Dhaka ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনা নগরীর রুপসা ব্রিজের মহাসড়কে ট্রাক পিক-আপ ও ডামপারে ধুলা বালু বহন: জনগণ অতিষ্ট

খুলনা নগরীর খানজাহান আলী রূপসা ব্রিজের মহাসড়কে ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাক গুলোতে সম্পূর্ণ খোলামেলা পরিবেশে ধুলা বালুসহ বিভিন্ন প্রকার বালু বহন করা হচ্ছে।

এতে সাধারণ পথচারী স্কুল. কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী. ভ্যান. রিক্সা. ইজিবাই. মোটরসাইকেল. বাইসাইকেলসহ সড়কে বিভিন্ন যানবাহন চালক ও সড়কের দুই ধারে থাকা সাধারণ ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।

চালকরা দ্রুতগতিতে ঢাকনা বিহীন ও খোলামেলা পরিবেশে ধুলাবালু বহন করায় বালু উড়ে তা চোখে মুখে লাগছে।খানজাহান আলী রূপসা ব্রিজের হাইওয়ে সড়কে এসমস্ত চালকদেরকে খোলামেলা পরিবেশে বালু বহন না করার জন্য এলাকাবাসী বারবার নির্দেশ প্রদান করলেও ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাক চালকরা তার কোন তোয়াক্কা করছে না।

যে কারণে ছোট্ট ছোট্ট যানবাহন চালক পথচারী ও সড়কের পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, সপ্রতি সময়ে প্রত্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে ধুলাবালু দিয়ে ছোট্টছোট্ট নর্দমা পুকুর খানাখন্দর ভরাট করে সেখানে ঘরবাড়ি দোকানপাট বহুতলা ভবন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, প্রত্যন্ত সহড়রের বিভিন্ন রাস্তায় বালু ভারাটের কাজ চলছে। আর এটিকে পুঁজি করে ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাক চালকরা সেই সমস্ত স্থানে বালু ভরাটের কাজ করছেন।

কিন্তু অধিকাংশ ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাকে কোন প্রকার নেট বা ঢাকনা ব্যবহার না করেই বালু বহন করছে। আর সেই বালু উড়ে বা পড়ে মানুষের চোখে মুখে লাগছে অহরহ। ছোট্ট ছোট্ট পরিবহন গুলো উক্ত বালুর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। স্থানীয়রা বারবার এই সমস্ত চালকদের খোলামেলা পরিবেশে বালু বহন না করার জন্য অনুরোধ করলেও চালকরা তার কোন তোয়াক্কা করছে না। ফলে জনগণকে বাধ্য হয়েই এগুলি সহ্য করতে হচ্ছে।

খুলনা নগরীর ৩১ নং ওয়ার্ড লবনচরা এলাকার স্থানীয় কতিপয় বাসিন্দা ও একাধিক ব্যবসায়ী ব্যক্তিরা বলেন, ভোর ০৫ টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত ও বিকাল ০৫ টা হতে গভীর রাত পর্যন্ত তারা খোলামেলা ভাবে বালু বহন করে থাকে।

কারণ এই সময়ে রুপসা ব্রিজর মহাসড়কে কোন পুলিশি চেকপোষ্ট থাকে না। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে তারা বেশি ট্রিপ দেওয়ার জন্য এগুলি করে থাকে। তাঁরা আরো বলেন যে যত বেশি ট্রিপ মারতে পারবে সে তত বেশি ইনকাম করতে পারবে।

তাই দ্রুত ট্রিপ মারতে গেলে উপরে নেট দিলে ঢাকার জন্য বেশি সময় লাগে এ কারনে তারা ঢাকনা বা নেট ব্যবহার করে না। আবার কেউ কেউ দায়সারা ভাবে ট্রাকের সামনের অংশে কিছু নেট দিলেও পিছনের ফাঁকা থাকে। আর ফাঁকা থাকলে সারা রাস্তা বালু পড়ে বা উড়ে জনমানুষের চোখে মুখে লেগে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হয়।
এব্যাপারে এলাকাবাসী লবনচরা থানা পুলিশের পরিদর্শক ওসি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কে সিসির উদ্যোগে মৃত মুসলিম মানুষের গোসলের জন্য স্থয়ীভাবে আধুনিক স্থান নির্ধারণ

খুলনা নগরীর রুপসা ব্রিজের মহাসড়কে ট্রাক পিক-আপ ও ডামপারে ধুলা বালু বহন: জনগণ অতিষ্ট

Update Time : ০২:৫৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

খুলনা নগরীর খানজাহান আলী রূপসা ব্রিজের মহাসড়কে ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাক গুলোতে সম্পূর্ণ খোলামেলা পরিবেশে ধুলা বালুসহ বিভিন্ন প্রকার বালু বহন করা হচ্ছে।

এতে সাধারণ পথচারী স্কুল. কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী. ভ্যান. রিক্সা. ইজিবাই. মোটরসাইকেল. বাইসাইকেলসহ সড়কে বিভিন্ন যানবাহন চালক ও সড়কের দুই ধারে থাকা সাধারণ ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।

চালকরা দ্রুতগতিতে ঢাকনা বিহীন ও খোলামেলা পরিবেশে ধুলাবালু বহন করায় বালু উড়ে তা চোখে মুখে লাগছে।খানজাহান আলী রূপসা ব্রিজের হাইওয়ে সড়কে এসমস্ত চালকদেরকে খোলামেলা পরিবেশে বালু বহন না করার জন্য এলাকাবাসী বারবার নির্দেশ প্রদান করলেও ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাক চালকরা তার কোন তোয়াক্কা করছে না।

যে কারণে ছোট্ট ছোট্ট যানবাহন চালক পথচারী ও সড়কের পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, সপ্রতি সময়ে প্রত্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে ধুলাবালু দিয়ে ছোট্টছোট্ট নর্দমা পুকুর খানাখন্দর ভরাট করে সেখানে ঘরবাড়ি দোকানপাট বহুতলা ভবন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, প্রত্যন্ত সহড়রের বিভিন্ন রাস্তায় বালু ভারাটের কাজ চলছে। আর এটিকে পুঁজি করে ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাক চালকরা সেই সমস্ত স্থানে বালু ভরাটের কাজ করছেন।

কিন্তু অধিকাংশ ডামপার ট্রাক পিকাপ ও মিনিট্রাকে কোন প্রকার নেট বা ঢাকনা ব্যবহার না করেই বালু বহন করছে। আর সেই বালু উড়ে বা পড়ে মানুষের চোখে মুখে লাগছে অহরহ। ছোট্ট ছোট্ট পরিবহন গুলো উক্ত বালুর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। স্থানীয়রা বারবার এই সমস্ত চালকদের খোলামেলা পরিবেশে বালু বহন না করার জন্য অনুরোধ করলেও চালকরা তার কোন তোয়াক্কা করছে না। ফলে জনগণকে বাধ্য হয়েই এগুলি সহ্য করতে হচ্ছে।

খুলনা নগরীর ৩১ নং ওয়ার্ড লবনচরা এলাকার স্থানীয় কতিপয় বাসিন্দা ও একাধিক ব্যবসায়ী ব্যক্তিরা বলেন, ভোর ০৫ টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত ও বিকাল ০৫ টা হতে গভীর রাত পর্যন্ত তারা খোলামেলা ভাবে বালু বহন করে থাকে।

কারণ এই সময়ে রুপসা ব্রিজর মহাসড়কে কোন পুলিশি চেকপোষ্ট থাকে না। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে তারা বেশি ট্রিপ দেওয়ার জন্য এগুলি করে থাকে। তাঁরা আরো বলেন যে যত বেশি ট্রিপ মারতে পারবে সে তত বেশি ইনকাম করতে পারবে।

তাই দ্রুত ট্রিপ মারতে গেলে উপরে নেট দিলে ঢাকার জন্য বেশি সময় লাগে এ কারনে তারা ঢাকনা বা নেট ব্যবহার করে না। আবার কেউ কেউ দায়সারা ভাবে ট্রাকের সামনের অংশে কিছু নেট দিলেও পিছনের ফাঁকা থাকে। আর ফাঁকা থাকলে সারা রাস্তা বালু পড়ে বা উড়ে জনমানুষের চোখে মুখে লেগে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হয়।
এব্যাপারে এলাকাবাসী লবনচরা থানা পুলিশের পরিদর্শক ওসি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।