Dhaka ০২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিল্প সম্পর্কের সমন্বয় সাধনে ত্রিপক্ষীয় ঘোষণার মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ

  • ডেক্স নিউজ:
  • Update Time : ০৯:০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৪৯ Time View

শিল্পখাতের কর্মক্ষেত্রে স্থিতিশীল এবং ন্যায়সঙ্গত সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে, বাংলাদেশ সরকার, মালিক সংগঠন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন এবং শ্রমিক সংগঠন ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন (NCCWE) যৌথভাবে একটি “ বাংলাদেশে উন্নত এবং সমন্বয়পূর্ণ জাতীয় শিল্প সম্পর্ক” বিষয়ে একটি ঘোষণাপত্র সাক্ষর করেছে।

দেশের শিল্পখাত এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রধান এই ত্রিপক্ষীয় অংশীদাররা সামাজিক ন্যায়বিচারে সুদৃঢ় ভিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি শিল্প সম্পর্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই ব্যবস্থার লক্ষ্য হল শ্রমিক এবং মালিকদের মধ্যে সমন্বয়পূর্ণ সম্পর্ক বাস্তবায়নের পাশাপাশি একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা – যা টেকসই এবং ঘাতসহনশীল অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সেক্টর জুড়ে চলমান শিল্প অস্থিরতা, যেখানে শ্রমিকরা বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে রাস্তায় নেমেছে, এবং বর্ধিত সময়ের জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত করেছে, সেই সময়কালে এই ঘোষণাটি এসেছে ।

দেশের বিভিন্ন সেক্টর জুড়ে কিছুদিন যাবৎ পরিলক্ষিত শিল্প অস্থিরতা পরবর্তী এই ঘোষণাটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলি তুলে ধরেছে যে দেশের অধিকাংশ শ্রমিক সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ককে সমর্থন করলেও, কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী, নিজেদের শ্রমিক পরিচয় দিয়ে, সংলাপ এবং আলোচনাকে উপেক্ষা করে সহিংসতা এবং শারীরিক আক্রমণের আশ্রয় নিয়ে এই খাতকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। সরকার এবং সামাজিক অংশীদারদের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বারবার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে।

উন্নত কর্মসংস্থানের শর্তসমূহ, উন্নত কর্ম পরিবেশ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পথ প্রশস্ত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক আলাপের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা শিল্প সম্পর্ক। এটি একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশের জন্য অপরিহার্য,বলেন আইএলও এর গভর্নেন্স, রাইটস, এবং ডায়লগের সহকারী মহাপরিচালক ম্যানুয়েলা টোমেই।আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই ধরনের ব্যবস্থা সর্বোত্তমভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যার মূলস্তম্ভ হচ্ছে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, সমষ্টিগত

আলোচনার অধিকার এবং নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ ।ঘোষণায় সামাজিক সংলাপ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং বিরোধ প্রতিরোধ ও সমাধানের অধিকতর কার্যকর ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার তার সামাজিক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতায় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক কমিটিগুলির সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।এটি আন্তর্জাতিক শ্রম মান, বিশেষ করে, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ কনভেনশন (ILS), 1976 (নং 144) এবং সমস্ত স্তরে সামাজিক সংলাপের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

শিল্প সম্পর্কের সমন্বয় সাধনে ত্রিপক্ষীয় ঘোষণার মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ

Update Time : ০৯:০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

শিল্পখাতের কর্মক্ষেত্রে স্থিতিশীল এবং ন্যায়সঙ্গত সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে, বাংলাদেশ সরকার, মালিক সংগঠন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন এবং শ্রমিক সংগঠন ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন (NCCWE) যৌথভাবে একটি “ বাংলাদেশে উন্নত এবং সমন্বয়পূর্ণ জাতীয় শিল্প সম্পর্ক” বিষয়ে একটি ঘোষণাপত্র সাক্ষর করেছে।

দেশের শিল্পখাত এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রধান এই ত্রিপক্ষীয় অংশীদাররা সামাজিক ন্যায়বিচারে সুদৃঢ় ভিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি শিল্প সম্পর্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই ব্যবস্থার লক্ষ্য হল শ্রমিক এবং মালিকদের মধ্যে সমন্বয়পূর্ণ সম্পর্ক বাস্তবায়নের পাশাপাশি একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা – যা টেকসই এবং ঘাতসহনশীল অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সেক্টর জুড়ে চলমান শিল্প অস্থিরতা, যেখানে শ্রমিকরা বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে রাস্তায় নেমেছে, এবং বর্ধিত সময়ের জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত করেছে, সেই সময়কালে এই ঘোষণাটি এসেছে ।

দেশের বিভিন্ন সেক্টর জুড়ে কিছুদিন যাবৎ পরিলক্ষিত শিল্প অস্থিরতা পরবর্তী এই ঘোষণাটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলি তুলে ধরেছে যে দেশের অধিকাংশ শ্রমিক সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ককে সমর্থন করলেও, কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী, নিজেদের শ্রমিক পরিচয় দিয়ে, সংলাপ এবং আলোচনাকে উপেক্ষা করে সহিংসতা এবং শারীরিক আক্রমণের আশ্রয় নিয়ে এই খাতকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। সরকার এবং সামাজিক অংশীদারদের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বারবার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে।

উন্নত কর্মসংস্থানের শর্তসমূহ, উন্নত কর্ম পরিবেশ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পথ প্রশস্ত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক আলাপের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা শিল্প সম্পর্ক। এটি একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশের জন্য অপরিহার্য,বলেন আইএলও এর গভর্নেন্স, রাইটস, এবং ডায়লগের সহকারী মহাপরিচালক ম্যানুয়েলা টোমেই।আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই ধরনের ব্যবস্থা সর্বোত্তমভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যার মূলস্তম্ভ হচ্ছে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, সমষ্টিগত

আলোচনার অধিকার এবং নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ ।ঘোষণায় সামাজিক সংলাপ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং বিরোধ প্রতিরোধ ও সমাধানের অধিকতর কার্যকর ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার তার সামাজিক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতায় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক কমিটিগুলির সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।এটি আন্তর্জাতিক শ্রম মান, বিশেষ করে, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ কনভেনশন (ILS), 1976 (নং 144) এবং সমস্ত স্তরে সামাজিক সংলাপের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।