক কী-নোট বক্তৃতা, কারিগরি সেশন যেখানে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা নানা বিষয় তুলে ধরছেন। তারা জানান, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১৩৭.৮ বিলিয়ন অ্যাপ ও গেমস ডাউনলোড করা হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে এই বাজারের আর্থিক মূল্য ৬২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্বজুড়ে অ্যাপ ডেভলপারের সংখ্যা ৫.৯ মিলিয়নের বেশি। বাংলাদেশি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপারের সংখ্যা বৈশ্বিক তুলনায় বেশ কম।

দুই দিনের এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে ৫০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী অংশ নিয়েছেন। প্রযুক্তি দুনিয়ার ২৫ জন আন্তর্জাতিক বক্তা এই সম্মেলন অংশ বক্তব্য দিয়েছেন এবং দুদিনের সম্মেলনে ২০টিরও বেশি কারিগরি সেশনের মাধ্যমে অ্যাপ ডেভলপমেন্ট ও ক্যারিয়ার বিষয়ক নানা বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় কী-নোট বক্তৃতা, লাইটনিং টক ও প্রযুক্তিনির্ভর নানান বিষয়ে মুক্ত আলোচনায় দেশের প্রযুক্তিখাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বরা অংশ নিয়েছেন।

আয়োজনের বিস্তারিত নিয়ে আয়োজক অস্ট্রিয়ার নেটিভ ওয়েবসের সিনিয়র অ্যান্ড্রয়েড প্রকৌশলী মহি-উস-সুন্নাত বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশের নবীন ডেভলপারদের অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করতে এগিয়ে আসুক। বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে তেমন একটা অ্যাপ ডেভলপার নেই। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপার। আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে নবীন ডেভলপার ও আগামীতে যারা অ্যাপ ডেভলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়বেন তাদের দক্ষতা বাড়াতে ভুমিকা রাখার চেষ্টা করেছি।’

সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেশাজীবী, স্টার্টআপে আগ্রহী তরুণ, ডেভেলপার, বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী, বিভিন্ন টেক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, হায়ারিং ম্যানেজার ও প্রযুক্তিখাতে আগ্রহীরা অংশ নিয়েছেন। ২০১৭ সালে ঢাকায় সর্বশেষ ড্রয়েডকন আয়োজন করা হয়েছিল। এবছর ঢাকাসহ বিশ্বের অন্য সব জায়গার মধ্যে বার্লিন, সান ফ্রান্সিসকো, লন্ডন ও নাইরোবির মতো শহরে ড্রয়েডকন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এবারের সম্মেলনের মূল পৃষ্ঠপোষক ডায়নামিক সলিউশন ইনোভেটরস লিমিটেড। গোল্ড স্পন্সর হিসেবে থাকছে ব্রেইন স্টেশন ২৩ এবং চেক। কমিউনিটি পার্টনার হিসেবে থাকছে বিডিঅ্যাপস, জেটব্রেইনস ও অ্যাজাইল বাংলাদেশ। সম্মেলনের ভেন্যু সহযোগী হিসেবে থাকছে আইইউবি আইইইই বাংলাদেশ শাখা এবং আইইউবির কম্পিউটার ও প্রকৌশল বিভাগ (সিএসই)। সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে টেকবাইট সলিউশনস। আয়োজক হিসেবে থাকছে সুন্নাত৬২৯ ডেভ (Sunnat629 Dev)।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কে সিসির উদ্যোগে মৃত মুসলিম মানুষের গোসলের জন্য স্থয়ীভাবে আধুনিক স্থান নির্ধারণ

জমজমাট আয়োজনে শেষ হলো দুই দিনের ‘ড্রয়েডকন বাংলাদেশ’

Update Time : ১২:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

সবার মনোযোগ মঞ্চের দিকে। যেখানে আলোচনা হচ্ছে ‘মোবাইল টেস্টিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার’ নিয়ে আলোচনা। সারাবিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে। মোবাইল টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাচ্ছে এআইয়ের ব্যবহার। কী-নোট উপস্থানের মাধ্যমে সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরা হচ্ছে প্রযুক্তি বিষয়গুলো।

অংশগ্রহণকারীরাও তাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করে নিচ্ছে এমন বিভিন্ন সেশনের মাধ্যমে। এমনই দেখা গেছে রাজধানীর ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত অ্যান্ড্রয়েডের সবচেয়ে বড় কারিগরি সম্মেলন ‘ড্রয়েডকন বাংলাদেশ ২০২৫’ আয়োজনে। বাংলাদেশের অ্যাপ ডেভলপারদের দক্ষতা ও বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে ঢাকায় গত ২০ জুন শুরু হওয়া এ আয়োজনে ছিলো প্রযুক্তি প্রেমিদের পদচারণায় মূখর।

সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন ২১ জুন, শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় নির্ধারিত একাধিক আয়োজন। মোবাইল টেস্টিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ছাড়াও অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা, কটলিন মাল্টিপ্ল্যাটফর্ম ও ইঞ্জিনিয়ারিং নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।। দুই দিনের আয়োজনে জেটব্রেইনস, নেটিভওয়েবস, ওল্ট, ব্রেইন স্টেশন ২৩, চেক, পাঠাও ও জেলেফের মতো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষক, প্রযুক্তিবিদ, প্রোগ্রামাররা অংশ নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে সেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না রহমান। তিনি বলেন,‘অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে যারা কাজ করে বা কাজ করতে চায় তাদের জন্য এ সম্মেলনটি খুবই কার্যকরী। আয়োজনে অ্যান্ড্রয়েডের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যা আমাদের সমৃদ্ধ করেছে।’ বন্ধুদের নিয়ে এ সম্মেলনে অংশ নিতে এসেছেন শাহারিয়ার রহমান। কথা হয় তার সঙ্গেও। নিজেদের পরবর্তী অ্যান্ড্রয়েড ক্যারিয়ারে এ সম্মেলন যে বেশ উপকৃত করেছে সেটা জানালেন। বৈশ্বিক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ মার্কেটের আকার বছরের পর বছর বেশ বড় আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সেভাবে অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করা মানুষের সংখ্যা তেমন বৃদ্ধি পায়নি। যারা দেশে অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করতে চায় তাদের জন্য এ সম্মেলনটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে মনে করেন তিনি।

শেষ দিন একাধিক কী-নোট বক্তৃতা, কারিগরি সেশন যেখানে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা নানা বিষয় তুলে ধরছেন। তারা জানান, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১৩৭.৮ বিলিয়ন অ্যাপ ও গেমস ডাউনলোড করা হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে এই বাজারের আর্থিক মূল্য ৬২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্বজুড়ে অ্যাপ ডেভলপারের সংখ্যা ৫.৯ মিলিয়নের বেশি। বাংলাদেশি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপারের সংখ্যা বৈশ্বিক তুলনায় বেশ কম।

দুই দিনের এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে ৫০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী অংশ নিয়েছেন। প্রযুক্তি দুনিয়ার ২৫ জন আন্তর্জাতিক বক্তা এই সম্মেলন অংশ বক্তব্য দিয়েছেন এবং দুদিনের সম্মেলনে ২০টিরও বেশি কারিগরি সেশনের মাধ্যমে অ্যাপ ডেভলপমেন্ট ও ক্যারিয়ার বিষয়ক নানা বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় কী-নোট বক্তৃতা, লাইটনিং টক ও প্রযুক্তিনির্ভর নানান বিষয়ে মুক্ত আলোচনায় দেশের প্রযুক্তিখাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বরা অংশ নিয়েছেন।

আয়োজনের বিস্তারিত নিয়ে আয়োজক অস্ট্রিয়ার নেটিভ ওয়েবসের সিনিয়র অ্যান্ড্রয়েড প্রকৌশলী মহি-উস-সুন্নাত বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশের নবীন ডেভলপারদের অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করতে এগিয়ে আসুক। বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে তেমন একটা অ্যাপ ডেভলপার নেই। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপার। আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে নবীন ডেভলপার ও আগামীতে যারা অ্যাপ ডেভলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়বেন তাদের দক্ষতা বাড়াতে ভুমিকা রাখার চেষ্টা করেছি।’

সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেশাজীবী, স্টার্টআপে আগ্রহী তরুণ, ডেভেলপার, বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী, বিভিন্ন টেক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, হায়ারিং ম্যানেজার ও প্রযুক্তিখাতে আগ্রহীরা অংশ নিয়েছেন। ২০১৭ সালে ঢাকায় সর্বশেষ ড্রয়েডকন আয়োজন করা হয়েছিল। এবছর ঢাকাসহ বিশ্বের অন্য সব জায়গার মধ্যে বার্লিন, সান ফ্রান্সিসকো, লন্ডন ও নাইরোবির মতো শহরে ড্রয়েডকন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এবারের সম্মেলনের মূল পৃষ্ঠপোষক ডায়নামিক সলিউশন ইনোভেটরস লিমিটেড। গোল্ড স্পন্সর হিসেবে থাকছে ব্রেইন স্টেশন ২৩ এবং চেক। কমিউনিটি পার্টনার হিসেবে থাকছে বিডিঅ্যাপস, জেটব্রেইনস ও অ্যাজাইল বাংলাদেশ। সম্মেলনের ভেন্যু সহযোগী হিসেবে থাকছে আইইউবি আইইইই বাংলাদেশ শাখা এবং আইইউবির কম্পিউটার ও প্রকৌশল বিভাগ (সিএসই)। সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে টেকবাইট সলিউশনস। আয়োজক হিসেবে থাকছে সুন্নাত৬২৯ ডেভ (Sunnat629 Dev)।