Dhaka ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ ॥ রসের স্বাদ ভুলতে বসছে বর্তমান প্রজন্ম

সচেতনতাই পারে ফিরিয়ে আনতে খেজুরের রসের হারানো ঐতিহ্য

সু-স্বাধু রসের জন্য খেজুর গাছ কাটছেন রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের নাসির।

ভোলায় খেজুর রসের চাহিদা রয়েছে, তবে পর্যাপ্ত খেজুর গাছ না থাকায় রস তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। আর এ কারণেই বর্তমান প্রজন্ম খেজুরের রসের স্বাদ বলতে গেলে ভুলতেই বসছে। ভুলবেই বা না কেন ? কারণ না আছে গাছ, আর না আছে রস। এক সময় মানুষের বাড়িতে পাশে সড়কের দু’পাশে সারি সারি এবং মাঠ কিংবা বাগানের চারপাশে খেজুর গাছ দেখা যেত।

শীতকাল আসলে গাছিরা বিকালে গাছ কেটে হাঁড়ি বসিয়ে ভোর সকালে রস বিক্রি করত। এখন গাছ নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে দু’একটি খেজুর গাছ থাকলেও তাও সবল নয়। দুর্বল প্রকৃতির গাছগুলোতে আগের মতো রস পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুরের রসের পুরনো ঐতিহ্য। হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।

বর্তমানে গাছিরা পরিবেশ দূষণকে দায়ী করে বলেন, আগে পরিবেশ ছিল ভালো, প্রতিটি ফল মূলের গাছে ছিল ফুলে ফলে ভরা। বিভিন্ন পরিবেশ দূষণের কবলে পড়ে ফল মূলের গাছে আগের মতো ফল ধরে না। আগে সকালে হাঁড়ি নামিয়ে রস নিয়ে যাওয়ার পরও গাছে ফোঁটায় ফোঁটায় অবিরত ঝড়তে থাকত দুপুর পর্যন্ত। খেজুর রস সংগ্রহকারী (গাছি) ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের নাসির বলেন, দুই বছর আগে আমার ৬টি গাছ থেকে দৈনিক রস সংগ্রহ করতাম প্রায় ২৩/২৪ কেজি।

আর এ বছর এসে সংগ্রহ হচ্ছে ৫-৬ কেজি-তে। তিনি আরও বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন দূষণে গাছের শক্তি ও ভিটামিন কমে গেছে, তাই রস আর আগের মত পাওয়া যায় না। এছাড়া তার মতে আগে প্রচুর খেজুর গাছ ছিল এলাকায়, কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও গাছের মালিকরা গাছগুলো লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করে দেয়ায় খেজুর গাছ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, রসের চাহিদা অনেক, কিন্তু এরপরও চাহিদা মতো দেয়া যায় না, অনেকে রসের জন্য ঝগড়াও করেন। পালা করে করে রস দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। রসের পিঠার মজাই আলাদা বলে বছরে একবার প্রতিটি পরিবারে রস সংগ্রহ করে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ডুই পিঠা (ভাপা পিঠা), গুরা পিঠা, চিতল পিঠা, পাটিসাপটা, হাতঝারা পিঠা খেয়ে থাকেন। আবার অনেকেই আপনজনের বাসায়ও নিয়ে যেতেন। রসের পর্যাপ্ততা না থাকায় ভুলতে বসেছে ওইসব পিঠার স্বাদ।

সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, আগের মত খেজুরের রস পাওয়া যায় না। নির্বিচারে খেজুরের গাছ কেটে ফেলার কারণেই এখন রস দুর্লভ বস্তুতে পরিণত হয়েছে। তাই আগামী প্রজন্মের কাছে খেজুরের রসের যে স্বাদ তা বজায় রাখার জন্য বনবিভাগ সহ সবাইকে খেজুরের গাছ রোপন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

আরো জানা গেছে, এক সময় রসের হাড়ি বিক্রি হত ১৫-২০ টাকায়। সেখান থেকে বেড়ে বিক্রি হত ৪০-৫০ টাকায়। সেখান থেকেও বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৭০-৮০ টাকায়। কিন্ত এখন আর হাড়ি প্রতি বিক্রি হয় না। বিক্রি হয় কেজি দরে। প্রতি কেজি খেজুর রস বিক্রি হতো ৮-১০ টাকায়। বর্তমানে সে খেজুরের রস ১০০-১২০ টাকা প্রতি কেজি। অনেক জায়গাতে ১৫০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে।

শীত মৌসূম এলে গাছির রস পেড়ে নেয়ার পর দেখা যেত শৈশব-কৈশরের শিশুদের দুরন্তপনা। তারা রস সংগ্রহের জন্য নিজেদের তৈরীকৃত বোতল কিংবা ছোট ছোট টিনের বাডা (কৌটা) বসাত। কে আগে গাছে বোতল কিংবা কৌটা বসাবে তা নিয়েও রীতিমত ঝগড়া লেগে যেত। বিকেলের দিকে গাছি পুনরায় গাছ কাটার আগেই তাদের বসানে ছোট ছোট পাত্র পেড়ে নিত। আর সেই অল্প অল্প সংগ্রকৃত রস সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে মাঠের পাশেই পাতিলে জ্বাল দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে খাওয়ার আনন্দে মেতে উঠত।

সুযোগের অভাবে দুরন্ত কিশোররা আগের মতো পথের পাশের খেজুর গাছের ফোঁটা রস আর খেতে পারে না। খেজুর রস পানের আগ্রহ কোনো কালেই যেন বিলুপ্ত না হয় সেজন্য পরিবেশ বান্ধব এই খেজুর গাছ লাগানো ও বনভিবাগ কর্তৃপক্ষের যথাযথ ভূমিকা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ভোলা সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, এক সময় কৃষকরা খেজুর গাছকে অলাভজনক মনে করত, তাই তারা মাঠ কিংবা বাড়ীর চারপাশে খেজুর গাছের পরিবর্তে অন্যান্য কাঠ গাছ লাগাত। এছাড়া খালি জমির পরিমানও কমে গেছে, যেখানে আগে বিল বা মাঠ ছিল এখন সেখানে বাড়ী-ঘর হয়ে গেছে। আর এই বাড়ী-ঘর নির্মানের জন্য সকলেই খেজুর গাছসহ অন্যান্য গাছ কেটে ফেলেছে। তাই খেজুর গাছের সংখ্যাও কমে গেছে।

তিনি আরো বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রাক্ষায় আমাদের সকলকে মাঠ কিংবা বাড়ীর চারপাশের খেজুর গাছ রোপন করতে হবে। এ গাছ লাগানের সময় দৃষ্টি রাখতে হবে যে, ছায়াযুক্ত স্থানে লাগানো যাবে না। এমন স্থানে লাগাতে হবে যেখানে কোন ছায়া নেই এবং পর্যাপ্ত রোদ্র আছে। উন্মুক্ত স্থানে লাগালে তা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

জামাল উদ্দিন বলেন, বর্তমান সময়ে খেজুর গাছের রস এবং গুড়ের দাম অনেক বেশী, তাই কৃষকদের আগের যে ভুল ধারনা ছিল অলাভজনক তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এখন খেজুর গাছের রস ও গুড় আগের কাঠ গাছের যে লাভ ছিল সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছে। খেজুর গাছ রোপন করলে তেমন একটা জায়গাও নস্ট হয় না, আর ভোলার মাটি খেজুর গাছ চাষের উপযোগী। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং ভবিষ্যতে খেজুরের রস ও গুড়ের যে ঐতিহ্য ছিল তা ফিরিয়ে আনতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে কৃষকসহ আমাদের সকলকেই প্রত্যেক বছর কিছু না কিছু অন্যান্য গাছের সাথে খেজুর গাছ রোপনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরিত্যক্ত লোহা বিক্রি

বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ ॥ রসের স্বাদ ভুলতে বসছে বর্তমান প্রজন্ম

সচেতনতাই পারে ফিরিয়ে আনতে খেজুরের রসের হারানো ঐতিহ্য

Update Time : ১১:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ভোলায় খেজুর রসের চাহিদা রয়েছে, তবে পর্যাপ্ত খেজুর গাছ না থাকায় রস তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। আর এ কারণেই বর্তমান প্রজন্ম খেজুরের রসের স্বাদ বলতে গেলে ভুলতেই বসছে। ভুলবেই বা না কেন ? কারণ না আছে গাছ, আর না আছে রস। এক সময় মানুষের বাড়িতে পাশে সড়কের দু’পাশে সারি সারি এবং মাঠ কিংবা বাগানের চারপাশে খেজুর গাছ দেখা যেত।

শীতকাল আসলে গাছিরা বিকালে গাছ কেটে হাঁড়ি বসিয়ে ভোর সকালে রস বিক্রি করত। এখন গাছ নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে দু’একটি খেজুর গাছ থাকলেও তাও সবল নয়। দুর্বল প্রকৃতির গাছগুলোতে আগের মতো রস পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুরের রসের পুরনো ঐতিহ্য। হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।

বর্তমানে গাছিরা পরিবেশ দূষণকে দায়ী করে বলেন, আগে পরিবেশ ছিল ভালো, প্রতিটি ফল মূলের গাছে ছিল ফুলে ফলে ভরা। বিভিন্ন পরিবেশ দূষণের কবলে পড়ে ফল মূলের গাছে আগের মতো ফল ধরে না। আগে সকালে হাঁড়ি নামিয়ে রস নিয়ে যাওয়ার পরও গাছে ফোঁটায় ফোঁটায় অবিরত ঝড়তে থাকত দুপুর পর্যন্ত। খেজুর রস সংগ্রহকারী (গাছি) ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের নাসির বলেন, দুই বছর আগে আমার ৬টি গাছ থেকে দৈনিক রস সংগ্রহ করতাম প্রায় ২৩/২৪ কেজি।

আর এ বছর এসে সংগ্রহ হচ্ছে ৫-৬ কেজি-তে। তিনি আরও বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন দূষণে গাছের শক্তি ও ভিটামিন কমে গেছে, তাই রস আর আগের মত পাওয়া যায় না। এছাড়া তার মতে আগে প্রচুর খেজুর গাছ ছিল এলাকায়, কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও গাছের মালিকরা গাছগুলো লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করে দেয়ায় খেজুর গাছ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, রসের চাহিদা অনেক, কিন্তু এরপরও চাহিদা মতো দেয়া যায় না, অনেকে রসের জন্য ঝগড়াও করেন। পালা করে করে রস দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। রসের পিঠার মজাই আলাদা বলে বছরে একবার প্রতিটি পরিবারে রস সংগ্রহ করে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ডুই পিঠা (ভাপা পিঠা), গুরা পিঠা, চিতল পিঠা, পাটিসাপটা, হাতঝারা পিঠা খেয়ে থাকেন। আবার অনেকেই আপনজনের বাসায়ও নিয়ে যেতেন। রসের পর্যাপ্ততা না থাকায় ভুলতে বসেছে ওইসব পিঠার স্বাদ।

সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, আগের মত খেজুরের রস পাওয়া যায় না। নির্বিচারে খেজুরের গাছ কেটে ফেলার কারণেই এখন রস দুর্লভ বস্তুতে পরিণত হয়েছে। তাই আগামী প্রজন্মের কাছে খেজুরের রসের যে স্বাদ তা বজায় রাখার জন্য বনবিভাগ সহ সবাইকে খেজুরের গাছ রোপন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

আরো জানা গেছে, এক সময় রসের হাড়ি বিক্রি হত ১৫-২০ টাকায়। সেখান থেকে বেড়ে বিক্রি হত ৪০-৫০ টাকায়। সেখান থেকেও বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৭০-৮০ টাকায়। কিন্ত এখন আর হাড়ি প্রতি বিক্রি হয় না। বিক্রি হয় কেজি দরে। প্রতি কেজি খেজুর রস বিক্রি হতো ৮-১০ টাকায়। বর্তমানে সে খেজুরের রস ১০০-১২০ টাকা প্রতি কেজি। অনেক জায়গাতে ১৫০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে।

শীত মৌসূম এলে গাছির রস পেড়ে নেয়ার পর দেখা যেত শৈশব-কৈশরের শিশুদের দুরন্তপনা। তারা রস সংগ্রহের জন্য নিজেদের তৈরীকৃত বোতল কিংবা ছোট ছোট টিনের বাডা (কৌটা) বসাত। কে আগে গাছে বোতল কিংবা কৌটা বসাবে তা নিয়েও রীতিমত ঝগড়া লেগে যেত। বিকেলের দিকে গাছি পুনরায় গাছ কাটার আগেই তাদের বসানে ছোট ছোট পাত্র পেড়ে নিত। আর সেই অল্প অল্প সংগ্রকৃত রস সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে মাঠের পাশেই পাতিলে জ্বাল দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে খাওয়ার আনন্দে মেতে উঠত।

সুযোগের অভাবে দুরন্ত কিশোররা আগের মতো পথের পাশের খেজুর গাছের ফোঁটা রস আর খেতে পারে না। খেজুর রস পানের আগ্রহ কোনো কালেই যেন বিলুপ্ত না হয় সেজন্য পরিবেশ বান্ধব এই খেজুর গাছ লাগানো ও বনভিবাগ কর্তৃপক্ষের যথাযথ ভূমিকা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ভোলা সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, এক সময় কৃষকরা খেজুর গাছকে অলাভজনক মনে করত, তাই তারা মাঠ কিংবা বাড়ীর চারপাশে খেজুর গাছের পরিবর্তে অন্যান্য কাঠ গাছ লাগাত। এছাড়া খালি জমির পরিমানও কমে গেছে, যেখানে আগে বিল বা মাঠ ছিল এখন সেখানে বাড়ী-ঘর হয়ে গেছে। আর এই বাড়ী-ঘর নির্মানের জন্য সকলেই খেজুর গাছসহ অন্যান্য গাছ কেটে ফেলেছে। তাই খেজুর গাছের সংখ্যাও কমে গেছে।

তিনি আরো বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রাক্ষায় আমাদের সকলকে মাঠ কিংবা বাড়ীর চারপাশের খেজুর গাছ রোপন করতে হবে। এ গাছ লাগানের সময় দৃষ্টি রাখতে হবে যে, ছায়াযুক্ত স্থানে লাগানো যাবে না। এমন স্থানে লাগাতে হবে যেখানে কোন ছায়া নেই এবং পর্যাপ্ত রোদ্র আছে। উন্মুক্ত স্থানে লাগালে তা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

জামাল উদ্দিন বলেন, বর্তমান সময়ে খেজুর গাছের রস এবং গুড়ের দাম অনেক বেশী, তাই কৃষকদের আগের যে ভুল ধারনা ছিল অলাভজনক তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এখন খেজুর গাছের রস ও গুড় আগের কাঠ গাছের যে লাভ ছিল সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছে। খেজুর গাছ রোপন করলে তেমন একটা জায়গাও নস্ট হয় না, আর ভোলার মাটি খেজুর গাছ চাষের উপযোগী। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং ভবিষ্যতে খেজুরের রস ও গুড়ের যে ঐতিহ্য ছিল তা ফিরিয়ে আনতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে কৃষকসহ আমাদের সকলকেই প্রত্যেক বছর কিছু না কিছু অন্যান্য গাছের সাথে খেজুর গাছ রোপনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।