সবার জন্য খুললো মেট্রোরেল। সকাল ৮টা থেকে তাতে চড়ে কর্মস্থলে ছুটছেন নগরবাসী। আপাতত চলাচল করা যাচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। ভাড়া ৬০ টাকা।
মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য দুই ধরনের টিকিট রাখা হয়েছে। ১০ বছরের স্থায়ী কার্ড ও এক যাত্রার কার্ড। কার্ড ছোঁয়ালেই খুলছে স্টেশনের তৃতীয় তলায় যাওয়ার পথ। সেখানে গিয়ে ট্রেনে চড়া যাচ্ছে। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পৌঁছে যাচ্ছে বিদ্যুৎচালিত উড়াল ট্রেন। আপাতত কয়েকদিন মেট্রোরেল চলবে বেলা ১২ টা পর্যন্ত। সপ্তাহে এক দিন মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল।
উত্তরা-আগারগাঁও পথে প্রথম তিন মাস মেট্রোরেল মাঝের কোনো স্টেশনে থামবে না। বাকি সাতটি স্টেশন চালু হবে পর্যায়ক্রমে।
সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ২ হাজার ৩০৮ জন হলেও, শুরুর দিকে প্রতিটি ট্রেন ১০০ থেকে ৩৫০ যাত্রী নিয়ে চলছে।
গতকাল উদ্বোধনের পর প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়ে মাত্র ১০ মিনিটে ১০ সেকেন্ডে রাজধানীর দিয়াবাড়ি (উত্তরা) থেকে আগারগাঁওয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী যাত্রা শুরু হয় রাজধানীবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের প্রথম এই যাত্রার যাত্রী হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা, মন্ত্রিসভার সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
তার ট্রেন ছাড়ে ১টা ৫৩ মিনিটে। আর আগারগাঁও পৌঁছায় ২টা ১১ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রীর ট্রেনের চালক ছিলেন মরিয়ম আফিজা, যিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর করে মেট্রোরেলের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।
এর আগে সবুজ পাতাকা নেড়ে মেট্রো ট্রেন চলাচলের সবুজ সংকেত তিনি দেন। তারপর সেই পতাকায় স্বাক্ষরও করেন সরকার প্রধান।
মেট্রোরেলে ওঠার আগে ছোটবোন শেখ রেহানাকে নিয়ে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেলের উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দিয়াবাড়ি স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটেন তিনি। এর মাধ্যমে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও রুটের প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীবাসীর জন্য আজ খুলে দেওয়া হলো বহুল প্রতিক্ষীত স্বপ্নের মেট্রোরেল।