নির্মাণ শ্রমিকদের পাওনা প্রায় ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেননি মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। সার্টারিং ভাড়া ও শ্রমিকদের এই মজুরী প্রদান না করায় অবশেষে আদালতের দারস্ত হয়েছেন শ্রমিক সর্দার গাংনীর নিত্যানন্দপুর গ্রামের বাহারুল ইসলাম। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে গাংনী থানাকে তদন্তের আদেশ দেন। তবে এমএ খালেক একটি সন্ত্রাস বিরোধি মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন।
জানা গেছে, এমএ খালেকের সাথে ২০১৬ সালে গাংনীর নবীনপুর ও করমদি মাঠপাড়ায় দুটি বিদ্যালয়ে নির্মানকাজের চুক্তি হয়। সেময় নবীনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটির প্রথম তলা নির্মাণকাজ শেষ হবার পর সিঁড়ি ধ্বসের ঘটনা ঘটে। একই সময়ে করমদি মাঠ পাড়ার বিদ্যালয় ভবনের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখার আদেশ দেন এমএ খালেক। ফলে নবীনপুর ও করমদি বিদ্যালয়ের ছাদ ও সিঁড়ির কাজে ভাড়ায় আনা সার্টারিং আটকে যায়। পরে এমএ খালেক সার্টারিংয়ের ভাড়া বাবদ প্রতিমাসে ৩৮ হাজার টাকা করে ১৬ মাস ১৭ দিনের ভাড়া হিসেবে ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা পরিশোধে অঙ্গিকার করেন।
এদিকে শ্রমিকদের পাওনা সাড়ে ৭ লাখ টাকার মধ্যে তিনি পরিশোধ করেন ৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা। শ্রমিকদের মজুরী এক লাখ ৬৯ হাজার টাকা ও সার্টারিংয়ের ৬লাখ ২৭ হাজার টাকা এমএ খালেক পরিশোধ করেন নি। বারবার টাকা চাইলেও তিনি পরিশোধ না করে তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে নানা ধরনের হুমকী ধামকী প্রদান করে টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানান। এক প্রকার বাধ্য হয়ে শ্রমিক সর্দার বাহারুল ইসলাম গত ৩১ অক্টোবর মোকাম বিজ্ঞ আমলী আদালত গাংনী বরাবর একটি অভিযোগ করেন যার নং- সিআর ৮৬/২০২৪, ধারা- ৪০৬/৪২০/৫০৬(২)দঃবিঃ। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য গাংনী থানাকে আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাফিজুর রহমান জানান, আদালতের আদেশে তিনি অভিযোগটি তদন্ত করছেন। ইতোমধ্যে বাদীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেশ করতে বলা হয়েছে। সে আলোকে তিনি রিপোর্ট প্রদান করবেন।
এমএ খালেক সন্ত্রাস বিরোধি একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে মেহেরপুর জেল হাজতে থাকায় অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।