যশোরে নাইটগার্ডের অস্ত্র ঠেকিয়ে হাত-মুখ ও পা বেধে প্রায় ২০ লাখ টাকা লুট করেছে ডাকাতদল। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত আড়ায়টার দিকে শেখহাটির এসিআই কোম্পানির ডিপোতে। এসময় ডাকাতদলের সদস্যরা একাধিক ক্যাশবক্সের তালা ভেঙে নগদ টাকা লুট করে। এছাড়াও সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে চলে যায় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে জড়িতদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
গত রাতে এসিআই কোম্পানীর ডিপো অফিসে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি গার্ড সোহেল রানা ও সজিব কুমার জানান, ডাকাতরা একসাথে পাচিল চপকে হঠাৎ তাদেরকে পিস্তল ও চাপাতি নিয়ে তাদের উপর এ্যাটাক করে। অস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে চুপ থাকতে বলে। পরে তাদের হাত, মুখ ও পাঁ বেধে ফেলে ডাকাতরা। এরপর নিচতলার বাথরুমের পাশে ফেলে রাখে। তারা সকলেই কালো রঙের প্যান্ট শার্ট ও মুখে মাস্ক পড়া ছিলো। এছাড়া সকলেই ছিলো খালি পায়ে।
ওই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ডিপো ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভবনের এক ও দুইতলায় তাদের অফিস। সেখানে টাকা পয়সা ও মালামাল থাকে। শনিবার রাতে সকলেই ঠিকঠাকভাবে বন্ধ করে যান। সকালে বাড়ির মালিকের কাছথেকে জানতে পারেন এ ঘটনা। অফিসে এসে দেখেন বিভিন্ন ক্যাশবক্স ভাঙা। প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া তিনি বলেন অনেক ওষুধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান (ক সার্কেল) জুয়েল ইমরান, কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান (ক সার্কেল) জানান, একতলা ও দুইতলার সব সিসি ক্যামেরা নষ্ট করেছে এবং ডিভিআরও নিয়ে গেছে ডাকাত দলের সদস্যরা। তিনতলার একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের ক্যামেরা থেকে কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে ঘটনার বেশ কিছু চিত্র উঠে এসেছে। তিনি আরও বলেন, গামছা, ভাঙ্গা তালাসহ বিভিন্ন আলামতও তারা সংগ্রহ করেছেন। সার্বিক বিষয় নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের ধরতে একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।