নীলফামারীর সৈয়দপুর হলো দেশের অষ্টম বানিজ্যিক শহর। এই শহর একটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা। উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ করদাতাও রয়েছে সৈয়দপুরে কিন্তু উন্নয়ন হয়না রাস্তা ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্হার।
দেখা গেছে, এ পৌরসভার অধিনে ১০ টি প্রধান সড়ক রয়েছে। পাড়া মহল্লায় রয়েছে আরো প্রায় ৭২ টি ছোট ছোট সড়ক।রাস্তার আয়তন মোট ১৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ছোট রাস্তা ১০ কিলোমিটার আর রড় রাস্তা রয়েছে ১৬০ কিলোমিটার। কিন্তু শুধু সংস্কারের অভাবে ১৬০ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শহরের বেশিরভাগ প্রধান সড়কের কার্পেটিং ও খোয়া উঠে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। শহরের কাড়িহাটি সড়ক ও জিআরপি মোড় থেকে রেলওয়ে হাসপাতাল হয়ে মিস্ত্রিপাড়ার সড়কটির করুন অবস্থা। অপরদিকে তামান্না সিনেমা হল থেকে ওয়াবদা মোড় পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। জিআরপি মোড় থেকে রেলওয়ে হাসপাতাল হয়ে মিস্ত্রিপাড়া বাইপাস সড়ক ও তামান্না হল থেকে ওয়াবদা হয়ে নীলফামারী, জলঢাকা ও ডোমার যাওয়ার রুট হলো এই দুটি সড়ক। কিন্তু সংস্কার না হওয়ায় ফলে এই দুটি সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
জিআরপি মোড় থেকে রেলওয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং ও খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কে জমে থাকছে হাটু পানি। এছাড়া দারুলউলুম মাদরাসা মোড় থেকে সুফিয়া মডেল স্কুলের সামনের রাস্তা, যমুনা ষ্টিট,হাজি চেতনা লেন, ১ নং রেল ঘুমটি থেকে হাতিখানা কবরস্থান রোড, চাল মার্কেট রোড,নিচু কলোনি, সাহেবপাড়া, মিস্ত্রি পাড়ার রাস্তাও বেহাল অবস্থা। এসব সড়ক সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় ২ ফুট পানির নিচে।
নাদিম নামের এক রিক্সা চালক রংপুরের ভাষায় বলেন,সউকগুলা (সবগুলো) আস্তাতই খাইল ( রাস্তাতেই গর্ত)। খাইল ভর্তি আস্তা দিয়ে যাত্রী নিয়া গেইলে ( গেলে) এস্কা (রিক্সা) থাকি যাত্রী পরি যায়। তখন হামাক (আমার) গাইলায় ( গালমন্দ করে) ।
শহরবাসী বলেন,২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সৈয়দপুর মহিলা লীগের সভাপতি রাফিকা আকতার জাহান বেবি মেয়র থাকাকালীন প্রায় ৫০০ কোটি টাকারও বেশি বাজেট ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু শহর উন্নয়নে কোন কাজই করেন নি তিনি। ৫ আগষ্টের পর ওই মেয়র গ্রেফতার আতংকে গা ঢাকা দিলে পৌরসভার হিসাবরক্ষক আবু তাহের শহরের রাস্তা ঘাট সংস্কার করতে প্রশাসক নুর ই আলম সিদ্দিকির মাধ্যমে বেশ কটি রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ চলমান। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল নিজ স্বার্থ হাসিল করতে ব্যার্থ হওয়ায় ওই হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে ভিত্তি হীন অভিযোগ তুলে অনত্র বদলী করে দেয়।
পৌরসভার প্রসাশক নুর ই আলম সিদ্দিকি বলেন,অর্থের অভাব থাকা সত্বেও হিসাবরক্ষক আবু তাহেরের প্রচেষ্টায় ২/১ টি সড়ক ও ড্রেনের কাজ করা হয়েছে। কিছু স্বার্থ লোভী মানুষ চায় না হিসাবরক্ষক আবু তাহের সৈয়দপুর পৌরসভায় থাকুক। এজন্যই তাকে বদলী করা হয়েছে। তিনি বলেন যেহেতু আমারও বদলীর অর্ডার হয়েছে, সেহেতু সৈয়দপুরের উন্নয়নের স্বার্থে হিসাবরক্ষক আবু তাহেরকে সৈয়দপুর পৌরসভায় থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।