Dhaka ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন যারা

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নিতে চলেছেন । ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিস ইতোমধ্যে নির্বাচনে পরাজয়ের বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়ে ট্রাম্পের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করেছেন। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য ট্রাম্পকে ফোনকল করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। এর আগে আগামী সপ্তাহগুলোতে তিনি তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবেন।

ট্রাম্পের মেয়াদকালে প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, অর্থনীতি, অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দায়িত্বে কারা আসবেন, এ নিয়ে দেশটিতে চলছে জোর আলোচনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে রবার্ট ও’ব্রায়েন, বিল হ্যাগারটি ও মার্কো রুবিও; প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে মাইক ওয়াল্টজ, মাইক পম্পেও ও টম কটন; এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে রিচার্ড গ্রেনেলের নাম বেশি শোনা যাচ্ছে। ট্রাম্পের পছন্দের সম্ভাব্য তালিকায় কোন কোন ব্যক্তি স্থান পেতে পারেন, এ সম্পর্কে ধারণা দিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রবার্ট ও’ব্রায়েন : ও’ব্রায়েনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করতে পারেন ট্রাম্প। তার প্রথম মেয়াদের সর্বশেষ (চতুর্থ) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। ও’ব্রায়েন সম্ভবত পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা অন্য শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত পদে নিয়োগ পেতে চাইছেন। ২০২১ সালে ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও ও’ব্রায়েন বিদেশি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখছেন। গত মে মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন।

বিল হ্যাগারটি : হ্যাগারটিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে। টেনেসির এই সিনেটর ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাপানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হ্যাগারটি। সেই সময় ট্রাম্প তৎকালীন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে তার উষ্ণ সম্পর্ক থাকার কথা বলেছিলেন। হ্যাগারটির নীতি ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মার্কো রুবিও : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওকে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। রুবিও ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত সিনেটর। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হতে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। হ্যাগারটির মতো তিনি এবার ট্রাম্পের রানিংমেট হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। রুবি দীর্ঘদিন ধরে সিনেটের বৈদেশিক বিষয়সংক্রান্ত কমিটিতে আছেন।

মাইক ওয়াল্টজ : ওয়াল্টজকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে দেখা যেতে পারে। তিনি ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য। ওয়াল্টজ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে নিজেকে একজন চীনের অন্যতম প্রধান কট্টর সমালোচক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে তার। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে তার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে।

মাইক পম্পেও : প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পম্পেওকে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পম্পেও সিআইএর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন ট্রাম্প। এবার জাতীয় নিরাপত্তা, গোয়েন্দা বা কূটনীতিসংশ্লিষ্ট পদেও বসাতে পারেন ট্রাম্প।

টম কটন : কটন হার্ভার্ড কলেজ ও হার্ভার্ড ল স্কুলে পড়েছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। ট্রাম্প দাতাদের পছন্দের মানুষ আরকানসাসের এই সিনেটর। তাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন ট্রাম্প।

রিচার্ড গ্রেনেল : গ্রেনেলকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করতে পারেন ট্রাম্প। তার পররাষ্ট্রনীতি-সম্পর্কিত উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন গ্রেনেল। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন গ্রেনেল। এ ছাড়া তিনি জার্মানিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প। এই বৈঠকে গ্রেনেল উপস্থিত ছিলেন।

স্কট বেসেন্ট : ট্রাম্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বেসেন্ট। তাকে অর্থমন্ত্রী (ট্রেজারি সেক্রেটারি) হিসেবে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। বেসেন্ট দীর্ঘসময় ধরে ‘লেইস-ফেয়ার’ নীতির পক্ষে। সমঝোতার হাতিয়ার হিসেবে শুল্কের ব্যবহার বিষয়ে ট্রাম্পের নীতির পক্ষেও তাকে কথা বলতে দেখা গেছে।

জন পলসন : ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে ট্রাম্পের বিবেচনায় আসতে পারেন জন পলসন। তিনি একজন ধনকুবের এবং হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক। ট্রাম্পের একজন অন্যতম দাতা পলসন।

ল্যারি কুডলো : ল্যারি কুডলোকেও ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে দেখা যেতে পারে। তিনি ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের বেশির ভাগ সময় তার প্রশাসনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কুডলো।

রবার্ট লাইথাইজার : লাইথাইজারকে ট্রেজারি সেক্রেটারি করা হতে পারে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছিলেন লাইথাইজার। তাকে ট্রেজারি সেক্রেটারি করা না হলেও তাকে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিতে পারেন ট্রাম্প। আবার লাইথাইজারকে তার পুরনো দায়িত্বেও দেখা যেতে পারে।

হাওয়ার্ড লুটনিক : ট্রাম্পের সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি হতে পারেন লুটনিক। তিনি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কার্যক্রমের কো-চেয়ার। আর্থিক সংস্থা ক্যান্টর ফিটজেরাল্ডের দীর্ঘদিনের প্রধান নির্বাহী লুটনিক। তিনি ট্রেজারি সেক্রেটারি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বলে জানা যায়।

কিথ কেলগ : জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত কোনো পদে আসতে পারেন কেলগ। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

অন্যান্য পদের সম্ভাব্য প্রার্থী : যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে টম হোমানকে বিবেচনায় নিতে পারেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দেড় বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। একই পদে বিবেচনায় আসতে পারেন চাদ ওলফ। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রায় ১৪ মাস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া এই পদে মার্ক গ্রিনকেও নিয়োগ দিতে পারেন ট্রাম্প। গ্রিন বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক কমিটির চেয়ারমানের দায়িত্ব আছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল পদে জন র?্যাটক্লিফকে বাছাই করতে পারেন ট্রাম্প। তিনি সাবেক কংগ্রেস সদস্য ও প্রসিকিউটর। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই পদে বিবেচনায় আসতে পারেন সাবেক প্রসিকিউটর মাইক লি। তিনি উটাহ অঙ্গরাজ্যের বর্তমান সিনেটর। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ পদে সুসি উইলসকে দেখা যেতে পারে। তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমের সহব্যবস্থাপক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরিত্যক্ত লোহা বিক্রি

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন যারা

Update Time : ০৫:৪৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নিতে চলেছেন । ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিস ইতোমধ্যে নির্বাচনে পরাজয়ের বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়ে ট্রাম্পের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করেছেন। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য ট্রাম্পকে ফোনকল করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। এর আগে আগামী সপ্তাহগুলোতে তিনি তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবেন।

ট্রাম্পের মেয়াদকালে প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, অর্থনীতি, অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দায়িত্বে কারা আসবেন, এ নিয়ে দেশটিতে চলছে জোর আলোচনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে রবার্ট ও’ব্রায়েন, বিল হ্যাগারটি ও মার্কো রুবিও; প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে মাইক ওয়াল্টজ, মাইক পম্পেও ও টম কটন; এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে রিচার্ড গ্রেনেলের নাম বেশি শোনা যাচ্ছে। ট্রাম্পের পছন্দের সম্ভাব্য তালিকায় কোন কোন ব্যক্তি স্থান পেতে পারেন, এ সম্পর্কে ধারণা দিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রবার্ট ও’ব্রায়েন : ও’ব্রায়েনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করতে পারেন ট্রাম্প। তার প্রথম মেয়াদের সর্বশেষ (চতুর্থ) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। ও’ব্রায়েন সম্ভবত পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা অন্য শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত পদে নিয়োগ পেতে চাইছেন। ২০২১ সালে ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও ও’ব্রায়েন বিদেশি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখছেন। গত মে মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন।

বিল হ্যাগারটি : হ্যাগারটিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে। টেনেসির এই সিনেটর ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাপানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হ্যাগারটি। সেই সময় ট্রাম্প তৎকালীন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে তার উষ্ণ সম্পর্ক থাকার কথা বলেছিলেন। হ্যাগারটির নীতি ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মার্কো রুবিও : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওকে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। রুবিও ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত সিনেটর। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হতে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। হ্যাগারটির মতো তিনি এবার ট্রাম্পের রানিংমেট হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। রুবি দীর্ঘদিন ধরে সিনেটের বৈদেশিক বিষয়সংক্রান্ত কমিটিতে আছেন।

মাইক ওয়াল্টজ : ওয়াল্টজকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে দেখা যেতে পারে। তিনি ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য। ওয়াল্টজ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে নিজেকে একজন চীনের অন্যতম প্রধান কট্টর সমালোচক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে তার। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে তার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে।

মাইক পম্পেও : প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পম্পেওকে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পম্পেও সিআইএর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন ট্রাম্প। এবার জাতীয় নিরাপত্তা, গোয়েন্দা বা কূটনীতিসংশ্লিষ্ট পদেও বসাতে পারেন ট্রাম্প।

টম কটন : কটন হার্ভার্ড কলেজ ও হার্ভার্ড ল স্কুলে পড়েছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। ট্রাম্প দাতাদের পছন্দের মানুষ আরকানসাসের এই সিনেটর। তাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন ট্রাম্প।

রিচার্ড গ্রেনেল : গ্রেনেলকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করতে পারেন ট্রাম্প। তার পররাষ্ট্রনীতি-সম্পর্কিত উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন গ্রেনেল। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন গ্রেনেল। এ ছাড়া তিনি জার্মানিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প। এই বৈঠকে গ্রেনেল উপস্থিত ছিলেন।

স্কট বেসেন্ট : ট্রাম্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বেসেন্ট। তাকে অর্থমন্ত্রী (ট্রেজারি সেক্রেটারি) হিসেবে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। বেসেন্ট দীর্ঘসময় ধরে ‘লেইস-ফেয়ার’ নীতির পক্ষে। সমঝোতার হাতিয়ার হিসেবে শুল্কের ব্যবহার বিষয়ে ট্রাম্পের নীতির পক্ষেও তাকে কথা বলতে দেখা গেছে।

জন পলসন : ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে ট্রাম্পের বিবেচনায় আসতে পারেন জন পলসন। তিনি একজন ধনকুবের এবং হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক। ট্রাম্পের একজন অন্যতম দাতা পলসন।

ল্যারি কুডলো : ল্যারি কুডলোকেও ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে দেখা যেতে পারে। তিনি ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের বেশির ভাগ সময় তার প্রশাসনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কুডলো।

রবার্ট লাইথাইজার : লাইথাইজারকে ট্রেজারি সেক্রেটারি করা হতে পারে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছিলেন লাইথাইজার। তাকে ট্রেজারি সেক্রেটারি করা না হলেও তাকে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিতে পারেন ট্রাম্প। আবার লাইথাইজারকে তার পুরনো দায়িত্বেও দেখা যেতে পারে।

হাওয়ার্ড লুটনিক : ট্রাম্পের সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি হতে পারেন লুটনিক। তিনি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কার্যক্রমের কো-চেয়ার। আর্থিক সংস্থা ক্যান্টর ফিটজেরাল্ডের দীর্ঘদিনের প্রধান নির্বাহী লুটনিক। তিনি ট্রেজারি সেক্রেটারি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বলে জানা যায়।

কিথ কেলগ : জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত কোনো পদে আসতে পারেন কেলগ। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

অন্যান্য পদের সম্ভাব্য প্রার্থী : যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে টম হোমানকে বিবেচনায় নিতে পারেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দেড় বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। একই পদে বিবেচনায় আসতে পারেন চাদ ওলফ। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রায় ১৪ মাস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া এই পদে মার্ক গ্রিনকেও নিয়োগ দিতে পারেন ট্রাম্প। গ্রিন বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক কমিটির চেয়ারমানের দায়িত্ব আছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল পদে জন র?্যাটক্লিফকে বাছাই করতে পারেন ট্রাম্প। তিনি সাবেক কংগ্রেস সদস্য ও প্রসিকিউটর। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই পদে বিবেচনায় আসতে পারেন সাবেক প্রসিকিউটর মাইক লি। তিনি উটাহ অঙ্গরাজ্যের বর্তমান সিনেটর। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ পদে সুসি উইলসকে দেখা যেতে পারে। তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমের সহব্যবস্থাপক।