খলিল জিবরানের রচনায় ও গোলাম সোহরাব দোদুলের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন লুৎফর রহমান জর্জ, সাবেরী আলম, ইন্তেখাব দিনার, রুনা খান, খলিলুর রহমান কাদেরী, শ্যামল মাওলা, মৌসুমী হামিদ, কেয়া পায়েল, সমাপ্তি মাশুক, জয়রাজ, আরেফিন জিলানী, শারমিন সুলতানা শর্মীসহ আরো অনেকে।
শিউলি আর মালা দুই বোন। এই মফস্বল শহরের সবাই তমিজউদ্দিনকে চেনে শিউলি মালার বাবা আর একজন গুনী শিল্পী হিসাবে। তবে তমিজউদ্দিন প্যারালাইজ হয়ে ঘরে পড়ে আছেন বছর হতে চললো। মেয়ে শিউলি আর বোন জমিলাই মূলত তমিজের দেখভাল করে। শিউলি মাস্টার্স শেষ করতে পারেনি তার আগেই সংসার চালাতে নেমে গেছে টিউশনি করতে। তবে মালা যথেষ্ট মেধাবী হওয়ায় সে আশা লতা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায় মেধাবৃত্তি নিয়ে। শিউলি টিউশনি করায় রহমত তালুকদারের নাতনি নিশিকে ।
রহমত তালুকদার এলকার বড় ঠিকাদার, তার ছেলে সিয়াম পছন্দ করে শিউলিকে। সিয়াম বিসিএস করার জন্য রাতদিন খেটে পড়াশোনা করছে। শিউলির প্রতি সিয়ামের দুর্বলতা একসময় চিন্তার কারণ হয়ে যায় রহমত আর শামীমার জন্য। কেননা রহমত সিয়ামের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলে রেখেছে এলাকার ক্ষমতাধর মেম্বর ফরিদ মোল্লার সাথে। ফরিদের মেয়ে আফসানা, সিয়াম, শিউলি তিনজন প্রায় একসাথেই বেড়ে উঠেছে। আফসানা সিয়ামকে পছন্দ করে তবে শিউলির প্রতি দুর্বলতার কথা জানতে পেরে বিয়ের সিদ্ধান্তের ভার ছেড়ে দেয় সিয়ামের ওপরই।
জমিলার কলিগ বিপতœীক কামরুল পছন্দ করে শিউলিকে, বিয়ে করতে চায় জমিলার সাহায্য নিয়ে। শিউলি সেটা বুঝতে পেরে নিজেকে সরিয়ে রাখে অন্যদিকে মালা এসে কলেজের হোষ্টেলে উঠতেই শহরের বিরাট ব্যবসায়ী আমজাদ খানের মেয়ে রাহার সাথে ঝামেলায় জড়ায়। এভাবেই দুই বোনের জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে চলতে থাকে প্রতিদিনের ধারাবহিক “শিউলি মালা”।
দীপ্ত টিভিতে ধারাবাহিক নাটক “শিউলি মালা”। প্রচারিত হচ্ছে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায়।