Dhaka ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হবে মানতেই পারছিলেন না মিথিলা

তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।  ভালোবেসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২০০৬ সালে। এরমধ্যে তাদের ঘর আলো করে আসে মেয়ে আইরা তাহরীম খান। দম্পতির একমাত্র সন্তানকে নিয়ে রাগ-অনুরাগে কেটে যায় ১১ বছর। সুখের সংসারে বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর।

তাহসান-মিথিলার প্রায় ১১ বছরের সংসারের সমাপ্তি হয়েছে ২০১৭ সালের অক্টোবরে।

বিচ্ছেদের পর কেমন কঠিন সময় পার করেছেন ৮ বছর পর মিথিলা সেই ‘সময়কাল’ তুলে ধরলেন এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে।

তাহসানের সঙ্গে সেপারেশনে থাকার সময় ভেবেছিলেন শেষ পর্যন্ত হয়তো বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়নি।

মিথিলা বলেন, যে কোনও বিচ্ছেদ বা যে কোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সহজ না খুবই কঠিন।

আমি ছিলাম তখন অনেক অল্পবয়সী এবং তরুণী মা। আমি যে কোনো একটা ভালো মন্দ বিচার করবো বা কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসবো, সেটার শক্তিই আমার ছিল না। কারণ আমার একটা ১ বছরের বাচ্চা। আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না, যেখানে আমি কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো নিজের জীবনের।’ মিথিলা কঠিন সেই সময়কে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না জানিয়ে বলেন, ২৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার জীবনকে একভাবে ভেবে এসেছিলাম।

হঠাৎ করে জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি। একে তো আমার বাচ্চা আছে তারপর আমি জানলাম সেই জায়গাটা আমার ভবিষ্যত না। আমি তখন চাকরি করতাম, কিন্তু আমার একটা গাড়িও ছিল না। কিন্তু আমার তো অভ্যাস ছিল গাড়িতে করে বাইরে যাওয়ার, আমার বাচ্চার অভ্যাস ছিল গাড়িতে চড়ার।

অভিনেত্রী মিথিলা অনুভব করেন মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা জরুরি। আলোচিত এই অভিনেত্রী বলেন, মেয়েদের নিজেদের আসলে জায়গা থাকে না। শ্বশুরবাড়ি আবার বাবার বাড়ি, থ্যাঙ্কফুলি এখন আমার নিজের জায়গা আছে। মেয়েদের সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া জীবনের অন্য সব সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়।

মিথিলা ভেবেছিলেন হয়তো শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা বিচ্ছেদেই গড়ায়। মিথিলা বলেন,এখন হয়তো মেয়েরা অনেক বেশি সিদ্ধান্ত নিতে পারছে, কারণ এখন মেয়েরা অনেক বেশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাচ্ছে। আমাকে ছোটবেলা থেকে মা বলেছে যা-ই করো নিজের পায়ে দাঁড়াবে। ফলে বিয়ের পরেও আমি আমার পড়াশোনা, চাকরি সব চালিয়ে গেছি। তবে তখন আমি অতটা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন ছিলাম না যে একা একা অতটা ভাবতে পারবো, বাচ্চা মানুষ করতে পারবো। সেটার জন্য সময় লেগেছে। ২০১৫ সালে আমরা সেপারেশনে গেছি, তারপরে আরো দু বছর গেছে। আমি অপেক্ষা করেছি, ভেবেছি যে এটা ঠিক হয়ে যাবে, ঠিক হয়ে যাবে। মানসিকভাবে এটা মেনেই নিতে পারছি না। ২০১৭ সালে এসে সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম যে আমাদের মনে হয় এই সম্পর্কটা আসলেই কাজ করবে না।

তেহরীম খান তাহসান-মিথিলা দম্পতির একমাত্র সন্তান। তাহসান মিথিলার পরিচয় গানের মাধ্যমে। তাহসান তখন ব্ল্যাক ব্যান্ডের গায়ক। এক বন্ধুর সঙ্গে তাহসানের আড্ডায় গান শুনতে যান মিথিলা। এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক পরিণয়ে গড়ায়।

বিয়ের পরে তাহসান-মিথিলা একাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। ‘আমার গল্পে তুমি’ মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’ ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম’ মধুরেন সমাপয়েত’ নাটকসহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন এই জুটি। নাটক ছাড়াও এ জুটি একসঙ্গে গানও গেয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কে সিসির উদ্যোগে মৃত মুসলিম মানুষের গোসলের জন্য স্থয়ীভাবে আধুনিক স্থান নির্ধারণ

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হবে মানতেই পারছিলেন না মিথিলা

Update Time : ০৮:৪২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।  ভালোবেসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২০০৬ সালে। এরমধ্যে তাদের ঘর আলো করে আসে মেয়ে আইরা তাহরীম খান। দম্পতির একমাত্র সন্তানকে নিয়ে রাগ-অনুরাগে কেটে যায় ১১ বছর। সুখের সংসারে বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর।

তাহসান-মিথিলার প্রায় ১১ বছরের সংসারের সমাপ্তি হয়েছে ২০১৭ সালের অক্টোবরে।

বিচ্ছেদের পর কেমন কঠিন সময় পার করেছেন ৮ বছর পর মিথিলা সেই ‘সময়কাল’ তুলে ধরলেন এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে।

তাহসানের সঙ্গে সেপারেশনে থাকার সময় ভেবেছিলেন শেষ পর্যন্ত হয়তো বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়নি।

মিথিলা বলেন, যে কোনও বিচ্ছেদ বা যে কোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সহজ না খুবই কঠিন।

আমি ছিলাম তখন অনেক অল্পবয়সী এবং তরুণী মা। আমি যে কোনো একটা ভালো মন্দ বিচার করবো বা কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসবো, সেটার শক্তিই আমার ছিল না। কারণ আমার একটা ১ বছরের বাচ্চা। আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না, যেখানে আমি কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো নিজের জীবনের।’ মিথিলা কঠিন সেই সময়কে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না জানিয়ে বলেন, ২৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার জীবনকে একভাবে ভেবে এসেছিলাম।

হঠাৎ করে জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি। একে তো আমার বাচ্চা আছে তারপর আমি জানলাম সেই জায়গাটা আমার ভবিষ্যত না। আমি তখন চাকরি করতাম, কিন্তু আমার একটা গাড়িও ছিল না। কিন্তু আমার তো অভ্যাস ছিল গাড়িতে করে বাইরে যাওয়ার, আমার বাচ্চার অভ্যাস ছিল গাড়িতে চড়ার।

অভিনেত্রী মিথিলা অনুভব করেন মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা জরুরি। আলোচিত এই অভিনেত্রী বলেন, মেয়েদের নিজেদের আসলে জায়গা থাকে না। শ্বশুরবাড়ি আবার বাবার বাড়ি, থ্যাঙ্কফুলি এখন আমার নিজের জায়গা আছে। মেয়েদের সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া জীবনের অন্য সব সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়।

মিথিলা ভেবেছিলেন হয়তো শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা বিচ্ছেদেই গড়ায়। মিথিলা বলেন,এখন হয়তো মেয়েরা অনেক বেশি সিদ্ধান্ত নিতে পারছে, কারণ এখন মেয়েরা অনেক বেশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাচ্ছে। আমাকে ছোটবেলা থেকে মা বলেছে যা-ই করো নিজের পায়ে দাঁড়াবে। ফলে বিয়ের পরেও আমি আমার পড়াশোনা, চাকরি সব চালিয়ে গেছি। তবে তখন আমি অতটা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন ছিলাম না যে একা একা অতটা ভাবতে পারবো, বাচ্চা মানুষ করতে পারবো। সেটার জন্য সময় লেগেছে। ২০১৫ সালে আমরা সেপারেশনে গেছি, তারপরে আরো দু বছর গেছে। আমি অপেক্ষা করেছি, ভেবেছি যে এটা ঠিক হয়ে যাবে, ঠিক হয়ে যাবে। মানসিকভাবে এটা মেনেই নিতে পারছি না। ২০১৭ সালে এসে সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম যে আমাদের মনে হয় এই সম্পর্কটা আসলেই কাজ করবে না।

তেহরীম খান তাহসান-মিথিলা দম্পতির একমাত্র সন্তান। তাহসান মিথিলার পরিচয় গানের মাধ্যমে। তাহসান তখন ব্ল্যাক ব্যান্ডের গায়ক। এক বন্ধুর সঙ্গে তাহসানের আড্ডায় গান শুনতে যান মিথিলা। এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক পরিণয়ে গড়ায়।

বিয়ের পরে তাহসান-মিথিলা একাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। ‘আমার গল্পে তুমি’ মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’ ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম’ মধুরেন সমাপয়েত’ নাটকসহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন এই জুটি। নাটক ছাড়াও এ জুটি একসঙ্গে গানও গেয়েছেন।