হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ, ভুয়া এলসির বিপরীতে জনতা ব্যাংকের ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা আত্মসাতের মামলায়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে জেসমিন ইসলামের জামিন শুনানির জন্য ৩ মাস পর ফের আসতে বলেন।
জেসমিন ইসলামের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আদালতকে বলেন, এই মামলাটি যে আইনে করা হয়েছে তাতে সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর জেল। কিন্তু তিনি জেলে আছেন ৮ বছর এ যুক্তিতে তাকে জামিন দেওয়া হোক। তাছাড়া দুদকও চার্জশিট দিতে পারছে না।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৩০ অক্টোবর এ মামলায় চার্জশিট দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে এখন কমিশন না থাকায় তা এপ্রুভ করা যাচ্ছে না। পরে আপিল বিভাগ ৩ মাস জেসমিন ইসলামের জামিন শুনানি স্ট্যান্ডওভার রাখেন।
আদালতে জেসমিনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান।
এর আগে ২০২২ সালে জেসমিন ইসলামকে এই মামলায় জামিন না মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, ভুয়া এলসির বিপরীতে জনতা ব্যাংকের ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা আত্মসাতের মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৯ সালের ১০ মার্চ তাকে রুল মঞ্জুর করে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। একই বছরের ১৬ জুন আপিল বিভাগ তার জামিন বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে জেসমিন ইসলাম আত্মসমর্পণ করেন। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে আদালত রুল জারি করেন।