বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে প্রধান করে সার্চ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার নাম মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সদস্য হিসেবে হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানকে মনোনীত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এ দুজন বিচারপতির নাম প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত হওয়ার পর তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এদিকে সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটি গঠন হয়ে গেছে। প্রজ্ঞাপনে হয়তো প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরও করেছেন। আজ অথবা কালকের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সার্চ কমিটি হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। এরপর ভোটার তালিকা সংশোধন করা হবে। আমরা তো ভুয়া নির্বাচন করব না। আমরা অসাধারণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের এক মাসের মাথায় ৫ সেপ্টেম্বর বিদায় নেয় কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য,জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি (অনুসন্ধান কমিটি) গঠন করেন রাষ্ট্রপতি।
আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এ অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়। আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে তারা ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। ১০ জনের মধ্য থেকেই ৫ জনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন নতুন নির্বাচন কমিশন।
রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন। যার সভাপতি হন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক। সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক। এ দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন হবেন নারী।
তিন সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির সভার কোরাম হবে। এ কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।