সরকার ভারত থেকে চাল আমদানিতে পুরোপুরি শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অবশেষে দীর্ঘ ২০ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১২টায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চালের প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করে। এরফলে চালের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সায়রাম ইন্টারন্যাশনাল ভারতীয় ৩টি ট্রাকে প্রায় ১৩১ মেট্রিকটন চাল আমদানি করেন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশের বাজারে চালের দামে লাগাম টানতে সরকার গত ৩১ অক্টোবর চালের উপর থেকে সম্পূর্ন শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর চাল আমদানিকারকরা আমদানির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সেখান থেকে গত রোববার (১০ নভেম্বর) অনুমতি পেয়ে আজ সোমবার ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই পর্যন্ত বন্দরের ৫ জন আমদানিকারক ৩৩ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। বর্তমানে ভারতে ৪২০-৪৩০ ডলারে এলসি করে চাল আমদানি করা হচ্ছে। তাতে সব খরচ সহ প্রতি কেজি পড়ছে ৫৩-৫৪ টাকা। বাজারে চাহিদা থাকায় এই মুহুর্তে লোকসানের কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানান।
হিলি স্থলবন্দরের আরেক আমদানিকারক মেসার্স সায়রাম ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ললিত কেশরা জানান, দেশে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি চাল আমদানি করা হচ্ছে। আমার প্রতিষ্ঠানের নামে সোমবার ভারতীয় ৩টি ট্রাকে প্রায় ১৩১ মেট্রিকটন চাল আমদানি করেছি। এখন প্রতিদিনই চাল আমদানি হবে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মোঃ ইউসুফ আলী জানান, সরকার গত বছরের ৩০ মার্চ থেকে দেশে চাল আমদানি বন্ধ রাখে। সে সময় চাল আমদানিতে নিরুৎসাহিত করতে সরকার চালের উপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করেছিল। এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়। সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আমদানিকারকরা আবারও চাল আমদানি শুরু করেছে।