Dhaka ০১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিন – মুফতী ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম-শায়েখে চরমোনাই বলেছেন, আওয়ামী স্বৈরাচার এদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। আওয়ামীলীগের সরকারের মানবতাবিরোধী সকল অপরাধের বিচার করতে হবে। ২৪ এর চেতনা বৈষম্য বিরোধী চেতনা।

তাই বিপ্লবকে ফলপ্রসূ করতে হলে দেশের প্রতিটি সেক্টরে ইসলামপন্থীদের সাথে হওয়া সকল বৈষম্যের আশু নিরসন করতে হবে। আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ চাই, যেখানে সকল ধর্ম, মত ও পথের মানুষ নিজেদের অধিকার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। আমরা চাইনা নতুন করে কোন ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক।

বুধবার দুপুর ২:৩০ ঘটিকায় ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঝিনাইদহ জেলা শাখা আয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা সভাপতি ডা: এইচ এম মোমতাজুল করীমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দীনের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক মুফতী আহমদ আব্দুল জলিল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাস্টার শরীফুল ইসলাম, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মাওলানা হুমায়ূন কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মুহাম্মাদ রাসেল উদ্দীন, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুফতী আলী হুসাইন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মুফতী নাজির আহমাদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাস্টার শহীদুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা মিরাজ হুসাইন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি এইচ এম নাঈম মাহমুদ।

মুফতী ফয়জুল করিম বলেন, ‘এ দেশ একাত্তরে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু আমরা এগুলো ভুলে গিয়ে ভারতের নীতি আদর্শ গ্রহণ করেছিলাম। সুতরাং ভারতের সংবিধানে যে চারটি মূলনীতি রয়েছে বাংলাদেশের সাংবিধানে সে মূলনীতি গ্রহণযোগ্য নয়।’ তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসুন।

দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সদ্য স্বাধীনতাকে অর্থবহ ও টেকসই করার জন্য জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা এখন সময়ে সর্বোচ্চ ও অগ্রাধিকারমূলক দাবী। এক্ষেত্রে যারা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জুলাই গণহত্যার বিচার দ্রুত শুরু করে দোষীদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

যাতে দেশে কখনো ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান না হয়। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার জন্য তিনি অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।তিনি আরো বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্যহীন দেশও সমাজ গঠন করতে হবে। ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের শান্তি নিশ্চিত করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিন – মুফতী ফয়জুল করীম

Update Time : ১১:৩৬:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম-শায়েখে চরমোনাই বলেছেন, আওয়ামী স্বৈরাচার এদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। আওয়ামীলীগের সরকারের মানবতাবিরোধী সকল অপরাধের বিচার করতে হবে। ২৪ এর চেতনা বৈষম্য বিরোধী চেতনা।

তাই বিপ্লবকে ফলপ্রসূ করতে হলে দেশের প্রতিটি সেক্টরে ইসলামপন্থীদের সাথে হওয়া সকল বৈষম্যের আশু নিরসন করতে হবে। আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ চাই, যেখানে সকল ধর্ম, মত ও পথের মানুষ নিজেদের অধিকার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। আমরা চাইনা নতুন করে কোন ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক।

বুধবার দুপুর ২:৩০ ঘটিকায় ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঝিনাইদহ জেলা শাখা আয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা সভাপতি ডা: এইচ এম মোমতাজুল করীমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দীনের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক মুফতী আহমদ আব্দুল জলিল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাস্টার শরীফুল ইসলাম, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মাওলানা হুমায়ূন কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মুহাম্মাদ রাসেল উদ্দীন, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুফতী আলী হুসাইন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মুফতী নাজির আহমাদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাস্টার শহীদুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা মিরাজ হুসাইন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি এইচ এম নাঈম মাহমুদ।

মুফতী ফয়জুল করিম বলেন, ‘এ দেশ একাত্তরে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু আমরা এগুলো ভুলে গিয়ে ভারতের নীতি আদর্শ গ্রহণ করেছিলাম। সুতরাং ভারতের সংবিধানে যে চারটি মূলনীতি রয়েছে বাংলাদেশের সাংবিধানে সে মূলনীতি গ্রহণযোগ্য নয়।’ তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসুন।

দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সদ্য স্বাধীনতাকে অর্থবহ ও টেকসই করার জন্য জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা এখন সময়ে সর্বোচ্চ ও অগ্রাধিকারমূলক দাবী। এক্ষেত্রে যারা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জুলাই গণহত্যার বিচার দ্রুত শুরু করে দোষীদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

যাতে দেশে কখনো ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান না হয়। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার জন্য তিনি অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।তিনি আরো বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্যহীন দেশও সমাজ গঠন করতে হবে। ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের শান্তি নিশ্চিত করতে হবে।