সিরাজগঞ্জে সাবেক যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ,অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং অন্যদের ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত তারেকুল ইসলাম তারেক সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা একই মহল্লার মৃত কাশেম আলীর ছেলে সেলিম রেজা ও বাদল সেখ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম খান।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩ এর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হামিদুল ইসলাম দুলাল বলেন, মামলার ১৮ জন আসামীর মধ্যে আদালত ৫জনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় অন্য ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথিসুত্রে প্রকাশ,নিহত গোলাম মোন্তফার সাথে আসামীদের সামাজিক, ব্যবসায়ীক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে ২০১৮ সালের ৩রা অক্টোবর গোলাম মোন্তফা ফজরের নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলো। এ সময় আসামীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিখা খাতুন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামী করে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্শীট দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন আদালত। দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত এরায় দেন। নিহত গোলাম মোস্তফা ওই সময় সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।