Dhaka ০৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মির্জাপুরে কয়লার খনি!

Exif_JPEG_420

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের গায়রা বেতিল এলাকায় কয়লা খনির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে! না, এটি ভূগর্ভস্থ কোন খনি নয়। কয়লা একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যা ভূগর্ভস্থ মাটির নিচ থেকে উত্তোলন করতে হয়। কিন্তু এখানে চারিদিকে গজারি বন ঘেরা একটি নির্জন এলাকায় দু’জন দুষ্কৃতকারী মিলে বনের গাছ পুড়িয়ে দীর্ঘদিন যাবত কয়লা উৎপাদন করে চলছে। এরা হলেন, মজিবর রহমান এবং রাসেল মিয়া। মজিবর রহমানের বাড়ি আজগানা ইউনিয়নের খাটিয়ার হাট গ্রামে এবং রাসেল মিয়ার বাড়ি গায়রা বেতিল গ্রামে। স্থানীয়রা এই কয়লার ভাটাকে কয়লার খনি বলে থাকেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়লা পোড়ানোর ভাটাতে গেলে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে কর্মরত শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তারা এই ব্যবসা করে আসছে। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পুনরায় এটি চালু করেছে। গম্বুজ আকৃতির ছয়টি চুল্লি বানিয়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা বনের তাজা গাছ পুড়িয়ে এখানে কয়লা উৎপাদন করা হচ্ছে। একদিকে যেমন বনের গাছ কেটে বন সাবাড় করছে, অন্যদিকে চুল্লি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া আশপাশ এলাকার পরিবেশ দূষিত করছে। স্থানীয়রা আরো জানান, এরা খুব প্রভাবশালী। ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না। মুঠো ফোনে রাসেল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা সব জায়গা ম্যানেজ করেই ব্যবসা করছি। আপনাদের সাথে সন্ধ্যার পর যোগাযোগ করবো। অযথা নিউজ করে কোন লাভ হবে না। এরপর বিভিন্ন জনের মাধ্যমে মোবাইলে ফোন করে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম এর  নিকট মুঠোফোনে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, ভাটাটি একবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পুনরায় চালু করেছে কিনা জানা নেই। চালু করে থাকলে অতি দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয়রা প্রশাসনের মাধ্যমে এই কয়লার ভাটা স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে; এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মির্জাপুরে কয়লার খনি!

Update Time : ০৭:১৫:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের গায়রা বেতিল এলাকায় কয়লা খনির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে! না, এটি ভূগর্ভস্থ কোন খনি নয়। কয়লা একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যা ভূগর্ভস্থ মাটির নিচ থেকে উত্তোলন করতে হয়। কিন্তু এখানে চারিদিকে গজারি বন ঘেরা একটি নির্জন এলাকায় দু’জন দুষ্কৃতকারী মিলে বনের গাছ পুড়িয়ে দীর্ঘদিন যাবত কয়লা উৎপাদন করে চলছে। এরা হলেন, মজিবর রহমান এবং রাসেল মিয়া। মজিবর রহমানের বাড়ি আজগানা ইউনিয়নের খাটিয়ার হাট গ্রামে এবং রাসেল মিয়ার বাড়ি গায়রা বেতিল গ্রামে। স্থানীয়রা এই কয়লার ভাটাকে কয়লার খনি বলে থাকেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়লা পোড়ানোর ভাটাতে গেলে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে কর্মরত শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তারা এই ব্যবসা করে আসছে। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পুনরায় এটি চালু করেছে। গম্বুজ আকৃতির ছয়টি চুল্লি বানিয়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা বনের তাজা গাছ পুড়িয়ে এখানে কয়লা উৎপাদন করা হচ্ছে। একদিকে যেমন বনের গাছ কেটে বন সাবাড় করছে, অন্যদিকে চুল্লি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া আশপাশ এলাকার পরিবেশ দূষিত করছে। স্থানীয়রা আরো জানান, এরা খুব প্রভাবশালী। ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না। মুঠো ফোনে রাসেল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা সব জায়গা ম্যানেজ করেই ব্যবসা করছি। আপনাদের সাথে সন্ধ্যার পর যোগাযোগ করবো। অযথা নিউজ করে কোন লাভ হবে না। এরপর বিভিন্ন জনের মাধ্যমে মোবাইলে ফোন করে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম এর  নিকট মুঠোফোনে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, ভাটাটি একবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পুনরায় চালু করেছে কিনা জানা নেই। চালু করে থাকলে অতি দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয়রা প্রশাসনের মাধ্যমে এই কয়লার ভাটা স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে; এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।