Dhaka ০১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা ইলিশ রক্ষা অভিযান: ভোলায় ২২ দিনে ৩শ’ ২৬ জেলের জেল-জরিমানা

মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ভোলায় নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে ৪শ’ ৩৪ জেলে আটক করা হয়েছে। এসময় ৮৪টি ট্রলার, ৪৩টি নৌকা, ২১ লাখ ৯৯ হাজার মিটার জাল ও ২ হাজার ৯শ’ ৯১ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৮৮ জন, দৌলতখানে ৪৩ জন, বোরহানউদ্দিনে ১৯ জন, তজুমদ্দিনে ২৬ জন, লালমোহনে ১৭২ জন, চরফ্যাশনে ৮০ জন ও মনপুরায় ৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভোলা জেলায় আটক ৪শ’ ৩৪ জেলের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ২শ’ ৩৪ জনকে জরিমানা ও ১শ’৮ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। জব্দ ট্রলার ও নৌকা নিলামের মাধ্যমে ৮ লাখ ১৪ হাজার ৯শ’ টাকা বিক্রি করা হয়। এছাড়াও জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং মাছ এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।

তিনি আরো জানান, ভোলার সকল উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য দপ্তর, পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এ বছর অনেক সুন্দর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রতিদিন সকলের সমন্বয়ে অভিযান বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে সবাই। যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আমাদের এ বছরের অভিযান প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে এটা প্রতিয়মান। যার কারণে মা ইলিশ পরিপূর্ণভাবে নদীতে ডিম ছাড়তে পেরেছে। এর মাধ্যমে এবার ইলিশ উৎপাদনে আমাদের লক্ষ্যমাত্র সফলভাবে অর্জিত হবে বলে আশা করছি।

এছাড়া ভোলা জেলার মধ্যে লালমোহন উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। এ সফলতার জন্য লালমোহন উপজেলা টিমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া ২২দিনের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে তাদের এই সফলতার জন্য তাদেরকে ‘সফলতা সম্মাননা স্মারক’ প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসূম হওয়ায় ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত (২২ দিন) ইলিশ শিকারের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মা ইলিশ রক্ষা অভিযান: ভোলায় ২২ দিনে ৩শ’ ২৬ জেলের জেল-জরিমানা

Update Time : ০৪:১২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ভোলায় নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে ৪শ’ ৩৪ জেলে আটক করা হয়েছে। এসময় ৮৪টি ট্রলার, ৪৩টি নৌকা, ২১ লাখ ৯৯ হাজার মিটার জাল ও ২ হাজার ৯শ’ ৯১ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৮৮ জন, দৌলতখানে ৪৩ জন, বোরহানউদ্দিনে ১৯ জন, তজুমদ্দিনে ২৬ জন, লালমোহনে ১৭২ জন, চরফ্যাশনে ৮০ জন ও মনপুরায় ৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভোলা জেলায় আটক ৪শ’ ৩৪ জেলের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ২শ’ ৩৪ জনকে জরিমানা ও ১শ’৮ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। জব্দ ট্রলার ও নৌকা নিলামের মাধ্যমে ৮ লাখ ১৪ হাজার ৯শ’ টাকা বিক্রি করা হয়। এছাড়াও জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং মাছ এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।

তিনি আরো জানান, ভোলার সকল উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য দপ্তর, পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এ বছর অনেক সুন্দর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রতিদিন সকলের সমন্বয়ে অভিযান বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে সবাই। যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আমাদের এ বছরের অভিযান প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে এটা প্রতিয়মান। যার কারণে মা ইলিশ পরিপূর্ণভাবে নদীতে ডিম ছাড়তে পেরেছে। এর মাধ্যমে এবার ইলিশ উৎপাদনে আমাদের লক্ষ্যমাত্র সফলভাবে অর্জিত হবে বলে আশা করছি।

এছাড়া ভোলা জেলার মধ্যে লালমোহন উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। এ সফলতার জন্য লালমোহন উপজেলা টিমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া ২২দিনের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে তাদের এই সফলতার জন্য তাদেরকে ‘সফলতা সম্মাননা স্মারক’ প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসূম হওয়ায় ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত (২২ দিন) ইলিশ শিকারের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল।