Dhaka ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজিএমইএ এর তীব্র নিন্দা

কালিয়াকৈরে বেতন না পেয়ে কারখানার ডিএমডিকে পিটিয়েছেন বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা

গাজীপুর কালিয়াকৈরে বন্ধ হওয়া একটি পোশাক কারখানার এক মাসের বকেয়া বেতন ও সার্ভিস বেনিফিটের (চাকরি ছাড়ার পর আনুষঙ্গিক আর্থিক সুবিধা) টাকা না পেয়ে কারখানার উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে (ডিএমডি) পিটিয়েছেন বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা। আলোচনা চলা অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষের উপর হামলার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার তীব্র

নিন্দা জ্ঞাপন জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করেছে বজিএমইএ।

আহত হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার মাহমুদ জিনস ও মাহমুদ ডেনিম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচলক রাফি মাহমুদ।

এলাকাবাসী, কারখানার শ্রমিক-কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় অবস্থিত মাহামুদ জিনস লিমিটেড নামে পোশাক কারখানা ্ ঘটনা ঘটে। ওই পোশাক কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। গত ৯ অক্টোবর বিভিন্ন সংকটের জন্য কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেছেন মালিকপক্ষ। পাশাপাশি কারখানা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক, বিজিএমইএ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করে। ওই বৈঠকে গত ২৮ নভেম্বর শ্রমিকদের বেতনসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধের কথা বলা হয়। সেই অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার সকালে কারখানাটির সামনে অবস্থান করেন শ্রমিকরা। কিন্তু এর মধ্যেই পাওনা পরিশোধ করা হবে না জানিয়ে নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা ওই এলাকায় পাশের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে মালিকপক্ষ কারখানাটির সামনে এসে শ্রমিকদের সঙ্গে বকেয়া বেতনের বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকেরা মালিকপক্ষের লোকজন ও শিল্প পুলিশের সদস্যদের ওপর ইটপাটকে নিক্ষেপ করেন। তখন শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখান থেকে সরে যায়। পরে শ্রমিকেরা মালিকপক্ষের লোকজনকে কারখানাটির ভেতরে অবরুদ্ধ করেন। তখন কারখানার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফি মাহমুদ উত্তেজিত শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে নিজেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা তাঁর ওপর হামলা চালান। শ্রমিকদের পিটুনিতে তিনি গুরুতর আহত হন। তখন শ্রমিকদের একটি অংশ তাঁকে উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসার পর তিনি বর্তমানে বাসায় অবস্থান করছেন বলেও জানা গেছে। এদিকে বেতনের দাবিতে শুক্রবারও শ্রমিকরা ওই কারখানার সামনে জড়ো হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকরা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়।

কারখানার মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগের প্রধান অহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার স্যার (রাফি মাহমুদ) শ্রমিকদের বলছিলেন, “আমার কাছে এই মুহূর্তে টাকা নেই। আমি আপাতত টাকা দিতে পারছি না। তোমরা আমাকে আরেকটু সময় দাও।” কিন্তু শ্রমিকেরা বলছিলেন, টাকা আজকের মধ্যেই দিতে হবে। তখন স্যার বলছিলেন, “টাকা না দিতে পারলে তোমরা কি আমারে মারবা, ঠিক আছে মারলে মারো।” এই রকম কথা বলার পর শ্রমিকেরা স্যারকে ফিজিক্যাল অ্যাসল্ট করেছে।’

আহত রাফি মাহমুদের বাবা কারখানার পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই কারখানায় প্রায় চার হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার তাঁদের টাকাপয়সা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। শ্রমিকরা আন্দোলন করলে আমার ছেলেকে ফোনে ডেকে সেখানে নিয়ে যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। রাফি মাহমুদ রাত আটটা পর্যন্ত কারখানার ভেতরে অচেতন অবস্থায় পড়েছিল। তাঁকে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, তিনি (রাফি মাহমুদ) কারখানায় এসে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে তাঁকে মারধর করেন। পরে আমরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনো অভিযোগ হয়নি।

এদিকে আলোচনা চলা অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষের উপর হামলার ঘটনায় বিজিএমইএ এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন জানিয়েছেন বিজিএমইএ। শুক্রবার বিজিএমইএ এর মহাসচিব মোঃ ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত এক  প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, বিজিএমইএ মনে করে, এ ধরণের ঔদ্ধত্ব সমগ্র শিল্পের উপর আঘাত। যে শিল্প দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি, যে শিল্প প্রত্যক্ষভাবে ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে, যে শিল্প পরোক্ষভাকে দেশের ৫ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার সুরাহা করেছে, তার উপর এ আঘাত মোটেও কাম্য নয়। এ ঘটনা বহিবিশ্বে এদেশের শিল্প সম্পর্কে ভুল বার্তা দিবে। বিজিএমইএ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সংস্থাসমূহকে পোষাক শিল্পে সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা বজার রাখার জন্য সক্রিয় থেকে সহযোগিতা প্রদান করার জন্য আহবান জানানো হয়। প্রতিটি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করে। যারা উস্কানি দিয়ে শিল্পকে অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে, শিল্প ও অর্থনীতিকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান বিজিএমইএ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন আলোকদিয়ায় যমুনার ভাঙনের মুখে বসতবাড়ি ও বৈদ্যুতিক টাওয়ার

বিজিএমইএ এর তীব্র নিন্দা

কালিয়াকৈরে বেতন না পেয়ে কারখানার ডিএমডিকে পিটিয়েছেন বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা

Update Time : ০৭:২২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

গাজীপুর কালিয়াকৈরে বন্ধ হওয়া একটি পোশাক কারখানার এক মাসের বকেয়া বেতন ও সার্ভিস বেনিফিটের (চাকরি ছাড়ার পর আনুষঙ্গিক আর্থিক সুবিধা) টাকা না পেয়ে কারখানার উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে (ডিএমডি) পিটিয়েছেন বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা। আলোচনা চলা অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষের উপর হামলার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার তীব্র

নিন্দা জ্ঞাপন জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করেছে বজিএমইএ।

আহত হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার মাহমুদ জিনস ও মাহমুদ ডেনিম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচলক রাফি মাহমুদ।

এলাকাবাসী, কারখানার শ্রমিক-কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় অবস্থিত মাহামুদ জিনস লিমিটেড নামে পোশাক কারখানা ্ ঘটনা ঘটে। ওই পোশাক কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। গত ৯ অক্টোবর বিভিন্ন সংকটের জন্য কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেছেন মালিকপক্ষ। পাশাপাশি কারখানা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক, বিজিএমইএ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করে। ওই বৈঠকে গত ২৮ নভেম্বর শ্রমিকদের বেতনসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধের কথা বলা হয়। সেই অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার সকালে কারখানাটির সামনে অবস্থান করেন শ্রমিকরা। কিন্তু এর মধ্যেই পাওনা পরিশোধ করা হবে না জানিয়ে নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা ওই এলাকায় পাশের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে মালিকপক্ষ কারখানাটির সামনে এসে শ্রমিকদের সঙ্গে বকেয়া বেতনের বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকেরা মালিকপক্ষের লোকজন ও শিল্প পুলিশের সদস্যদের ওপর ইটপাটকে নিক্ষেপ করেন। তখন শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখান থেকে সরে যায়। পরে শ্রমিকেরা মালিকপক্ষের লোকজনকে কারখানাটির ভেতরে অবরুদ্ধ করেন। তখন কারখানার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফি মাহমুদ উত্তেজিত শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে নিজেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা তাঁর ওপর হামলা চালান। শ্রমিকদের পিটুনিতে তিনি গুরুতর আহত হন। তখন শ্রমিকদের একটি অংশ তাঁকে উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসার পর তিনি বর্তমানে বাসায় অবস্থান করছেন বলেও জানা গেছে। এদিকে বেতনের দাবিতে শুক্রবারও শ্রমিকরা ওই কারখানার সামনে জড়ো হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকরা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়।

কারখানার মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগের প্রধান অহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার স্যার (রাফি মাহমুদ) শ্রমিকদের বলছিলেন, “আমার কাছে এই মুহূর্তে টাকা নেই। আমি আপাতত টাকা দিতে পারছি না। তোমরা আমাকে আরেকটু সময় দাও।” কিন্তু শ্রমিকেরা বলছিলেন, টাকা আজকের মধ্যেই দিতে হবে। তখন স্যার বলছিলেন, “টাকা না দিতে পারলে তোমরা কি আমারে মারবা, ঠিক আছে মারলে মারো।” এই রকম কথা বলার পর শ্রমিকেরা স্যারকে ফিজিক্যাল অ্যাসল্ট করেছে।’

আহত রাফি মাহমুদের বাবা কারখানার পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই কারখানায় প্রায় চার হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার তাঁদের টাকাপয়সা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। শ্রমিকরা আন্দোলন করলে আমার ছেলেকে ফোনে ডেকে সেখানে নিয়ে যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। রাফি মাহমুদ রাত আটটা পর্যন্ত কারখানার ভেতরে অচেতন অবস্থায় পড়েছিল। তাঁকে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, তিনি (রাফি মাহমুদ) কারখানায় এসে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে তাঁকে মারধর করেন। পরে আমরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনো অভিযোগ হয়নি।

এদিকে আলোচনা চলা অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষের উপর হামলার ঘটনায় বিজিএমইএ এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন জানিয়েছেন বিজিএমইএ। শুক্রবার বিজিএমইএ এর মহাসচিব মোঃ ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত এক  প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, বিজিএমইএ মনে করে, এ ধরণের ঔদ্ধত্ব সমগ্র শিল্পের উপর আঘাত। যে শিল্প দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি, যে শিল্প প্রত্যক্ষভাবে ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে, যে শিল্প পরোক্ষভাকে দেশের ৫ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার সুরাহা করেছে, তার উপর এ আঘাত মোটেও কাম্য নয়। এ ঘটনা বহিবিশ্বে এদেশের শিল্প সম্পর্কে ভুল বার্তা দিবে। বিজিএমইএ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সংস্থাসমূহকে পোষাক শিল্পে সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা বজার রাখার জন্য সক্রিয় থেকে সহযোগিতা প্রদান করার জন্য আহবান জানানো হয়। প্রতিটি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করে। যারা উস্কানি দিয়ে শিল্পকে অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে, শিল্প ও অর্থনীতিকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান বিজিএমইএ।